মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দশম শ্রেণি জীবনবিজ্ঞান
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দশম শ্রেণি জীবনবিজ্ঞান Part 1:
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখো:
১. স্নায়ুকোশের একটি পরিছন্ন চিত্র অঙ্কন করো এবং নিম্নলিখিত অংশগুলো চিহ্নিত করো |
ক) ডেন্ড্রন খ) সোয়ান কোশ গ) প্রান্তবুরুশ ঘ) অ্যাক্সোলেমা
উত্তর:

২. জীবের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টিতে মিয়োসিসের ভূমিকা উল্লেখ করো | মাইটোসিস কোশ বিভাজনের অ্যানাফেজ দশার তিনটি বৈশিষ্ট্য লেখো |
উত্তর:
জীবের মধ্যে প্রকরণ সৃষ্টিতে মিয়োসিসের ভূমিকা
i.এই দশায় প্রতিটি ডিপ্লয়েড জনন মাতৃকোশ থেকে চারটি হ্যাপ্লয়েড জনন মাতৃকোশ তৈরী হয়
ii.মিয়োসিস I হল হ্রাস বিভাজন ও মিয়োসিস II হল সম বিভাজন
iii.মিয়োসিস কোশ বিভাজনে ক্রসিং ওভার ঘটে তাই ক্রোমোজমের জিনের পুনর্বিন্যাস দেখা যায় |উভয় প্রকার গ্যামেট মিলনের ফলে অপত্য স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য যুক্ত হয়.
মাইটোসিস কোশ বিভাজনের অ্যানাফেজ দশার তিনটি বৈশিষ্ট্য
i. এই দশার শুরুতে ক্রোমোজমের সেন্ট্রোমিয়ার দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়|
ii. সেন্ট্রোমিয়ারের অবস্থান অনুযায়ী ক্রোমোজমগুলিকে V, L, J, I ইত্যাদি আকৃতির দেখতে হয়|
iii. বেমতন্তুগুলি পরস্পর মিলিত হয়ে স্টেম বডি তৈরী করে |
৩.অগ্রস্থ প্রকটতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে যে উদ্ভিদ হরমোন তার তিনটি ভূমিকা লেখো|রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিনের ভূমিকা উল্লেখ করো|
উত্তর:
অগ্রস্থ প্রকটতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে অক্সিন হরমোনের ভূমিকা:
i. কোশের আয়তন প্রসারণ ও বিভাজন দ্বারা উদ্ভিদের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে |
ii. উদ্ভিদের ট্রপিক চলন নিয়ন্ত্রণ করে |
iii. এছাড়া উদ্ভিদের অঙ্গ বিভেদ নিয়ন্ত্রণ ও লিঙ্গ নির্ধারণে সহায়তা করে |
ইনসুলিনের ভূমিকা:
i. ইনসুলিন আমাদের দেহে শর্করার পরিমান বৃদ্ধি ঘটায় |
ii. এটি যকৃত ও পেশি কোশে গ্লাইকোজেনেসিস ঘটাতে সহায়তা করে |
iii. এই হরমোন শর্করার দহন নিয়ন্ত্রণ করে ও শর্করা থেকে পাইরুভিক অ্যাসিড পরিণত করতে সহায়তা করে |
৪.মাছের সন্তরণে পাখনার গুরুত্ব নির্ধারণ করো | হাঁটু ও কাঁধে কোন কোন ধরনের অস্থিসন্ধি ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: মাছের দেহে সর্বমোট সাতটি পাখনা আছে।
- একটি পৃষ্ঠপাখনা
- একটি পায়ুপাখনা
- একটি পুচ্ছপাখনা
- একজোড়া বক্ষ
- এক জোড়া শ্রোণী পাখনা
পাখনা | গুরুত্ব |
বক্ষপাখনা | মাছকে জলের বাধা কেটে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে | এটির সাহায্যে মাছ জলের গভীরে প্রবেশ করতে পারে এবং ভেসে উঠতে সাহায্য করে | |
শ্রোণীপাখনা | এটির সাহায্যে মাছ জলে ভাসতে পারে। |
পুচ্ছপাখনা | এটির সাহায্যে মাছ জলের দিক পরিবর্তন করতে পারে। |
পৃষ্ঠ ও পায়ু পাখনা | এটির দ্বারা মাছ সন্তরণের সময় মাছের ভারসাম্য রক্ষা করে। |
হাঁটু ও কাঁধে যথাক্রমে কবজা সন্ধি ও বল সকেট সন্ধি ব্যবহৃত হয়.
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দশম শ্রেণি জীবনবিজ্ঞান Part 2:
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:
১. একটি ইউক্যারিওটিক ক্রোমোজোমের অঙ্গসংস্থানের চিত্র অঙ্কন করে নিম্নলিখিত অংশগুলি চিহ্নিত করো
(ক) ক্রোমাটিড (খ) সেন্ট্রোমিয়ার (গ) নিউক্লিওলার অরগানাইজার (ঘ) টেলোমিয়ার
উত্তর:

২. প্রাণীদের গমন এর কারণ গুলি কি কি? ‘ফ্লেক্সর ও এক্সটেনসর পেশির কার্যপদ্ধতি পরস্পরের বিপরীতধর্মী’ ─ উপযুক্ত উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা করো ।
উত্তর: গমনের উদ্দেশ্য:
(i) খাদ্য: মূলত প্রাণীরা খাদ্যের জন্য স্বনির্ভর নয় তাই তাদের খাদ্যের খোঁজ গমনের একটি প্রধান উদ্দেশ্য
(ii) আত্মরক্ষা: শত্রুর আক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রায় গমনের প্রয়োজন হয় |
(iii) প্রজনন: বংশ বিস্তারের জন্য প্রাণীদের অনুকূল পরিবেশের খোঁজে প্রায় গমনের প্রয়োজন হয় |
(iv) আশ্রয়: সুষ্ঠ ভাবে জীবনযাপন করতে ও জৈবিক ক্রিয়াকলাপ সম্পাদনের জন্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর নিরাপদ আশ্রয়ের প্রয়োজন। সেই সূত্রে গমনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
ফ্লেক্সর পেশির কাজ : দুটি অস্থিকে বিভক্ত করে পরস্পরের কাছাকাছি নিয়ে আসা। যেমন: হাতের বাইসেপ্স দুটি অস্থি কে বিভক্ত করে হিউমেরাস ও রেডিয়াসকে পরস্পরের কাছাকাছি নিয়ে আসে।
এক্সটেনসর পেশির কাজ: দুটি অস্থিকে পরস্পর থেকে দূরে নিয়ে যায়। যেমন: ট্রাইসেপস দুটি অস্থিকে (হিউমেরাস ও রেডিয়াসকে) পরস্পর থেকে দূরে নিয়ে যায়।
উপরিউক্ত কাজগুলি থেকে আমরা স্পষ্টবুঝতে পারি যে ‘ফ্লেক্সর ও এক্সটেনসর পেশির কার্যপদ্ধতি পরস্পরের বিপরীতধর্মী’ |
৩. ‘কোশচক্রের S দশাকে সংশ্লেষ দশা বলা হয়’ ─ বাক্যটির যথার্থতা বিচার করো । DNA ও RNA এর পার্থক্য উল্লেখ করো ।
উত্তর: DNA অণুর সংশ্লেষ ঘটে বা প্রতিলিপিকরণ সম্পূর্ন হয় এই দশায় তাই এই দশাকে বলে সংশ্লেষ দশা ।একটি দ্বীতন্ত্রী DNA অণু দৈর্ঘ্য বরাবর দুটি দ্বীতন্ত্রী DNA অণুতে পরিণত হয়।হিস্টোন প্রোটিন সংশ্লেষিত হয় এই দশায়। S দশায় শেষে প্রতিটি ক্রোমোজম দুটি ক্রোমাটিডে বিভক্ত হয় যারা সেন্ট্রোমিয়ার দ্বারা যুক্ত থাকে।প্রতিটি ক্রোমাটিডে একটি করে অপত্য DNA অবস্থান করে।
DNA ও RNA এর পার্থক্য:
DNA | RNA |
নিউক্লিয়াসের ক্রোমোজোমে, এছাড়াও মাইটোকনড্রিয়া ও ক্লোরোপ্লাস্টে থাকে | | নিউক্লিয়াস এবং সাইটোপ্লাজমে থাকে | |
ডি-অক্সিরাইবোজ প্রকৃতির | | রাইবোজ প্রকৃতির | |
অ্যাডেনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন ও থাইমিন | | অ্যাডেনিন, গুয়ানিন, সাইটোসিন ও ইউরাসিল | |
DNA সমস্ত জীবের বংশগত ধারক ও বাহকরূপে কাজ করে | | RNA বংশগতির বাহক বা ধারক রূপে কাজ করে না |
কোশের যাবতীয় কাজের নিয়ন্ত্রণ ও জীবের বৈশিষ্ট্যের বংশ পরম্পরায় সঞ্চারণে সাহায্য করে | | RNA প্রধানত প্রোটিন সংশ্লেষে সাহায্য করে | |
৪. ‘অ্যাড্রিনালিন হরমোন আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে’─ ব্যাখ্যা করো। ট্রপিক ও ন্যাস্টিক চলনের পার্থক্য লেখো ।
উত্তর: অ্যাড্রিনালিন হরমোন আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে | যেমন:
1.হৃৎপিণ্ডের স্পন্দনের হার, সংকোচন বল ও হার্দ উৎপাদ বৃদ্ধি করে |
2. BMR বৃদ্ধি করে এবং দেহতাপ নিয়ন্ত্রণ করে |
3. রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ ও শ্বসনের হার নিয়ন্ত্রণে অ্যাড্রিনালিন হরমোনের ভুমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ |
4. উত্তেজনা, ক্রোধ, ভয় প্রভৃতি অবস্থায় এই হরমোন বেশি পরিমাণে নিঃসৃত হয়ে দেহকে আপৎকালীন বা সংকটকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাহায্য করে |
উপরিউক্ত কারণগুলির জন্যই অ্যাড্রিনালিন হরমোনকে আপৎকালীন হরমোন বলা হয়ে থাকে |
ট্রপিক ও ন্যাস্টিক চলনের পার্থক্য | ||
পার্থক্যের বিষয় | ট্রপিক চলন | ন্যাস্টিক চলন |
উদ্দীপকের ভূমিকা | উদ্দীপকের উৎসের দিকের উপর নির্ভর | | উদ্দীপকের তীব্রতার উপর নির্ভরশীল | |
চলন | এই চলন স্থায়ী | | এই চলন অস্থায়ী | |
অক্সিন হরমোনের প্রভাব | এটি অক্সিন হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত | | এটি অক্সিন হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয় | |
স্থান পরিবর্তন | এই প্রকার চলনে উদ্ভিদের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন ঘটে | | এই প্রকার চলনে উদ্ভিদের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন ঘটে না | |
উদাহরণ | গাছের ডাল সূর্যের আলোর অভিমুখে বেঁকে যায় | | উষ্ণতার উপর নির্ভর করে টিউলিপ ফুল ফোঁটা | |
Comments
Post a Comment