Posts

Showing posts from September, 2021

আদিম মানুষ: শিকারী খাদ্য সংগ্রাহক থেকে স্থায়ী বসবাসকারী

 সূ চনা: নব্য প্রস্তর যুগের আগে পর্যন্ত খাদ্য উৎপাদন করতে জানত না বলে মানুষ বিভিন্ন হাতিয়ারের সহায়তায় তারা বন্য পশু শিকার করত এবং বনের ফলমূল, পাখির ডিম, নদীর মাছ প্রভৃতি সংগ্রহ করত। অর্থাৎ প্রথম পর্যায়ে আদিম মানুষ ছিল খাদ্যসংগ্রাহক (Food-gatherer)। পুরুষ ও নারী উভয়েই খাদ্য সংগ্রহের কাজে যুক্ত থাকত। আদিম মানুষ: শিকারী খাদ্য সংগ্রাহক থেকে স্থায়ী বসবাসকারী [1] পুরুষের শিকার হাতিয়ার: হােমাে, স্যাপিয়েন্স বা আধুনিক মানুষের আবির্ভাবের আগে অনুন্নত মানুষ পাথর ও লাঠির বেশি কোনাে হাতিয়ারের ব্যবহার জানত না। পরবর্তীকালে মানুষ পাথরের বিভিন্ন ধরনের হাতিয়ার তৈরি করতে শেখে। যুগের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে তাদের হাতিয়ারগুলিও উন্নত হতে থাকে। পশুশিকার শিকারে অংশগ্রহণ: এসময় পুরুষরা শিকারের কাজে অংশ নিত। তারা পাথর ও হাড়ের তৈরি হাতিয়ার বা অস্ত্রশস্ত্রের সাহায্যে পশু শিকার করত এবং শিকার করা পশুর মাংস সংগ্রহ করত। দলবদ্ধতা: এযুগের মানুষ একাকী শিকারে না গিয়ে দলবদ্ধভাবে শিকারে বের হত। এভাবে প্রাচীন কালে শিকারি মানুষদের নিয়ে গড়ে ওঠা দল বা সংগঠনটিকে ক্ল্যান' (Clan) নামে অভিহিত করা হয়। রক্তের সম
  আধুনিক শিক্ষায় গণমাধ্যমের গুরুত্ব আধুনিক শিক্ষায় গণমাধ্যমগুলির গুরুত্ব অপরিসীম। নীচে গণমাধ্যমগুলির কয়েকটি ভূমিকা উল্লেখ করা হল一 (১) তথ্য পরিবেশন: গণমাধ্যমগুলি প্রতিমুহূর্তে ঘটে চলা বিভিন্ন তথ্য জনসাধারণের কাছে তুলে ধরে। বিশ্বের বিভিন্ন অংশের বিভিন্ন ঘটনা আমরা দূরদর্শন, বেতার ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পারি। শিক্ষামূলক চলচিত্র থেকেও বিভিন্ন ধরনের বাস্তব ঘটনা ও সমস্যা ভালােভাবে বুঝতে পারা যায়। (২) জ্ঞানবৃদ্ধিতে সহায়তা: গণমাধ্যমগুলি জনগণের জ্ঞান বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। ব্যক্তি নিয়মিত দূরদর্শনের অনুষ্ঠান দেখলে, অথবা বেতারের অনুষ্ঠান শুনলে কিংবা নিয়মিত খবরের কাগজ পড়লে বিভিন্ন বিষরে ওপর তার জ্ঞান অর্জন হয়। ফলে তার জ্ঞানের পরিধি বাড়তে থাকে। (৩) সামাজিক চেতনার বিকাশে সহায়তা: সামাজিক চেতনা আধুনিক শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। দূরদর্শন, বেতার, খবরের কাগজ এবং সমাজ-শিক্ষামূলক চলচ্চিত্র থেকে জনগণ বা শিক্ষার্থীদের সমাজ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়। (৪) শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি: গণমাধ্যমগুলির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হল এগুলি শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তাে

অরণ্য সংরক্ষণের পদ্ধতি

  অরণ্য সংরক্ষণের পদ্ধতি সারা বিশ্বব্যাপী প্রতিনিয়ত অবিবেচনা প্রসূত প্রচুর পরিমানে বৃক্ষ কাটার ফলে পরিবেশের উপর তার বিরূপ প্রভাব এখন সর্বস্তরের মানুষ বুঝতে পারছে। দিন দিন উষ্ণতার তীব্রতা বেড়ে চলছে, বৃষ্টিপাতের অনিয়ম দেখা যাচ্ছে, গ্রীস্মপ্রধান অঞ্চল গুলিতে শীতের প্রভাব কমছে, মরুভূমির প্রসার ঘটছে এবং সর্বপরি জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে, যা মানুষকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তাই বর্তমানে মনুষ্য প্রজাতিকে বাচিয়ে রাখার জন্য বৃক্ষচ্ছেদন বন্ধ করে অরণ্য সংরক্ষনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। এখানে অরণ্য সংরক্ষনের বিভিন্ন পদ্ধতি গুলি আলোচনা করা হল।   বনসৃজন উন্নয়নমূলক কাজের প্রয়োজনে গাছকাটা হলে সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে গাছ লাগানো দরকার । পতিত জমি বিশেষত যে জমি কৃষকের অনুপযুক্ত সেই জমিতে নতুন করে গাছ রোপন করে বনভূমি গড়ে তোলা অর্থনৈতিক দিক দিয়ে লাভজনক। অপরিণত বৃক্ষচ্ছেদন রোধ অপরিনত গাছ কাঁটার পরিবর্তে পরিনত গাছ কাটা উচিত। অপরিনত গাছ থেকে কম পরিমান কাঠ পাওয়া যায়। ফলে বেশি সংখ্যক গাছ কাটতে হয়, যার জন্য বনভূমি ধংস হয়। দাবানল প্রতিরোধ প্রাকৃতিক কারনেই হোক বা মনুষ্যসৃষ্ট কারনেই হোক বনভূমিতে আগুন লেগে দাবানলের সৃষ্ট

Class 5 Model activity task Amader paribesh Part 5 august 2021

Image
  Class 5 Model activity task Amader paribesh Part 5 august 2021 পঞ্চম শ্রেণী মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক আমাদের পরিবেশ  শ্রেণি মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ১. বাম স্তম্ভের সঙ্গে ডান স্তম্ভের মিল করে লেখ : বাম স্তম্ভ ডান স্তম্ভ ১.১ জলদাপাড়া (ক) ডলফিন ১.২ খড়গপুর (খ) টেরাকোটার কাজ ১.৩ বিষ্ণুপুর (গ) আইআইটি শিক্ষাকেন্দ্র (ঘ) গন্ডার উত্তর: ১.১ জলদাপাড়া → (ঘ) গন্ডার ১.২ খড়গপুর → (গ) আইআইটি শিক্ষাকেন্দ্র ১.৩ বিষ্ণুপুর → (খ) টেরাকোটার কাজ ২. ঠিক বাক্যের পাশে '✓' আর ভুল বাক্যের পাশে 'x' চিহ্ন দাও : ২.১ মানুষের বুদ্ধি হলো একটা সম্পদ। উত্তর: উক্তিটি সত্য (✓) ২.২ দিঘার কাছাকাছি অঞ্চলে প্রচুর কাজুবাদাম চাষ হয়। উত্তর: উক্তিটি সত্য (✓) ২.৩ প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারকে বলা হত গান্ধীবুড়ি। উত্তর: উক্তিটি মিথ্যা (x) ৩ একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও : ৩.১ বেশি রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করলে কী ক্ষতি হয়? উত্তর: জমিতে রাসায়নিক কীটনাশক বেশি ব্যবহার করলে জমির শত্রু পোকার সাথে সাথে বন্ধু পোকারাও মারা যাবে। আর এইসব বন্ধু পোকারাই পরাগ মিলনে সাহাজ্য করে। তাছাড়া অতিরিক্ত কীটনাশক জলে ধুয়ে জলাশয়ে মিশে জল
  নব্য প্রস্তর যুগের মানবজীবনের বিভিন্ন দিক সূচনা: পাথরের যুগের শেষ পর্যায় নতুন পাথর বা নব্য প্রস্তর যুগ (Neolithic Age) নামে পরিচিত। মধ্য প্রস্তর সংস্কৃতির শেষে এই পর্বে পৃথিবীর আবহাওয়া অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে। এই অনুকূল পরিবেশে আদিম মানবের জীবনযাত্রায় উল্লেখযােগ্য সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন সূচিত হয়। আনুমানিক খ্রি.পূ. ৮০০০-৪০০০ অব্দ পর্যন্ত সময়কাল হল নতুন পাথরের যুগ। [1] জীবিকা পশুপালন: এযুগের মানুষ পশুপালনের কৌশল আয়ত্ত করে। কুকুর, ভেড়া, গােরু, গাধা, হাতি প্রভৃতি পশুকে তারা পােষ মানাতে শেখে।খাদ্যের জোগান ছাড়াও গৃহপালিত পশুকে তারা যাতায়াতের কাজে ব্যবহার করতে শুরু করে। কৃষির সূচনা: নব্য প্রস্তর পর্বে আবাসস্থলের পাশে বীজ বা গাছের শিকড় পুঁতে দেওয়া শুরু হয়। এভাবেই কৃষির সূচনা ঘটে। [2] সমাজ: পূর্বেকার সমাজকাঠামাে এ যুগে আরও পরিশীলিত হয়। পরিবারগুলির কাঠামাে আরও সুসংঘবদ্ধ হয়ে ওঠে। সমাজে একক বা দলগত বিবাহরীতি চালু হয়। সমাজে বিনিময়প্রথার উদ্ভব ঘটে এবং শ্রমবণ্টন ব্যবস্থা চালু হয়। [3] আশ্রয়স্থল: নব্য প্রস্তর যুগের শেষের দিকে মানুষ স্থায়ী আবাস নির্মাণ করতে শেখে। গাছ

প্রাচীন প্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো?

Image
  প্রাচীন প্রস্তর যুগ সম্বন্ধে আলোচনা করো? সময়কালঃ প্রাচীন প্রস্তর যুগের শুরু হয় অন্তত 50 হাজার বছর আগে এবং শেষ হয় প্রায় 15,000 খ্রিস্টপূর্বাব্দে। পিকিং মানব, জাভা মানব, আটলানথ্রোপাস মানব (আলজেরিয়া), ওলডুভাই মানব (তাঞ্জানিয়া), নিয়ানডারথাল মানব-সহ বিভিন্ন শাখার হোমো ইরেক্টাস অর্থাৎ প্রায়-মানুষেরা প্রাচীন প্রস্তর যুগের অন্তর্ভুক্ত ছিল। হাতিয়ারঃ এ যুগের মানুষ বিভিন্ন ধরনের পাথর ও হাড়ের তৈরি হাতিয়ার ব্যবহার করত এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গোষ্ঠীবদ্ধ হয়ে বসবাস করত। দক্ষিণ আফ্রিকার অস্ট্রালোপিথেকাস নামে মানবগোষ্ঠী সর্বপ্রথম পাথরের হাতিয়ারের ব্যবহার শুরু করে। এ যুগের মানুষ প্রকৃতি থেকে যে আকারের পাথরকে পেত কোনো আকারগত পরিবর্তন না করেই সেটিকৈ হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করত। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাথর ভেঙে ধারালো ও তীক্ষ্ণ করার চেষ্টা করত বলেও মনে করা হয়। তারা একই হাতিয়ার দিয়ে মাংস কাটা, কাঠ কাটা, শিকার করা প্রভৃতি বিভিন্ন কাজ করত। প্রথমদিকের এই সাধারণ হাতিয়ার হাত-কুঠার নামে পরিচিত। ক্রমে তারা পাথরের বল্লম, ছুরি, ছুঁচ, হারপুন, প্রভৃতি হাতিয়ার তৈরি করতে শুরু করে। এ যুগের হাতিয়ার গুলো হত

মধ্যপ্রস্তর যুগের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি কী ছিল ?

  মধ্যপ্রস্তর যুগের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি কী ছিল ? Class eleven History Important Question প্রশ্ন – মধ্যপ্রস্তর যুগের মূল বৈশিষ্ট্যগুলি কী ছিল ? উঃ- মধ্যপ্রস্তর যুগ- ১) প্রেক্ষাপট-  প্লেইস্টোসিন যুগের শেষদিকে চতুর্থ অর্থাৎ সর্বশেষ বরফের যুগের অবসানের পর ভূপ্রকৃতিতে বড়ো ধরনের পরিবর্তন আসে। এসময় বরফের আস্তরণ গলে গেলে সমুদ্রপৃষ্ঠে জলস্তরের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। ইউরোপের তুন্দ্রা অঞ্চল বনভূমিতে ছেয়ে যায়। নিকট প্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার বিস্তীর্ণ মাঠঘাটগুলি মরুভূমিতে পরিণত হয়। নতুন এই আবহাওয়ার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে না পেরে এ যুগে বেশ কিছু প্রাণী ও কিছু কিছু মানব প্রজাতির বিলুপ্তি ঘটে। বেঁচে থাকা মানব প্রজাতিগুলি এই সময় নতুন সংস্কৃতির জন্ম দেয়। ২) সময়কাল –  খাদ্যসংগ্রহকারী প্রাচীন প্রস্তর যুগ এবং খাদ্য-উৎপাদনকারী নব্য প্রস্তর যুগের মধ্যবর্তী সময়কাল মধ্য প্রস্তর যুগ নামে চিহ্নিত হয়। এ যুগের সময়সীমা বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন রকম। তবে সাধারণভাবে মনে করা হয় যে, খ্রিষ্টপূর্ব ১৫,০০০ অব্দ থেকে খ্রিষ্টপূর্ব ১০,০০০ অব্দ পর্যন্ত মধ্য প্রস্তর যুগ বিস্তৃত ছিল। ৩) হাতিয়ার –  এ যুগের মানুষ হাতিয়ার তৈরিতে আরও দক্ষত