মাধ্যমিক দশম শ্রেণী বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 10 Bengali Model Activity Task Part 1,2 & 3
মাধ্যমিক
দশম শ্রেণী
বাংলা
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক - ১
১। নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১ "তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন" - তপনের এমন মনে হওয়ার কারণ কি?
উত্তর : আলোচ্য অংশটি আশাপূর্ণা দেবীর লেখা জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে 'আজ' বলতে সেই বিশেষ দিনের কথা বলা হয়েছে, যেদিন তপনের নতুন মেসো সন্ধ্যাতারা পত্রিকার নিয়ে তপনের বাড়ি আসেন। সেই পত্রিকায় তপনের লেখা গল্প প্রকাশিত হয়েছিল।
কিন্তু এই বিশেষ দিনটি তপনের কাছে 'দুঃখের দিন' হয়ে উঠেছিল। কারন সে যখন সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর লেখা গল্প 'প্রথম দিন' পড়তে বস সে বুঝতে পারে আগাগোড়া ছোট মিশর সংশোধন ও পরিমার্জনের ফলে তার কাঁচা হাতে গল্পটি নতুন ও স্বতন্ত্র গল্পে পরিণত হয়েছে। সেই গল্প তপনের কৃতিত্ব আর এতোটুকু অবশিষ্ট ছিল না।
১.২ "আমাদের ইতিহাস নেই" - এই উপলব্ধির মর্মার্থ লেখ।
উত্তর : যুদ্ধের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে মানুষের বাসস্থান। প্রতিদিন কেউ-না-কেউ স্বজনহারা হয়েছে। 'শিশুদের শব ছড়িয়ে রয়েছে কাছে দূরে। রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ভিত্তি হয়েছে বিধ্বস্ত। মানুষকে সাহায্য করার কেউ নেই। ফলে সমাজের শ্রমজীবী অসহায় সাধারন মানুষ শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত হয়ে আসছে। তারা প্রতিবাদের ভাষা হারিয়ে ফেলেছে, হয়ে উঠেছে প্রতিক্রিয়াহীন। ফলে সামগ্রিক সঙ্কট ও বিপর্যয়ের সময় দাঁড়িয়ে অস্তিত্বের সঙ্কটে শঙ্কিত মানুষ একথা বলেছে।
১.৩ "এল মানুষ ধরার দল" - তাদের আগমনের আগে আফ্রিকার স্বরূপ কেমন ছিল?
উত্তর : আলোচ্য প্রসঙ্গে আফ্রিকা মহাদেশের দীর্ঘকাল বঞ্চিত হয়ে থাকবার ইতিহাস আলোচিত হয়েছে। সুদীর্ঘ সময় যাবত আফ্রিকার অফুরন্ত সম্পদ তথাকথিত সভ্য মানুষের দৃষ্টির বাইরে ছিল। এই লুক্কায়িত ভান্ডার অবশেষে ইউরোপের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর নজরে এলো, তারা পরস্পর শোষণের প্রতিযোগিতায় শামিল হয়। আফ্রিকার প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করার পাশাপাশি এখানকার আদিম অধিবাসীদের তারা বেঁধে নিয়ে গিয়ে ইউরোপের বাজারে ক্রীতদাস হিসাবে বিক্রি করে। সূচক রাষ্ট্রসমূহের এই মানসিকতা ও কাজকর্মকে সমালোচনা করেই অভি তাদের 'মানুষ ধরার দল' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
১.৪ "সবমিলিয়ে লেখালিখি রীতিমতো ছোটখাটো একটা অনুষ্ঠান" - প্রসঙ্গ অনুসরণে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
উত্তর : 'হারিয়ে যাওয়া কালি' কলম রচনায় শ্রীপান্থ কালি কলম সম্পর্কিত নানা তথ্য পেশ করেছেন। তিনি উল্লেখ্য করেছেন কালি আগে কিভাবে তৈরি হতো বা তা কতটা শ্রম সাপেক্ষ ব্যাপার ছিল, সেইসঙ্গে এর জন্য কতটা নিষ্ঠাও দরকার হতো, প্রসঙ্গে অংশের মধ্যে কতক তার কালি কলম প্রিয়তার বৈচিত্র সম্বন্ধে, তখন বোঝা যায় তিনি ভীষণ রকম নস্টালজিক মনোভাবাপন্ন। এই কারণেই কঞ্চির কলম খাগের কলম পালকের কলম বা ফাউন্টেন পেনের আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি তাঁর ছেলেবেলা থেকে কৈশোর কাল অবদি বিচরণ করেছেন। একই সঙ্গে প্রকাশ পেয়েছে লেখক এর পর্যবেক্ষন শক্তি; যখন তিনি কাজ কাট, গ্লাস, পার্সেলিন, শ্বেতপাথর, পিতল, ভেড়ার সিং, ব্রঞ্চ বা সোনার দোয়াতের কথা বলেছেন। সর্বোপরি এসমস্ত বস্তুর সংগ্রহ সম্পর্কেও তার অন্বেষণ যেখানে স্পষ্টতই প্রমাণিত হয় তিনি অতিক্রান্ত সময়ের লিখন সংস্কৃতি সম্পর্কে যেমন অনুরক্ত তেমনই মোহাচ্ছন্ন যার সঙ্গে মিশে আছে কিছু বিষন্নতার আর অনাবিল আনন্দ।
১.৫ "সব চূর্ণ হয়ে গেল জ্বলে গেল আগুনে" - কবিতা অনুসরণে পরিস্থিতিতে বিবরণ দাও।
উত্তর : যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার ফলে শিশু থেকে শুরু করে মানুষের যাবতীয় ঘরবাড়ি দেব দেবী মন্দির দেবতার মূর্তি ধ্বংস হয়। তাই বক্তার শখ ও স্বপ্নের ঘর বাড়ি নিশ্চিহ্ন হয় তিনি এমন কথা বলেছেন।
১.৬ 'অনুক্ত কর্তা' - বলতে কী বোঝো?
উত্তর : কর্ম ও ভাববাচ্যের কর্তাকে অনুক্ত কর্তা বলে। যেমন - আমার যাওয়া হবে কি করে?
১.৭ অকারক পদ কয় প্রকার ও কি কি?
উত্তর : অকারক পদ সাধারণত দুই প্রকার। যথা - (ক) সম্বন্ধ পদ (খ) সম্বোধন পদ
১.৮ তির্যক বিভক্তি কাকে বলা হয়?
উত্তর : কোন বিভক্তি একাধিক কারকে ব্যবহৃত হলে তাকে তির্যক বিভক্তি বলে।
মাধ্যমিক
দশম শ্রেণী
বাংলা
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক - ২
১। নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
১.১ "তপন গভীরভাবে সংকল্প করে" -
উত্তর : (ঘ) তখন নিজে গিয়ে লেখা জমা দেবে।
১.২ "ডুবে ছিল ধ্যানে" - কতদিনের ধ্যান?
উত্তর : (গ) হাজার বছর
১.৩ "আদিতি ফাউন্টেন পেনের নাম ছিল" -
উত্তর : (খ) রিজার্ভার পেন
১.৪ যে কর্তা অন্যকে দিয়ে কাজ করায়, সে হলো -
উত্তর : (ক) প্রযোজ্য কর্তা
২। কমবেশি কুড়িটি শব্দে উত্তর লেখ :
২.১ কে কার বুকের থেকে আফ্রিকাকে ছিনিয়ে নিয়েছিল?
উত্তর : আলোচ্য অংশটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আফ্রিকা কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। এখানে কবি বলতে চেয়েছেন যে সংক্ষুদ্ধ সমুদ্রের বহু পৃথিবীর পূর্বাঞ্চলীয় ভূখণ্ড থেকে আফ্রিকাকে ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে বিচ্ছিন্ন করেছিল।
২.২ ক্যালিগ্রাফিস্ট কাদের বলা হয়?
উত্তর : ক্যালিগ্রাফি বলতে ওস্তাদ কলমবাজ বা লিপি কুশলীদের বোঝায়।
২.৩ "বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা" - কোন কথা?
উত্তর : তপনের লেখা গল্পটির সন্ধ্যাতারা পত্রিকার মিশর দ্বারা ছাপানোর কথাটি বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে।
২.৪ সম্বন্ধ পদকে কারক বলা যায় কিনা কারন সহ লেখ।
উত্তর : যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের সঙ্গে অন্য কোন বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের সম্পর্ক থাকে, কিন্তু তার সঙ্গে কোনো সম্পর্ক থাকে না তাকে সম্বন্ধ পদ বলে। যেমন - নদীর তীর, মাটির পুতুল, নাটের গুরু, ঘোড়ার ডিম ইত্যাদি।
৩। প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কমবেশি ৬০টি শব্দ লেখ :
৩.১ "পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনা ঘটে" - তপনের এমন মনে হওয়ার কারণ টি লেখ।
উত্তর : বাংলা সাহিত্যের অন্যতম গল্পকার ও ঔপন্যাসিক আশাপূর্ণা দেবীর জ্ঞানচক্ষু গল্প থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে। তপনের লেখা গল্প তার লেখক মেসো চাপিয়ে দেওয়ার জন্য নিয়ে যান। বেশ কিছুদিন কেটেও যায়। এমন ই একদিনঃ নিতান্তই আশাহত তপন যখন ক্ষুন্ন মনে বসে আছে ঠিক তখনই তার মাসি ও মেসো সন্ধ্যাতারা পত্রিকার একটি সংখ্যা নিয়ে তাদের বাড়িতে আসেন। এই প্রসঙ্গেই এই কথাটি বলা হয়েছে।
৩.২ "আমরা ভিখারি বারো মাস" - এই উপলব্ধির মর্মার্থ লেখ।
উত্তর : দীর্ঘকালীন শোষণ-বঞ্চনা সাধারণ মানুষ আশ্রয় এবং জীবিকা হারিয়ে চির ভিখারিতে পরিণত হয়েছে। প্রাত্যহিক ভিক্ষাবৃত্তি যেন তাদের জীবিকা সংস্থানের একমাত্র উপায়।
৪। কমবেশি ১৫০ টি শব্দে নিচের প্রশ্নটির উত্তর লেখ :
৪.১ "আমরা কালিও তৈরি করতাম নিজেরাই" - প্রবন্ধ অনুসারে কালি তৈরির পর্বের বর্ণনাটি নিজের ভাষায় লেখ।
উত্তর : 'হারিয়ে যাওয়া কালি কলম' এর লেখক শ্রীপান্থ জানিয়েছেন যে তিনি কালি কলমে বেশি লিখতে পছন্দ করেন অথচ অফিসে আজকাল কেউই কলম ব্যবহার করেনা। এই দৃশ্য দেখে তিনি বাল্যকালের স্মৃতিচারণ করে বলেছেন কিভাবে তখন তিনি কালি তৈরি করতেন।
এই প্রসঙ্গে প্রাবন্ধিক সেকালের একটি ছড়া উল্লেখ্য করেছেন -
"তিল ত্রিফলা শিমুল ছালা
ছাগ দুগ্ধে করি মেলা
লোগো পাচ্ছে লোহায় ঘসি
ছিড়ে পাত্র না ছাড়ে মসি।"
তিনি কালি সংগ্রহ করতেন কাঠের উননে চাপানো কড়াইয়ের তলা থেকে। কারণ বাড়িতে ঐরকম উনুনেই রান্না হত। তারপর সেই জমা কালি লাউ পাতা দিয়ে ঘষে একটি পাথরের বাটিতে রেখে তা চলে গলে নিতেন। তার মধ্যে যারা ওস্তাদ তারা ওই কালো জলে হরিতকী ঘোষতেন। কখনো বা তার মাকে দিয়ে আতপ চাল ভিজিয়ে বেটে তাতে মিশাতে। ভালোভাবে মেশানোর পর একটি খুন্তির গোড়ার দিকটা লাল টকটকে করে পুড়িয়ে সেই জলে ছেঁকা দিতেন। অল্প জল থাকায় সেটি টগবগ করে ফুটতে। তারপর ন্যাকড়ায় থেকে দোয়াতে ঢালা হতো সেই কালি। অর্থাৎ লেখক এর কালি তৈরির ব্যাপারটি ছিল চমকপ্রদক এক বিশাল আয়োজন।
আজকে আমরা আলোচনা করব দশম শ্রেণীর বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর নিয়ে পার্ট ৩

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে :
১. তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যায়।- 'বহরুপী গল্পের আলােকে উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর :- সুবোধ যোষ রচিত বহুরূপী গল্পের প্রধান চরিত্র হরিদা বিশেষ চরিত্র গুনে সামান্য বহুরূপী থেকে যথা্থ "শিল্পীর মর্যাদায় উন্নীত হয়েছেন তিনি।
বিরাগীর সাজ গ্রহণ করে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি জগদীশ বাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন তার সাজ এবং অভিনয় এত নিখুত ছিল যে তার পরিচিতরাও তাকে চিনতে পারেননি। জগদীশবাবুর কাছ থেকে 101 টাকা রােজগারের সুযােগ থাকলেও হরিদা এই সুযােগ গ্রহণ করেননি ।কারণ তিনি তখন বিরাগী আর এই অর্থ-সম্পদের মােহ মুক্ত টাকাটা নিলে তার বিরাগী সাজের মর্যাদা ক্ষয় হয় শিল্পীর কাছে শিল্পের মর্যাদা টাই বড়। ভার ব্যক্তিগত দারিদ্র দুঃখ-কষ্ট নিতান্তই তুচ্ছ। তাই একজন বিরাগীর মতােই তিনি অর্থের লােভ বর্জন করেন ।
২. 'ঘুচাব এ অপবাদ, বধি রিপুকুলে।- বক্তা কে? কোন অপবাদের কথা তিনি বলেছেন? উক্ত অপবাদ ঘােচানাের জন্য তিনি কীভাবে প্রস্তুত হলেন ?
উত্তর :- মাইকেল মধুসূদন দত্ত বীরােচিত মেঘনাদবধ কাব্যের অন্তর্গত অভিষেক কাব্যাংশ থেকে উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা ত্রিভুবন বিজয়ী মেঘনাদ।
লংকা পুরি কে শত্রু সৈন্যদল সবদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে এবং সামান্য নর রামচন্দ্রের হাতে বীরবাহুর মৃত্যু কে অপবাদ বলা হযেছে।
বক্তা রাবণ পুত্র মেঘনাদ ধাত্রী মাতার ছদ্মবেশে থাকা লক্ষী দেবীর কাছ থেকে জানতে পারেন যে, তুৃচ্ছ মানব রামচন্দ্র তার মায়াবী ক্ষমতার জোরে পুনরায় জীবিত হয়ে মেঘনাদের প্রিয়ানুজ বীরবাহু কে যুদ্ধক্ষেত্রে হত্যা করেছেন। এই সংবাদটি পেয়ে লঙ্কেশ্বর যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। লঙ্কা শত্রু পরিবেষ্টিত, এই অবস্থায় লঙ্কায় ত্রিলােক জয়ী বীর পুত্র ইন্দ্রজিৎ প্রমােদ উদ্যানে বামাদের সঙ্গে আমােদ-প্রমােদে মন্ত। এটা বড় লঙ্কার ব্যাপার কোন বীরের পক্ষে এটি একটি বড় অপবাদ।
• এই কারণে তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে যাবার জন্য তাড়াতাড়ি রথ আনার আদেশ দেন রথ আসার সঙ্গে সঙ্গে মেঘনাথ রণসজ্জায় সজ্জিত হয়ে ওঠেন। কার্তিক তারকাসুর বধের জন্য যেমন ভাবে উঠেছিলেন বা বৃহল্পলারুগী অর্জুন বিরাট রাজের গােধন উদ্ধারের জন্য যেভাবে রণসাজে সেজেছিলেন, ঠিক সেই ভাবেই সেজে ওঠেন ইন্দ্রজিৎ, এরপর প্রমিলা সুন্দরীর কাছে বিদায় গ্রহণ করে তিনি রাজসভায় রাবণ সমীপে উপনীত হয়ে রাঘবের বধের অনুমতি প্রার্থনা করেন
৩. 'তোমাদের কাছে আমি লজ্জিত।'— বক্তা কাদের কাছে কেন লজ্জিত তা সিরাজদ্দৌলা নাট্যাংশ অনুসরণে আলােচনা করাে।
উত্তর :- শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের লেখা সিরাজউদ্দৌলা নাট্যাংশের অন্তর্গত প্রশ্নস্কৃত বাক্যটিতে নবাব সিরাজউদ্দৌলা ফরাসিদের কাছে লজ্জিত হয়েছেন।
• ফরাসি বণিকরা বহুদিন থেকে বাংলাদেশে ব্যবসা বাণিজ্য করছে।ঔপনিবেশিক প্রতিযোগিতার কারণবশত ইংরেজ ও ফরাসিরা চিরশত্রু। এই শ্রুতা বাংলার বুকেও তারা বজায় রেখেছে।ইংরেজরা নবাবের অনুমতি না নিয়ে চন্দননগর অধিকার করেছে।ফরাসি বাণিজ্যকুঠি গুলি তাদের ছেড়ে দেওয়া হােক বলে দাবি জানাছে। এ নবাবের কাছে দুঃখের ঘটনা। ইংরেজ ফরাসি অন্তর্কলহ অনেক পুরনাে নবাব তা জানেন। সুতারাং নবাবের কাছে ইংরেজদের হঠকারিতা, আক্রমণ এবং দখলদারির প্রতিকার চেয়ে ফরাসিদের দূত হয়ে এসেছেল মসিয়ে লা। কিন্তু নবাব এর প্রতিকারের উদ্যোগ এখনই নিতে অপারগ বলে মসিয়ে লা কে জানান। কিন্তু যুদ্ধ করে নবাবের বহু লােকক্ষয় হয় ও অর্থ ব্যয় হয়েছে। তাছাড়া এই ইংরেজদের ষড়যন্ত্রে নবাব। অতিরিক্ত বিরক্ত হিয়েছেন এবং আসন্ন যুদ্ধের মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই অবস্থায় নিজের রাজ্যের নিরাপত্তা চিন্তার পরিবর্তে তিনি ফরাসিদের সাহায্য করবার জন্য ইংরেজদের সঙ্গে নতুন করে অবিরুদ্ধে যেতে চাইছেন না । ফরাসিদের বণিকদের প্রতিনিধি মসিয়ে লা কে এই সাহায্য হীনতার কথা জানাতে বক্তা সিরাজ লজ্জিত
৪. ওই ভাঙা-গড়া খেলা যে তার কিসের তবে ডর?- কবির এই মন্তব্যটি কোন ইঙ্গিতবাহী ?
উত্তর :- প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশটি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা প্রলয়োল্লাস কবিতা থেকে গৃহীত।
আলােচ্য কবিতায় কবি কালবৈশাখীর উপময় দেশের যুব শক্তির প্রাণবন্ত এবং ভেজোদীন্ত স্বরুপকে তুলে ধরেছেন যুগ যুগ ধরে তিনি লক্ষ্য করেছেন কোন অরাজক পরিস্থিতি চিরস্থায়ী হয় না। সমকালীন সময়ে তিনি দেখেছেন দুর্নীতি ইংরেজ অত্যাচার, ধর্মীয় ভন্ডামি। তাই নিয়ে এই অবস্থার অবসান চান| এসকল অবস্থার অবসান ঘটাতে পারে তরুণ দল।
কবির ভরসা আছে এদের ওপর। শিবের নটরাজ প্রলয় নৃত্যের মধ্যা কিংবা যুবসমাজের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের নেপথ্যে লুকিয়ে আছে সত্য-সুন্দর প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা ।
তাই কবি কাজী নজরুল ইসলাম এই প্রলয়ংকর ভাঙ্গন দেখে ভয় পেতে নিষেধ করেছেন। কারণ, পুরনাে-অসুন্দের-প্রবীণ ধ্বংস না হলে চিরসুন্দর নবীন প্রাণের প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। সুষ্ট-স্থিতি-প্রলয় ধারক মহাকাল।তাই তিনি যে ধ্বংসের খেলা করেছেন তা দেখে ভয় না পেয়ে সাহস নিয়ে সকলকে সামনের দিকে এগিয়ে চলতে হবে।
৫. 'বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে, কিন্তু শখ ষোলআনাই বজায় আছে। বাবুটি কে? তার স্বাস্থ্য এবং যােলােআনা শখের পরিচয় দাও।
উত্তর :- বাবুটি বলতে এখানে কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত পথের দাবি রচনা অংশের গিরীশ মহাপাত্রের কথা বলা হয়েছে ।
গিরিশ কে দেখলে মনে হয় কি একটা দুরারোগ্য রােগ যেন তাকে প্রবল ভাবে গ্রাস করতে চায়। তবে তার সাজপোশাকের সৌখিনতা বিশেষভাবে চোখে পড়ার মতো।
তার মাথার সামনের দিকে বড় বড় চুল। কিন্তু ঘাড় কানের দিকে একেবারে নেই বললেই চলে । মাথায় চেরা সিথি, কঠিন ও রুমচুলে লেবুর তেল ঢেলেছেন পর্যাপ্ত পরিমাণে ও তার নিদারুণ গন্ধে ঘর ভরে উঠেছে। তার গায়ে জাপানি সিল্কের রামধনু রঙের চুড়িদার পাঞ্জাবি। পাঞ্জাবির বুক পকেট বাঘ আঁকা রুমালের কিছু অংশ দেখা যাচ্ছে।
পড়নে বিলাতি মিলের কালো মখমল পাড়ের সক্ষম ধুতি, পায়ে সবুজ রঙের ফুল মােজা হাঁটুর উপরে লাল ফিতা দিয়ে বাঁধা বার্নিশ করা পাম্প ও মজবুত ও টেকসই করার জন্য আগাগােড়া লােহার নাল দিয়ে বাঁধানাে। হাতে একগাছি হরিণের শিং এর হাতল দেওয়া বেতের ছড়ি। দিন কয়েকের জাহাজের ধকলে সবকিছুই নােংরা হয়ে উঠেছে।
দশম শ্রেণীর বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর পার্ট ৩

১. তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যায়।- 'বহরুপী গল্পের আলােকে উদ্ধৃতিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর :- সুবোধ যোষ রচিত বহুরূপী গল্পের প্রধান চরিত্র হরিদা বিশেষ চরিত্র গুনে সামান্য বহুরূপী থেকে যথা্থ "শিল্পীর মর্যাদায় উন্নীত হয়েছেন তিনি।
বিরাগীর সাজ গ্রহণ করে বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি জগদীশ বাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন তার সাজ এবং অভিনয় এত নিখুত ছিল যে তার পরিচিতরাও তাকে চিনতে পারেননি। জগদীশবাবুর কাছ থেকে 101 টাকা রােজগারের সুযােগ থাকলেও হরিদা এই সুযােগ গ্রহণ করেননি ।কারণ তিনি তখন বিরাগী আর এই অর্থ-সম্পদের মােহ মুক্ত টাকাটা নিলে তার বিরাগী সাজের মর্যাদা ক্ষয় হয় শিল্পীর কাছে শিল্পের মর্যাদা টাই বড়। ভার ব্যক্তিগত দারিদ্র দুঃখ-কষ্ট নিতান্তই তুচ্ছ। তাই একজন বিরাগীর মতােই তিনি অর্থের লােভ বর্জন করেন ।
২. 'ঘুচাব এ অপবাদ, বধি রিপুকুলে।- বক্তা কে? কোন অপবাদের কথা তিনি বলেছেন? উক্ত অপবাদ ঘােচানাের জন্য তিনি কীভাবে প্রস্তুত হলেন ?
উত্তর :- মাইকেল মধুসূদন দত্ত বীরােচিত মেঘনাদবধ কাব্যের অন্তর্গত অভিষেক কাব্যাংশ থেকে উদ্ধৃত উক্তিটির বক্তা ত্রিভুবন বিজয়ী মেঘনাদ।
লংকা পুরি কে শত্রু সৈন্যদল সবদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে এবং সামান্য নর রামচন্দ্রের হাতে বীরবাহুর মৃত্যু কে অপবাদ বলা হযেছে।
বক্তা রাবণ পুত্র মেঘনাদ ধাত্রী মাতার ছদ্মবেশে থাকা লক্ষী দেবীর কাছ থেকে জানতে পারেন যে, তুৃচ্ছ মানব রামচন্দ্র তার মায়াবী ক্ষমতার জোরে পুনরায় জীবিত হয়ে মেঘনাদের প্রিয়ানুজ বীরবাহু কে যুদ্ধক্ষেত্রে হত্যা করেছেন। এই সংবাদটি পেয়ে লঙ্কেশ্বর যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। লঙ্কা শত্রু পরিবেষ্টিত, এই অবস্থায় লঙ্কায় ত্রিলােক জয়ী বীর পুত্র ইন্দ্রজিৎ প্রমােদ উদ্যানে বামাদের সঙ্গে আমােদ-প্রমােদে মন্ত। এটা বড় লঙ্কার ব্যাপার কোন বীরের পক্ষে এটি একটি বড় অপবাদ।
• এই কারণে তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে যাবার জন্য তাড়াতাড়ি রথ আনার আদেশ দেন রথ আসার সঙ্গে সঙ্গে মেঘনাথ রণসজ্জায় সজ্জিত হয়ে ওঠেন। কার্তিক তারকাসুর বধের জন্য যেমন ভাবে উঠেছিলেন বা বৃহল্পলারুগী অর্জুন বিরাট রাজের গােধন উদ্ধারের জন্য যেভাবে রণসাজে সেজেছিলেন, ঠিক সেই ভাবেই সেজে ওঠেন ইন্দ্রজিৎ, এরপর প্রমিলা সুন্দরীর কাছে বিদায় গ্রহণ করে তিনি রাজসভায় রাবণ সমীপে উপনীত হয়ে রাঘবের বধের অনুমতি প্রার্থনা করেন
৩. 'তোমাদের কাছে আমি লজ্জিত।'— বক্তা কাদের কাছে কেন লজ্জিত তা সিরাজদ্দৌলা নাট্যাংশ অনুসরণে আলােচনা করাে।
উত্তর :- শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের লেখা সিরাজউদ্দৌলা নাট্যাংশের অন্তর্গত প্রশ্নস্কৃত বাক্যটিতে নবাব সিরাজউদ্দৌলা ফরাসিদের কাছে লজ্জিত হয়েছেন।
• ফরাসি বণিকরা বহুদিন থেকে বাংলাদেশে ব্যবসা বাণিজ্য করছে।ঔপনিবেশিক প্রতিযোগিতার কারণবশত ইংরেজ ও ফরাসিরা চিরশত্রু। এই শ্রুতা বাংলার বুকেও তারা বজায় রেখেছে।ইংরেজরা নবাবের অনুমতি না নিয়ে চন্দননগর অধিকার করেছে।ফরাসি বাণিজ্যকুঠি গুলি তাদের ছেড়ে দেওয়া হােক বলে দাবি জানাছে। এ নবাবের কাছে দুঃখের ঘটনা। ইংরেজ ফরাসি অন্তর্কলহ অনেক পুরনাে নবাব তা জানেন। সুতারাং নবাবের কাছে ইংরেজদের হঠকারিতা, আক্রমণ এবং দখলদারির প্রতিকার চেয়ে ফরাসিদের দূত হয়ে এসেছেল মসিয়ে লা। কিন্তু নবাব এর প্রতিকারের উদ্যোগ এখনই নিতে অপারগ বলে মসিয়ে লা কে জানান। কিন্তু যুদ্ধ করে নবাবের বহু লােকক্ষয় হয় ও অর্থ ব্যয় হয়েছে। তাছাড়া এই ইংরেজদের ষড়যন্ত্রে নবাব। অতিরিক্ত বিরক্ত হিয়েছেন এবং আসন্ন যুদ্ধের মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই অবস্থায় নিজের রাজ্যের নিরাপত্তা চিন্তার পরিবর্তে তিনি ফরাসিদের সাহায্য করবার জন্য ইংরেজদের সঙ্গে নতুন করে অবিরুদ্ধে যেতে চাইছেন না । ফরাসিদের বণিকদের প্রতিনিধি মসিয়ে লা কে এই সাহায্য হীনতার কথা জানাতে বক্তা সিরাজ লজ্জিত
৪. ওই ভাঙা-গড়া খেলা যে তার কিসের তবে ডর?- কবির এই মন্তব্যটি কোন ইঙ্গিতবাহী ?
উত্তর :- প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশটি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা প্রলয়োল্লাস কবিতা থেকে গৃহীত।
আলােচ্য কবিতায় কবি কালবৈশাখীর উপময় দেশের যুব শক্তির প্রাণবন্ত এবং ভেজোদীন্ত স্বরুপকে তুলে ধরেছেন যুগ যুগ ধরে তিনি লক্ষ্য করেছেন কোন অরাজক পরিস্থিতি চিরস্থায়ী হয় না। সমকালীন সময়ে তিনি দেখেছেন দুর্নীতি ইংরেজ অত্যাচার, ধর্মীয় ভন্ডামি। তাই নিয়ে এই অবস্থার অবসান চান| এসকল অবস্থার অবসান ঘটাতে পারে তরুণ দল।
শিকল দেবীর ওইযে পূজা বেদি
চিরকাল কি বইবে থাড়া?
পাগলামি তুই আয় রে দুয়ার ভেদি
কবি মেতে ওঠে প্রলয়োল্লাস তরুণ দল যেনো
ঝড়ের মাতল বিজয়-কেতন ওড়ে
অট্টহাস্য আকাশখানা ফেড়ে মত্ত হয়ে ওঠে ।
কবির ভরসা আছে এদের ওপর। শিবের নটরাজ প্রলয় নৃত্যের মধ্যা কিংবা যুবসমাজের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের নেপথ্যে লুকিয়ে আছে সত্য-সুন্দর প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা ।
তাই কবি কাজী নজরুল ইসলাম এই প্রলয়ংকর ভাঙ্গন দেখে ভয় পেতে নিষেধ করেছেন। কারণ, পুরনাে-অসুন্দের-প্রবীণ ধ্বংস না হলে চিরসুন্দর নবীন প্রাণের প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। সুষ্ট-স্থিতি-প্রলয় ধারক মহাকাল।তাই তিনি যে ধ্বংসের খেলা করেছেন তা দেখে ভয় না পেয়ে সাহস নিয়ে সকলকে সামনের দিকে এগিয়ে চলতে হবে।
৫. 'বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে, কিন্তু শখ ষোলআনাই বজায় আছে। বাবুটি কে? তার স্বাস্থ্য এবং যােলােআনা শখের পরিচয় দাও।
উত্তর :- বাবুটি বলতে এখানে কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত পথের দাবি রচনা অংশের গিরীশ মহাপাত্রের কথা বলা হয়েছে ।
গিরিশ কে দেখলে মনে হয় কি একটা দুরারোগ্য রােগ যেন তাকে প্রবল ভাবে গ্রাস করতে চায়। তবে তার সাজপোশাকের সৌখিনতা বিশেষভাবে চোখে পড়ার মতো।
তার মাথার সামনের দিকে বড় বড় চুল। কিন্তু ঘাড় কানের দিকে একেবারে নেই বললেই চলে । মাথায় চেরা সিথি, কঠিন ও রুমচুলে লেবুর তেল ঢেলেছেন পর্যাপ্ত পরিমাণে ও তার নিদারুণ গন্ধে ঘর ভরে উঠেছে। তার গায়ে জাপানি সিল্কের রামধনু রঙের চুড়িদার পাঞ্জাবি। পাঞ্জাবির বুক পকেট বাঘ আঁকা রুমালের কিছু অংশ দেখা যাচ্ছে।
পড়নে বিলাতি মিলের কালো মখমল পাড়ের সক্ষম ধুতি, পায়ে সবুজ রঙের ফুল মােজা হাঁটুর উপরে লাল ফিতা দিয়ে বাঁধা বার্নিশ করা পাম্প ও মজবুত ও টেকসই করার জন্য আগাগােড়া লােহার নাল দিয়ে বাঁধানাে। হাতে একগাছি হরিণের শিং এর হাতল দেওয়া বেতের ছড়ি। দিন কয়েকের জাহাজের ধকলে সবকিছুই নােংরা হয়ে উঠেছে।
Comments
Post a Comment