২.১. 'তা আপনার কবিতা শুনছেই বা কে আর পড়ছেই বা কে?’ – একথার উত্তরে শ্রোত কী বলেছিলেন?
উত্তর - প্রশ্নে উদ্ধৃত প্রশ্নসূচক বাক্যটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের " পাগলা গণেশ" নামক গল্পে পাগলা গণেশকে করা হয়েছে।এই প্রশ্নের উত্তরে শ্রোতা অর্থাৎ পাগলা গণেশ বলেন,আকাশ শুনছে,বাতাস শুনছে এবং প্রকৃতি শুনছে।কাগজে লেখা কবিতা ভাসিয়ে দিচ্ছি বাতাসে যদি কেউ কুড়িয়ে পায় আর সেটা পড়তে আগ্রহ প্রকাশ করে,তাহলে পড়বে।
২.২. My Native Land, Good night - উদ্ধৃতিটি কার রচনা থেকে নেওয়া হয়েছে?
উত্তর - মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখা বঙ্গভূমির প্রতি " কবিতা থেকে প্রশ্নে উদ্ধৃত " My native land" অংশ টুকু গৃহীত হয়েছে।
২.৩. 'একুশের কবিতা'য় কোন কোন গানের সুরের প্রসঙ্গ রয়েছে?
উত্তর - আশরাফ সিদ্দিকীর " একুশের কবিতা " নামক কবিতায় " পাখি সব করে রব.. মাতৃভূমি বাংলাদেশ", ভাটিয়ালি,জারি - সারি এমনকি ছোটবেলায় মায়ের মুখে শোনা নানান গানের কলি প্রভৃতি সুরের প্রসঙ্গ রয়েছে।
২.৪. 'অত বড়ো একজন শিল্পীর কাছে শিক্ষালাভ করেছি, আমার সৌভাগ্য। – কার স্মৃতিচারণায় কথক একথা বলেছেন?
উত্তর - রামকিঙ্কর বেইজের " আত্মকথা " নামক গল্পের গল্পকথক নন্দলাল বসুর স্মৃতিচারণায় প্রশ্নে উদ্ধৃত বাক্যটি বলেছেন।
২.৫. 'খোকন অবাক হয়ে গেল।- কোন কথা শুনে খোকন অবাক হলো?
উত্তর - বিখ্যাত গল্পকার বনফুলের লেখা ‘খোকনের প্রথম ছবি’ নামক গল্পে খোকনের বাবার একজন বিখ্যাত চিত্রকর বন্ধু বলেন খোকনের সব ছবি নকল করা তার নিজের কোনো ছবি নেই অর্থাৎ সে যা দেখেছে সেটাই এঁকেছে নিজের থেকে কিছু আঁকেনি; একথা শুনেই খোকন অবাক হয়ে গিয়েছিল।
৩. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো :
৩.১. ‘জীবন হবে পদ্যময় । - জীবন কীভাবে পদ্যময় হয়ে উঠবে বলে কবি মনে করেন?
উত্তর - বিখ্যাত কবি অজিত দত্তের " ছন্দে শুধু কান রাখো" কবিতায় কবি সমগ্র কবিতাতেই ছন্দের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার কথা বলেছেন। কবির মতে পরিবেশে অহরহই ঘটে চলেছে কোনো না কোনো ঘটনা।কোনোটি প্রাকৃতিক আবার কোনোটি যান্ত্রিক। কিন্তু প্রতিটি ঘটনারই রয়েছে নির্দিষ্ট ছন্দ।সঠিকভাবে আমরা মনোনিবেশ করতে পারি না,তাই আমাদের জীবনে প্রকৃত আনন্দ থাকে না।একাগ্র চিত্তে কান পেতে পরিবেশের ছন্দ বুঝতে পারলে কবির মতে আমাদের জীবনটা আনন্দে পরিপূর্ণ অর্থাৎ পদ্যময় হয়ে উঠবে।
৩.২. অমর করিয়া বর দেহ দাসে, সুবরদে - "সুবরদে" শব্দের অর্থ কী? কবি তাঁর কাছে অমরতার প্রত্যাশী কেন?
উত্তর - প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্যটি মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখা" বঙ্গভূমির প্রতি" নামক কবিতার অংশ; সুবরদে' শব্দটি সেই কবিতাতেই পাই যার অর্থ হলো শুভ আশীর্বাদ দান করেন যিনি অর্থাৎ বর দাত্রী। কবি মধুসূদন দত্ত উপলব্ধি করেন তিনি জিবনের অনেক মূল্যবান বস্তু, সমম, শক্তি ও সম্পদ নষ্ট করে ফেলেছেন; অনেক বড়ো ভুল করেছেন। যখন মাতৃভূমির জন্য কিছু করার প্রয়োজন ছিল তখন তিনি বিদেশে গিয়েছিলেন। তিনি মাতৃভূমির কাছে নিজের দোষ স্বীকার করে বলেছেন তিনি মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে পারেন নি।তিনি এখন মা অর্থাৎ মাতৃভূমির কাছে ব্যাকুল ভাবে আবেদন করছেন যেনো মাতৃভূমি তাকে ক্ষমা করেন।তিনি সুবরদে মায়ের কাছে অমরত্বের বর ছেয়েছেন।কবি চেয়েছেন যেনো তিনি মায়ের জন্য কিছু করে সৃষ্টির মাঝে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারেন, চির জীবিত থাকতে পারেন অর্থাৎ তিনি মায়ের সেবার মাধ্যমে অমর হয়ে থাকতে চেয়েছেন।তাই তিনি অমরত্বের বর পার্থনা করেছিলেন।
৩.৩. সেই তো আমার পরম পুলক - 'আঁকা, লেখা কবিতায় কবি কখন পুলকিত হন?
উত্তর - কবি মৃদুল দাশগুপ্তের" আঁকা,লেখা" কবিতার কথক রাত্রে যখন প্রকৃতি জ্যোৎস্নাময় হয়ে নিজেই চিত্রবিষয় হয়ে ওঠে এবং মৃদু বাতাস বইতে থাকে তখন কবি বসেন ছড়ার ঘনিয়ে তোলার জন্য।কবি উপলব্ধি করেন তখন যেনো তারাগুলিও কবির ঘনিষ্ট হয়ে ওঠে।এই মুগ্ধকর পরিবেশকে ত্বরান্বিত করে গাছের উপর জোনাকিরা লিখে অ,আ।এই সময় কবির মন পুলকিত হয়ে ওঠে।
৩.৪. 'কুতুব মিনারের কথা' রচনাংশ অনুসরণে কুতুব মিনারের নির্মাণ শৈলীর বিশিষ্টতা আলোচনা করো।
উত্তর - কুতুবমিনারের পূর্ববর্তীকালীন অন্য কোনো মিনারের নিদর্শন শুধুই এদেশে নয়,ইরান-তুরানেও নেই। এটি সম্রাট কুতুবউদ্দিন আইবক নির্মিত এক বিজয়স্তম্ভ।কুতুব পাঁচতলার মিনার। প্রথম তলায় আছে বাঁশি ও'কোণ'-এর নকশা।কুতুবের দ্বিতীয় তলায় আছে শুধু বাঁশি আর তৃতীয় তলায় শুধু কোণের নকশা। চতুর্থ আর পঞ্চম তলাতে কী ছিল তা জানা সম্ভব নয়, কারণ তা বজ্রাঘাতে ভেঙে গিয়েছিল।মিনারটির গায়ের কারুকার্য অতি অদ্ভুত।সমস্ত মিনারটিকে কোমরবন্ধের মতো ঘিরে রয়েছে সারি সারি লতাপাতা, ফুলের মালা এবং চক্রের নকশা আর দেয়ালে আরবি লেখার সারি।গোটা মিনারটির পরিকল্পনা মুসলমানদের আর যাবতীয় কারুকার্য করেছেন হিন্দুরা।কুতুবমিনারের মিনারেটগুলি অপ্রতিদ্বন্দ্বী।
৪. নির্দেশ অনুসারে উত্তর দাও :
৪.১. ‘খাটি দেশি শব্দ’ বলতে কী বোঝ?
উত্তর - বাংলা ভাষাভাষীদের ভূখণ্ডে অনেক আদিকাল থেকে যারা বাস করতো, সেইসব আদিবাসীদের ভাষার যে সব শব্দ বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে, সে সব শব্দকে বলা হয় খাঁটি দেশি শব্দ৷
৪.২. ‘তদ্ভব শব্দ’ কীভাবে গড়ে উঠেছে?
উত্তর - বাংলা ভাষা গঠনের সময় প্রাকৃত বা অপভ্রংশ থেকে যে সব শব্দ পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছিলো,সেগুলোকেই বলা হয় তদ্ভব শব্দ।তদ্ভব শব্দের মূল অবশ্যই সংস্কৃত ভাষায় থাকতে হবে। অর্থাৎ, যে সব শব্দ সংস্কৃত থেকে পরিবর্তিত হয়ে প্রাকৃত বা অপভ্রংশে ব্যবহৃত হয়েছিলো,পরে আবার প্রাকৃত থেকে পরিবর্তিত হয়ে বাংলায় গৃহীত হয়েছে, সেগুলোকেই বলা হয় তদ্ভব শব্দ।এভাবেই তদ্ভব শব্দ গড়ে উঠেছে।
৪.৩. অর্ধ-তৎসম বা ভগ্ন-তৎসম শব্দের দু'টি উদাহরণ দাও।
উত্তর - জ্যোৎস্না > জ্যোছনা,শ্রাদ্ধ>ছেরাদ্দ,গৃহিণী >গিন্নী, বৈষ্ণবৎ> বোষ্টম, কুৎসিত>কুচ্ছিত।
৪.৪. ‘বাঙালি পদবির ইংরেজি ধরনের উচ্চারণে হ্রস্বস্বরচিহ্ন হবে।' – উদাহরণ দাও। -
উত্তর - বাঙালি পদবীর ইংরেজি ধরনের উচ্চারণে হ্রস্ব সর চিহ্ন হবে উদাহরণ হলো গাঙ্গুলি (' গাঙ্গুলী ' দীর্ঘকার হবে না) ও চ্যাটার্জি ( ' চ্যাটার্জী ' দীর্ঘকার হবে না)
৫. পত্র রচনা করো :
৫.১. তোমাদের অঞ্চলে একটি পাঠাগার স্থাপনের অনুরোধ জানিয়ে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে একটি আবেদনপত্র লেখো।
উত্তর -
মাননীয় , সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক ব্লক --ব্লকের ঠিকানা (যে জায়গায় ব্লক আছে সেই জায়গার নাম) জেলা :
বিষয়: __ এখানে তোমাদের গ্রামের নাম হবে পাড়ায় একটি পাঠাগার স্থাপনের জন্য আবেদন।
মহাশয় / মহাশয়া,
আপনার নিকট সম্মানপূর্বক বনীত নিবেদন এই যে, আমাদের _____ (এখানে তোমাদের গ্রামের নাম হবে) পাড়ায় উচ্চবিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীসহ জনসংখ্যা প্রায় দশ হাজারের ওপরে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, এখানে কোনো পাঠাগার নেই। শিক্ষার্থীদের জ্ঞানচর্চা, মানসগঠন ও সৃজনশীল চেতনা বিকাশে একটি পাঠাগার খুবই প্রয়োজন। তাছাড়া এলাকায় দৈনিক পত্রিকা ও সাময়িক পত্র-পত্রিকা পড়ারও কোনো ব্যবস্থা নেই। এখানে একটি পাঠাগার হলে তরুণরাও তাদের অলস সময়কেই জ্ঞানচর্চা, মানসগঠন ও সৃজনশীল চেতনা বিকাশে একটি পাঠাগার খুবই প্রয়োজন। তাছাড়া এলাকায় দৈনিক পত্রিকা ও সাময়িক পত্র-পত্রিকা পড়ারও কোনো ব্যবস্থা নেই। এখানে একটি পাঠাগার হলে তরুণরাও তাদের অলস সয়ককে জ্ঞানচর্চার মতো প্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় করতে পারবে।
অতএব, মহাশয় ______ (এখানে তোমাদের গ্রামের নাম হবে) পাড়ায় সকল বয়সের জনসাধারনের উপকারের কথা বিবেচনা করে অতিসত্ত্বর এখানে একটি পাঠাগার স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
ঠিকানা :
ধন্যবাদান্তে
গ্রামের অধিবাসীদের পক্ষ থেকে
৫.২. বিদ্যালয়ের বার্ষিক পত্রিকা প্রকাশের আবেদন জানিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে একটি চিঠি লেখো।
উত্তর -
মাননীয়, প্রধান শিক্ষক মহাশয়, ____________ (স্কুলের নাম) ____________ (ঠিকানা)
মহাশয়, আমরা আপনার বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রী। বহুদিন যাবৎ আমাদের স্কুলের বার্ষিক পত্রিকা প্রকাশ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দ্যোগে নিয়ে এই পত্রিকাটি পুনরায় প্রকাশ করার জন্য মনস্থ করেছি। এখন এই বিষয়ে আপনার অনুমতি ও মতামত একান্ত প্রয়োজনীয়। আপনার অনুমতি নিয়েই আমরা ছাত্ররা ও শ্রদ্ধেয় শিক্ষকগন পত্রিকাটি ছাপার জন্য প্রেসের সঙ্গে আলোচনা আরম্ভ করবো।
এমতাবস্থায়, আপনার কাছে আমাদের বিনীত নিবেদন এই যে আপনি আপনার মূল্যবান পরামর্শ ও প্রয়োজনীয় অনুমতি দিয়ে স্কুলের বার্ষিক পত্রিকা প্রকাশে সাহায্য করুন।
অন্তবর্তী প্রস্তুতিকালীন মূল্যায়ন বিদ্যালয়ের নাম :- শিক্ষার্থীর নাম :- শ্রেণি : - দশম বিভাগ:- ক ক্রমিক সংখ্যা :- বিষয় :- জীবন বিজ্ঞান শিক্ষাবর্ষ : - 2021 কোষ বিভাজন যে প্রক্রিয়ায় মাতৃ কোষ বিভাজিত হয়ে অপত্য কোষ সৃষ্টি করে তাকে কোষ বিভাজন বলে। কোষ বিভাজনের প্রকারভেদ এটি প্রধানত তিন প্রকারের। যথা-- 1) মাইটোসিস। 2) মিয়োসিস। 3) অ্যামাইটোসিস মাইটোসিস কোষ বিভাজন :- যে প্রক্রিয়ায় মাতৃ কোষের নিউক্লিয়াস একবার মাত্র বিভাজিত হয়ে সমআকৃতি, সমগুন, সমসংখ্যক ক্রোমোজোম বিশিষ্ঠ দুটি অপত্য কোষ সৃষ্টি করে তাকে মাইটোসিস কোষ বিভাজন বলে। মাইটোসিস কোষ বিভাজনে মাতৃকোষ থেকে সৃষ্ট অপত্য কোষে ক্রোমোজোম সংখ্যা ও সাইটোপ্লাজম এর পরিমান একই থাকে। তাই মাইটোসিস কে সম বিভাজন বা সদৃশ বিভাজন বলে। মাইটোসিস কোষ বিভাজনের স্থান বর্ধনশীল মূলের অগ্রভাগে এবং কাণ্ডে...
Subscribe Our Youtube Channel Like Our Facebook Page 1. Write a letter to the editor of a newspaper (within 100 words) about the problems faced by commuters due to reckless driving of public vehicles. To The Editor The Telegraph Kolkata-700 001 Date: 16 March, 2021 Subject: Reckless driving. Sir/ Madam, I shall be highly obliged to you if you kindly publish this representation against reckless driving in your esteemed daily. At present journey by bus or mini-bus has been awfully perilous. The drivers drive their vehicles at break-neck speed. They seem to have no respect for traffic rules. In most cases, road accidents take place on account of reckless driving. Besides, over-taking is common to all drivers. Several accidents were caused in the past for over-taking. There are policemen to control the traffic, but everybody...
Comments
Post a Comment