আধুনিক শিক্ষায় গণমাধ্যমের গুরুত্ব


আধুনিক শিক্ষায় গণমাধ্যমগুলির গুরুত্ব অপরিসীম। নীচে গণমাধ্যমগুলির কয়েকটি ভূমিকা উল্লেখ করা হল一


(১) তথ্য পরিবেশন: গণমাধ্যমগুলি প্রতিমুহূর্তে ঘটে চলা বিভিন্ন তথ্য জনসাধারণের কাছে তুলে ধরে। বিশ্বের বিভিন্ন অংশের বিভিন্ন ঘটনা আমরা দূরদর্শন, বেতার ও সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পারি। শিক্ষামূলক চলচিত্র থেকেও বিভিন্ন ধরনের বাস্তব ঘটনা ও সমস্যা ভালােভাবে বুঝতে পারা যায়।


(২) জ্ঞানবৃদ্ধিতে সহায়তা: গণমাধ্যমগুলি জনগণের জ্ঞান বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। ব্যক্তি নিয়মিত দূরদর্শনের অনুষ্ঠান দেখলে, অথবা বেতারের অনুষ্ঠান শুনলে কিংবা নিয়মিত খবরের কাগজ পড়লে বিভিন্ন বিষরে ওপর তার জ্ঞান অর্জন হয়। ফলে তার জ্ঞানের পরিধি বাড়তে থাকে।


(৩) সামাজিক চেতনার বিকাশে সহায়তা: সামাজিক চেতনা আধুনিক শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। দূরদর্শন, বেতার, খবরের কাগজ এবং সমাজ-শিক্ষামূলক চলচ্চিত্র থেকে জনগণ বা শিক্ষার্থীদের সমাজ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়।


(৪) শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি: গণমাধ্যমগুলির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হল এগুলি শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তােলে। বেতার, দূরদর্শন ও সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক, ঐতিহাসিক এবং শিক্ষামূলক বিষয়গুলি শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে। তারা আরও বেশি বিষয় জানার জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠে।


(৫) পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা: আমাদের পরিবেশ দিনে দিনে দূষিত হচ্ছে। মানুষের নানারকম অবিবেচক কাজের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্নিত হচ্ছে। এখনাে আমরা যদি এ ব্যাপারে সচেতন না হই, তাহলে আমাদের পরিবেশ অচিরেই ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে। বিভিন্ন গণমাধ্যম এইসব বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।


(৬) মানসিক বিকাশে সহায়তা: গণমাধ্যমগুলি জনগণের মানসিক বিকাশে সহায়তা করে যা তাদের বিচার-বিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে ব্যক্তি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে।


(৭) নান্দনিক রুচি বিকাশে সহায়তা: গণমাধ্যমগুলি জনগণের মধ্যে নান্দনিক রুচির বিকাশ ঘটায়। সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিভিন্ন তথ্য, বেতার ও দূরদর্শনে সম্প্রচারিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান ব্যক্তির মধ্যে, সুন্দর রুচি গড়ে তােলে। সুন্দর রুচির বিকাশ আধুনিক শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।


(৮) কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বিকাশে সহায়তা: গপমাধ্যমগুলি দেশ-বিদেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক বিষয়ের পাশাপাশি কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বিষয়ে ছাত্রছাত্রীকে বিভিন্ন তথ্য পরিবেশন করে থাকে। এর ফলে ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন দেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হয় এবং তুলনামূলক ধারণা গঠন করে। এর থেকে তাদের মধ্যে কৃষ্টি ও সংস্কৃতির বিকাশ ঘটে

Comments

Popular posts from this blog

অন্তবর্তী প্রস্তুতিকালীন মূল্যায়ন জীবন বিজ্ঞান কোষ বিভাজন

শ্রীগোপীনাথ জিউ মন্দির, অগ্রদ্বীপ, পূর্ব বর্ধমান

জৈবনিক প্রক্রিয়া নবম শ্রেণী