Skip to main content

Geography Model Activity Task Class 2021



 Class 9 Model Activity Task Geography  Part 1 -2021

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক - 1

নবম শ্রেনী

Geography/ভূগোল

Telegram Link 

ছাত্রসাথী শিক্ষাকেন্দ্ৰ

YouTube Link

Chatrasathi Sikshakendra


1.সৌরজগতের অন্যান্য গ্রহের মধ্যে একমাত্র পৃথিবীর জীবকুলের আবাসস্থল বক্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো ?

সৌরজগতের মোট আটটি গ্রহ রয়েছে এদের মধ্যে সূর্যের থেকে দূরত্বের দিক দিয়ে পৃথিবীর তৃতীয় স্থানে রয়েছে সৌরজগতের মাত্র পৃথিবীতে জীবের অস্তিত্ব লক্ষ করা যায় কারণ এই গ্রহে জীবের বেঁচে থাকার উপযোগী পরিবেশ রয়েছে কি কি কারনে পৃথিবীতে একমাত্র জীবের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায় তা নিচে আলোচিত করা হলো-
পৃথিবীর উষ্ণতা - সূর্য গ্রহ গুলো কে উত্তপ্ত করে সূর্য থেকে পৃথিবীর এমন এক দূরত্ব রয়েছে যার ফলে পৃথিবীর গড় উষ্ণতা 15 ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে যা মানুষ তথা সমস্ত জীবকুলের বসবাসের উপযোগী

পৃথিবীর গতি -পৃথিবী সূর্য থেকে প্রায় 15 কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পৃথিবী নিজের অক্ষের চারপাশে আবর্তন করায় দিনরাত্রি সংঘটিত হয় ফলস্বরূপ করল এর অস্তিত্ব পৃথিবীতে রয়েছে যদি পৃথিবীর আবর্তন না করত পৃথিবীর একপাশে অধিক উষ্ণতার কারণে এবং অপর পাশে অধিক শীতল তার কারণে জীবের অস্তিত্ব বিপন্ন হত অন্যদিকে পৃথিবীর পরিক্রমণ গতির জন্য ঋতু পরিবর্তন হয় উভয় গতির জন্য মানুষের কাজকর্ম এবং বিভিন্ন প্রকার ফসল চাষের উপযোগী পরিবেশ তৈরি হয়েছে
পৃথিবীর অভিকর্ষজ বল -পৃথিবীর অভিকর্ষ বল এমন এক আদর্শ অবস্থায় রয়েছে যার ফলে মানুষ তথা জীবের বেঁচে থাকার উপযোগী হাইড্রোজেন অক্সিজেন নাইট্রোজেন প্রভৃতি দেশগুলির ঠিকঠিক মাত্রায় বায়ুমন্ডলের মধ্যে রয়েছে

জলের উপস্থিতি- জীবনধারণের অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান জল পৃথিবীতে জলের যোগান অক্ষুন্ন রয়েছে জলচক্রের মাধ্যমে জল পৃথিবীর জীব এর ধারক

অক্সিজেন উপস্থিতি অক্সিজেন ছাড়া প্রাণী জগত এক মুহূর্ত বাঁচতে পারবে না জীবের ব্যাপক জারণ-বিজারণ প্রভৃতি কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন একমাত্র পৃথিবীতে পাওয়া যায়

2. চিত্রসহ দিন রাত্রির দৈর্ঘ্যের হাস বৃদ্ধির সংগঠন বর্ণনা করো



উত্তর- পৃথিবীর অভিগত গোলক আকৃতি পৃথিবীর আবর্তন গতি ক্বে উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পৃথিবীর পরিক্রমণ গতি অক্ষরেখা 66 12 ডিগ্রি কোণে হেলে অবস্থান করায় পৃথিবীর সর্বত্র দিন রাত্রির দৈর্ঘ্যের সমান থাকে না নিম্নলিখিত ভাবে পৃথিবীর দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি হয়

একুশে জুন কর্কট সংক্রান্তি উত্তর গোলার্ধে দীর্ঘতম দিন-

পৃথিবী সূর্যের চারপাশে পরিক্রমণ করতে করতে একুশে জুন তারিখে এমন একটি পর্যায়ে উপস্থিত হয় যখন সূর্য কর্কটক্রান্তি রেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয় এই সময় উত্তর গোলার্ধ ও সূর্যের সবচেয়ে কাছে থাকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে সবচেয়ে দূরে থাকে| এই সুমেরুবৃত্ত থেকে সুমেরু বিন্দু পর্যন্ত 24 ঘন্টা সূর্যের আলো পেয়ে থাকে অর্থাৎ 24 ঘন্টায় দিন সেই সুমেরু বৃত্ত থেকে কুমেরু বৃন্দু পর্যন্ত 24 ঘন্টা রাত হয় |

21 মার্চ ও 23 শে সেপ্টেম্বর-

বছরে মাত্র এই দুটি দিনে সূর্য নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয় ফলে উত্তর এবং দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্য থেকে সমান দূরত্বে অবস্থান করে এবং ছায়া বৃত্ত সমস্ত অক্ষরেখা কে সমান দুই ভাগে ভাগ করে ফলে পৃথিবীর সর্বত্র দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য সমান হয় অর্থাৎ 12 ঘণ্টা করে হয় এসব কথা অর্থ সমান 21 শে মার্চকে মহাবিষুব এবং 23 শে সেপ্টেম্বর কে জলবিষুব বলে

22শে ডিসেম্বর-

22 শে ডিসেম্বর তারিখে সূর্য মকর ক্রান্তি রেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয় ফলে দক্ষিণ গোলার্ধ ও সূর্যের সবচেয়ে কাছে অবস্থান করে এবং উত্তর গোলার্ধে সবচেয়ে দূরে অবস্থান করে কুমেরু বৃত্ত থেকে কুমেরু বিন্দু পর্যন্ত এই সময় 24 ঘন্টা দিন থাকে এবং সুমেরু বৃত্ত থেকে সুমেরু বিন্দু পর্যন্ত 24 ঘন্টা রাত থাকে

3. প্রচলিত ও অপ্রচলিত শক্তির মধ্যে পার্থক্য করো ?


প্রচলিত শক্তিঅপ্রচলিত শক্তি
বহুদিন ধরে ব্যবহার করা প্রচলিত পদ্ধতিতে উৎপাদন করা শক্তি হলো প্রচলিত শক্তিকিন্তু প্রাকৃতিক বিভিন্ন উৎস কে কাজে লাগিয়ে পরিবেশ মিত্র নতুন পদ্ধতিতে উৎপাদিত শক্তি হলো অপ্রচলিত শক্তি
কয়লা খনিজ তেল প্রাকৃতিক গ্যাস এবং তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছাড়া প্রবাহমান জল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় এগুলো প্রচলিত শক্তিকিন্তু সূর্যালোক বায়ুপ্রবাহ জোয়ার-ভাটা ভূতাপ জৈব বর্জ্য প্রভৃতি অপ্রচলিত শক্তি
প্রচলিত পদ্ধতিতে একসঙ্গে প্রচুর বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদন করা সম্ভব হয় তাই বড় বড় কল-কারখানা এই শক্তি ব্যবহার বেশিএই পদ্ধতিতে এখনো পর্যন্ত উৎস থেকে খুব বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়নি তাই ছোট ছোট কারখানায় বাড়িতে রান্নার কাজে এই শক্তির ব্যবহার বেশি
জলবিদ্যুৎ ছাড়া বাকি প্রচলিত শক্তির উৎসগুলি পরিবেশে ব্যাপক ক্ষতি করেসম্পূর্ণ পরিবেশ মিত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন পদ্ধতি হলো অপ্রচলিত শক্তি

4. সম্পদ সংরক্ষণের সম্ভাব্য উপায় গুলি লেখ ?

i.সম্পদের অপ্রয়োজনীয়' উৎপাদন এবং ব্যবহার কমাতে হবে
ii.সম্পদের অগ্রাধিকারভিত্তিক ব্যবহার করতে হবে
iii. বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে ও সম্পদ ব্যবহার করতে হবে এবং অপচয় রোধ করতে হবে
iv. সম্পদের পূর্ণ ব্যবহার করতে হবে পুনর্ভব
v. সম্পদের পরিকল্পনামাফিক ব্যবহার করতে হবে
Vi. সম্পদ সংরক্ষণ করার জন্য সরকারকে কড়া আইন তৈরী করতে হবে
Vii. উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্পদের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে হবে

Class 9 Model Activity Task Geography  Part 2 -2021

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক - 2

নবম শ্রেনী

Geography/ভূগোল

 Telegram Link 

ছাত্রসাথী শিক্ষাকেন্দ্ৰ

YouTube Link

Chatrasathi Sikshakendra




নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও:

1কীভাবে  কোরিওলিস বলের প্রভাব বায়ুপ্রবাহ  সমুদ্র স্রোতেকে প্রভাবিত করে ব্যাখ্যা করো 

উ: পৃথিবীর আবর্তন গতির ফলে সৃষ্ট জে বলের প্রভাবে সমুদ্র স্রোত প্রভৃতি গতির বিক্ষেপ হয় তাকে কোরিওলিস বল বলে। ১৮৩৫ সালে ফরাসি পদার্থবিদ এবং গনিতজ্ঞ জি জি কোরিওলিস এই ঘতনা প্রথম লক্ষ্য করেন। বায়ু প্রবাহ  সমুদ্র স্রোতের উপর কোরিওলিস বলের প্রভাব অতন্ত্য সুনির্দিষ্ট

 বায়ু প্রবাহের ওপর প্রভাবঃ পৃথিবীর ওপর প্রবাহিত বায়ু কোরিওলিস বলের প্রভাবে উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেকে প্রবাহিত হয়। নিয়ত বায়ু যেমন আয়ন বায়ুপশ্চিমা বায়ুমেরু বায়ু কোরিওলিস বলের প্রবাহে সারা বছর উত্তর গোলার্ধে ডানদিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বামদিকে বেঁকে প্রবাহিত হয়। কোরিওলিস বলের প্রবাহে উত্তর গোলার্ধে ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে ঘড়ির কাঁটার দিকে চক্রাকারে আবর্তিত হয় 

 

সমুদ্র স্রোতের ওপর প্রভাবঃ প্রশান্ত মহাসাগরআটলান্টিক মহাসাগরভারত মহাসাগর প্রভৃতি মহাসাগরের সমুদ্র স্রোত গুলি কোরিওলিস বলের প্রভাবে উত্তর গোলার্ধে ডান দিকে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাম দিকে বেঁকে প্রবাহিত হয় 

 

2কি কি কাজে GPS ব্যবহৃত হয় ?

উ:  কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের কোন স্থানে অক্ষাংশ  দ্রাঘিমাংশ নির্ণয় করে সেই স্থানের অবস্থান নির্ণয় পদ্ধতিকে গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম  বা সংক্ষেপে GPS 

GPS এর ব্যবহার গুলি নিম্নে আলোচিত হল

  • কোন দেশ বা অঞ্চলের বনভূমি রক্ষণাবেক্ষণে এবং পরিকল্পনা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত হয়
  • ভূমি ব্যবহার সংক্রান্ত সমীক্ষার কাজে GPS ব্যবহৃত হয়। 
  • সমুদ্র তলদেশের মানচিত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। 
  • সমুদ্রে মাছের সহতিক অবস্থান নির্ণয় করতে GPS এর সাহায্য নেওয়া হয়। 
  • নগর পরিকল্পনার কাজে GPS ব্যবহৃত হয়। 
  • বায়ু মণ্ডলে সমীক্ষা করতে GPS ব্যবহৃত হয়। 
GPS
      


3পৃথিবী নিজের অক্ষের চারিদিকে আবর্তিত না হলে কি ঘটনা ঘটবে ? 

উ: পৃথিবী নিজের অক্ষের চারিদিকে আবর্তিত হয় বলে পৃথিবীতে পর্যায়ক্রমে দিন  রাত্রি সংঘটিত হয়। ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা কোথায় খুব কম বা কোথাও খুব বেশি হয় না। পৃথিবী যদি আবর্তিত না হতো তাহলে পৃথিবীর যে দিক সূর্যের সামনে থাকত সেখানে চিরদিন এবং বিপরীত অংশে চিররাত্রি বিরাজ করতো  ফলে সূর্যের সামনের অংশ প্রবল উষ্ণতা এবং বিপরীত দিকে প্রচণ্ড শীতলতা বিরাজ করতো। এইরূপ পরিবেশে কোন জীবের 

পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব হতো না |

 4বর্তমানে অচিরাচরিত শক্তি অধিক প্রসার লাভ করছে কেন ?

উ: বর্তমানে চিরাচরিত শক্তির অধিক প্রসার লাভের কারণ-

  • পূর্ণভব সম্পদঅচিরাচরিত শক্তি গুলি প্রকৃতিতে অফুরন্ত উৎস থেকে উৎপন্ন করা হয় বলে এগুলি শেষ হয়ে যায় না। 
  • পরিবেশ দূষণ কমঅচিরাচরিত শক্তি উৎপাদন করতে পরিবেশ দূষণ হয় না 
  • স্বল্প উৎপাদন ব্যায়অচিরাচরিত শক্তির উতশ গুলি ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র সহজলভ্য এবং পরিবহনের কোন প্রয়োজন হয় না ফলে উৎপাদন ব্যয় খুব কম 
  • স্বল্প বাজারদরঅচিরাচরিত শক্তির উৎপাদন ব্যয় কম বলে এর বাজারদর অনেক কম 
  • নিরাপদ ব্যভারঅচিরাচরিত শক্তির ব্যবহার অনেক সহজ এবং নিরাপদ 
  • স্বল্প মূলধনঅচিরাচরিত শক্তির স্বল্প স্থানে ব্যবহার করা হয় বলে এই প্রকার শক্তি উৎপাদন প্রচুর মূলধনের
  • Telegram Link 

    ছাত্রসাথী শিক্ষাকেন্দ্ৰ

    YouTube Link

    Chatrasathi Sikshakendra



নবম শ্রেণীর ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর পার্ট 3 । Class 9 Geography Model Activity Task Part 3 । 


নবম শ্রেণীর ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর পার্ট 3



নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :

১. চিত্রসহ পৃথিবীর তাপমণ্ডলের বিবরণ দাও।

উত্তর :- পৃথিবী গােলাকার হওয়ায় বিভিন্ন অক্ষাংশ যুক্ত অঞ্চলে সূর্য রশ্মি বিভিন্ন কোনে কিরণ দেয়। কোথাও লম্ব হবে কোথাও তীর্যকভাবে সূর্য রশ্মি ভূপৃষ্ঠের উপর পতিত হয়। ফলস্বরূপ অক্ষাংশের ভিত্তিতে একেকটি উষ্ণতা যুক্ত অঞ্চল পৃথিবীকে
বলের আকারে বেষ্টন করে আছে। এদের তাপবলয় বলা হয়। মােট পাঁচটি তাপবলয় পৃথিবীকে বেষ্টন করে আছে। মূলত এই তাপবলয় গুলিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

নিরক্ষরেখার উত্তবে কর্কটক্রান্তি রেখা থেকে নিরক্ষরেখার দক্ষিনে মকর ক্রান্তি রেখা পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল উষ্ণ মন্ডল নামে পরিচিত। সারাবছর সূর্যরশ্মি লম্বভাবে বা প্রায় লম্ব হবে পতিত হওয়ায় এবং দিন ও রাত্রির দৈর্ঘ্য প্রায় সমান হওয়ায় এখানে উষ্ণমন্ডল গড়ে উঠেছে।

বৈশিষ্ট্য
• সারাবছর এখানে সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পতিত হয়।
• সারাবছর দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য প্রায় সমান থাকে।
• বার্ষিক গড় উষ্ণতা 27 ডিগ্রি সেলসিয়াস।
• অন্যান্য তাপমন্ডল এর তুলনায় উষ্ণতা এখানে বেশি থাকে।
• বার্ষিক উষ্ণতার প্রসর কম হয়।
• এই অঞ্চলে ঋতু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় না৷


নবম শ্রেণীর ভূগোল মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্ন এবং উত্তর পার্ট 3 । Class 9 Geography Model Activity Task Part 3 ।  চিত্রসহ পৃথিবীর তাপমণ্ডলের বিবরণ দাও..। NewsKatha.com


B.নাতিশীতােষ্ণ মন্ডল - উত্তর গােলার্ধে কর্কটক্রান্তি রেখা থেকে সুমেরুবৃত্ত পর্যন্ত এবং দক্ষিণ গোলার্ধে মকর ক্রান্তি রেখা থেকে কুমেরু বৃত্ত পর্যন্ত অঞ্চল নাতিশীতােষ্ণ মন্ডল নামে পরিচিত। উত্তর গোলার্ধে নাতিশীতােষ্ণ মন্ডলকে উত্তর নাতিশীতােষ্ণ মন্ডল এবং দক্ষিণ গোলার্ধে নাতিশীতােষ্ণ মন্ডলকে দক্ষিণ নাতিশীতোষ্ণ মন্ডল বলে। সূর্য রশ্মির পতনকোন মধ্যম প্রকৃতির হওয়ায় নাতিশীতোষ্ণ মন্ডল সৃষ্টি হয়েছে।

বৈশিষ্ট্য-
• সূর্য রশ্মির পতন কোন মধ্যম প্রকৃতির ।
• গড় উষ্ণতা 0 ডিগ্রি থেকে 27 ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ।
• নিম্ন অক্ষাংশ থেকে উচ্চ অক্ষাংশের দিকে তাপমাত্রা দ্রুত কমতে থাকে।
• বার্ষিক উষ্ণতার প্রসর অধিক হয়।
• উষ্ণতার বিচাবে নাতিশীতােষ্ণ মন্ডলকে উষ্ণ নাতিশীতােষ্ণ মন্ডল এবং শীতল নাতিশীতােষ্ণ মন্ডল এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

c.হিমমন্ডল
উত্তর গোলার্ধে সুমেরু বৃত্ত থেকে সুমেরু বিন্দু পর্যন্ত এবং দক্ষিণ গোলার্ধে কুমেরু বৃত্ত থেকে কুমেরু বিন্দু পর্যন্ত অঞ্চল মন্ডল নামে পরিচিত। উত্তর গোলার্ধে হিমমন্ডলকে উত্তর হিমমন্ডল এবং দক্ষিণ গোলার্ধে হিমমন্ডল কে দক্ষিণ হিমমন্ডল বলে।

বৈশিষ্ট্য -

• সূর্যরাশি অত্যন্ত তীর্যকভাবে কিরণ দেয়।
• দিনও রাত্রের দৈর্ঘ্যের পার্থক্য অনেক বেশি।
• বার্ষিক গড় উষ্ণতা ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর কম হয়।
• অঞ্চলের অধিকাংশ সময় বরফে ঢাকা থাকে।
• মাঝে মাঝে অরোরা দেখা যায়।

২. যুক্তি সহকারে নিরক্ষরেখাকে মহাবৃত্ত বলার কারণ ব্যাখ্যা করাে।

উত্তর :-
 প্রত্যেকটি অক্ষরেখা পূর্ণবৃত্ত। একমাত্র নিরক্ষরেখা ছাড়া সব অক্ষরেখার পরিধি নিরক্ষরেখার তুলনায় কম অর্থাৎ ক্ষুদ্র বৃত্ত। নিরক্ষরেখা পৃথিবীর উপরে অবস্থিত সবচেয়ে বড় বৃত্ত। এর থেকে

৩. ভূজালকের সাহায্যে কীভাবে পৃথিবীপৃষ্ঠে কোনাে স্থানের অবস্থান নির্ণয় করা হয় ?

উত্তর :- ভুপৃষ্ঠস্থ সমমানের অক্ষাংশের বিশিষ্ট স্থানগুলো যােগ করে পূর্ব-পশ্চিমে অক্ষরেখা অঙ্কন করা সম্ভব হয়েছে। দ্রাঘিমা বিশিষ্ট স্থানগুলো যােগ করে উত্তর-দক্ষিণে দ্রাঘিমারেখা অক্ষন করা হয়েছে। এরা পরস্পরের সঙ্গে লম্বভাবে অবস্থান করে পৃথিবীকে বেষ্টন করে জাল বা গ্রিড অর্থাৎ ভৌগােলিক জালক (Geographical Grid) গঠন করেছে। প্রায় 250 খ্রিস্টপূর্বাব্দে গ্রিক জ্যোতির্বিদ এরাটোস্থেনিস ও হিপারকাস ভৌগােলিক জালকের সাহায্যে কোনাে স্থানের অবস্থান নির্ণয় সম্পর্কে ধারণা দেন। সাধারণত গ্লোবের উপর অক্ষরেখা ও প্রতিমা রেখার সাহায্যে ভৌগোলিক জালক সৃষ্টি হয় এই জালকের ছেদবিন্দুগুলির সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের যে-কোনাে স্থানের অবস্থান নির্ণয় সুতরাং, কোন স্থানের রখা ও দ্রাঘিমারেখার ছেদবিন্দুই হল সেই স্থানের প্রকৃত অবস্থান। এই পতিতে দুটি উপায়ে অবস্থান নির্ণয় করা যায়

(১.) স্বল্প পরিসর স্থানের ক্ষেত্রে কত ডিগ্রি অক্ষরেখা কত ডিগ্রি দ্রাঘিমারেখা ওই নির্দিষ্ট স্থানে ছেদ করেছে সেই ছেদবিন্দু বা স্থানাঙ্ক বিন্দুই ওই স্থানের প্রকৃত অবস্থান। যেমন কলকাতা 22°24' উত্তর অক্ষরেখা ও 88°30 পূর্ব দ্রাঘিমা রেখায় ছেদ বিন্দুতে অবস্থিত।

(২.) কোনাে দেশ বা অঞ্চলের ক্ষেত্রে ওই দেশ বা অঞ্চল উত্তরে বা দক্ষিণে কত ডিগ্রি অক্ষরেখা এবং পূর্বে ও পশ্চিমে কত ডিগ্রি দ্রাঘিমারেখার মধ্যে অবস্থিত সেটাকেই ওই স্থানের প্রকৃত অবস্থান বলে। যেমন ভারত দক্ষিণে 8°4' উত্তর অক্ষরেখা থেকে উত্তরে 37°6' উত্তর অক্ষরেখা পর্যন্ত এবং পশ্চিমে 68°7' পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে 97°25' পূর্ব দ্রাঘিমার মধ্যে অবস্থান করছে।

৪. ১৮০° প্রাঘিমারেখাকে সম্পূর্ণ অনুসরণ করে মানচিত্রে আস্তর্জাতিক তারিখরেখা অঙ্কন করা হয়নি কেন ?

উত্তর :- আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার সর্বত্র 180° দ্রাঘিমা রেখা কে অনুসরণ করেনি। মাঝে মাঝে পূর্বে বা পশ্চিমে বাঁকিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা কে না বাঁকালে একই মহাদেশের অন্তর্গত দেশ ও দ্বীপপুঞ্জে দুই ধরনের তারিখ ও সময় সূচিত হত। ফলে ওই সমস্ত অঞলে অধিবাসীদের মধ্যে তারিখ ও সময় নিয়ে বিভ্রান্তি এড়াতে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা বাঁকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই রেখাকে (১) অ্যালুসিয়ান দ্বীপপুঞ্জের কাছে 7°, (2) চ্যাথাম, ফিজি, টোঙ্গা প্রভৃতি দ্বীপপুঞ্জের কাছে 11° পূর্বে,(৩) গিলবার্ট ফোনেক্স, লাইন আইল্যান্ডে পূর্বে 35° বাঁকানাে হয়েছে




Comments

Popular posts from this blog

Class X all Writing Pragraph,Report,Summary,Notice,Biography,Story,Process Writing,Diologue,Letter

অন্তবর্তী প্রস্তুতিকালীন মূল্যায়ন জীবন বিজ্ঞান কোষ বিভাজন

হীরক ও গ্রাফাইট গঠনের তুলনা করো?