মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক বাংলা নবম শ্রেণি
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
বাংলা part 1
নবম শ্রেণি
Telegram Link
YouTube Link
উত্তর:
কলিঙ্গের আকাশে ঈশান কোণের পুঞ্জিভূত মেঘ উত্তুরে বাতাসের সংস্পর্শে এসে তীব্র আকার ধারণ করে ফেলল এবং মেঘে ঢেকে অন্ধকার করে দেয়। সেই গাঢ় অন্ধকারের মানুষ নিজের শরীরে পর্যন্ত দেখতে পায় না। এই মেঘের তীব্র গর্জনের সাথে মুষুলধারে জল বর্ষণ করতে থাকে । এসব কিছু প্রলয়ের পূর্বাভাস ভেবে কলিঙ্গ বাসী বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। দেবী চণ্ডীর মায়ার প্রবল ঝড়-বৃষ্টি কলিঙ্গ বাসির জীবন বিপন্ন করে তোলে। মেঘের গর্জনে বৃষ্টির সাথে তীব্র ঝড়ের হাত থেকে বাঁচতে প্রজারা ঘর ছেড়ে পালাতে শুরু করে। 7 দিন টানা বৃষ্টিতে কলিঙ্গের রাস্তাঘাট আলাদা করে চেনা যায় না। সকাল সন্ধ্যা রাত্রি আলাদা করে বোঝা যায় না। বাজ পড়া তীব্র শব্দে কেউ কারো কথা শুনতে পায় না। বিপদে পড়ে তারা জৈমিনি মুনি কে স্মরণ করে। বৃষ্টিতে গর্ত থেকে সাপ বেরিয়ে রাস্তায় বেড়ায়। ক্ষেতের ও সনজিত ফসলের পচন ধরে। শিলাবৃষ্টিতে ঘরের চাল বের করে ভাদ্রের পাকা তালের মতন বড় বড় শিলা মেঝেতে পড়ে। এইভাবে কবি মুকুন্দরাম চক্রবর্তী কলিঙ্গদেশের ঝড় বৃষ্টির প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ছবি তুলে ধরেছেন।
২. ধীবর-বৃত্তান্ত' নাট্যাংশে রাজশ্যালকের ভূমিকা নির্দেশ করো।
উত্তর:
রাজশ্যালককে আমরা নাট্যাংশের প্রথমে দেখেছি। তিনি রক্ষীদের সঙ্গে ধীবর কে বিদ্রুপ করেছেন, ধীবরের পোশাক কে ঘৃণা করেছেন। আবার আমরা দায়িত্বশীল রাজকর্মচারী হিসেবেও তাকে দেখেছি। ধীবর সমর্থনের সুযোগ দিয়েছেন। প্রকৃত বিচার যাতে ধীবর পায় সেই জন্যই তার ব্যবস্থা করেছেন। রাজার নির্দেশে প্রমাণিত ধীবর কে প্রাপ্ত পারিতোষিকের অর্ধেক দান করতে দেখে রাজ শ্যালকের মনে ধিবরের সম্পর্কে গড়ে ওঠা ধারণা থেকে রাজ শ্যালক ধীবর কে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করলো।
৩. ইলিয়াসের জীবনে কিভাবে বিপর্যয় ঘনিয়ে এসেছিল?
উত্তর:
লিও তলস্তয় লেখা ইলিয়াস গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হলো ইলিয়াসের। ইলিয়াসের অবস্থা প্রথম দিকে তেমন ভালো ছিল না কিন্তু ইলিয়াস প্রচুর পরিশ্রম করে রাতদিন খেটে সে বড়লোক হয়ে উঠলো। ইলিয়াস যখন বড়লোক হয়ে উঠল তখন তার ছেলেরা সব আয়েশী হয়ে পড়লো । বড় ছেলেটি মারামারি করে মারা গেলেন, আর ছোট ছেলে বাপের কথা অমান্য করায় তাড়িয়ে দেই কিছু সম্পদ সহ তাড়িয়ে দেওয়ার ফলে এবং দুর্ভিক্ষে ভেড়ার পালে মোড়ক ও কিরবিজ দের দ্বারা ভালো ঘোড়াগুলো চুরি হওয়া ইত্যাদি ঘটনাগুলো ইলিয়াসের সাম্রাজ্যে ভিত নাড়িয়ে দেয়। ইলিয়াসের অবস্থা খারাপের সঙ্গে সঙ্গে তার শরীরের জোর কমে যায় এইভাবে । 70 বছর বয়সে যখন সবই শেষ হয়ে গেল, তখন শেষ সম্বল টুকু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয় সে। ইলিয়াসের নিজের পশমের কোট ঘোড়ার জিন ও গৃহ পালিত পশু গুলো বিক্রি করে দেয় এইভাবে ইলিয়াসের বিপর্যয় ঘনিয়ে এসেছিল।
৪. ‘দাম গল্পে সুকুমার কোন উপলব্ধিতে পৌঁছেছে ?
উত্তর:
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা দাম ছোটগল্পে সুকুমার তার লেখা বাল্যস্মৃতির মাস্টারমশাইয়ের একরকম জোর করে ছাত্রদের অংক শেখানোর প্রসঙ্গে তার উপলব্ধি পৌঁছেছে যে তরাজুরিতে গাধাটাই পাশ্চাত্য পাই অর্থাৎ মারা যায় নিজের উদাহরণ দিয়ে সুকুমার বলেছেন যে মাস্টারমশাই এর এত মার খেয়েও তিনি অংকতো শেখেনি উপরন্তু সারাজীবনের মতো তার অংক ভিত রয়ে গেছে ।
৫. নোঙর' কবিতায় 'বাণিজ্যতরী বাঁধা পড়ে থাকার তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উত্তর:
কবি অজিত দত্ত তার নোঙর কবিতায় আমাদের শুনিয়েছেন এক ব্যর্থ সমুদ্রযাত্রা। যে যাত্রায় বেরিয়ে তিনি ঠোটের কিনারে আটকে গেছেন। রূপকের অন্তরালে মধ্যবিত্তের গন্ডি পথ জীবন থেকে মুক্ত হবার কথা কে ব্যক্ত করেছেন। মধ্যবিত্তের আশা-আকাঙ্ক্ষা রুপি । জোয়ারের ঢেউ গুলি ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। ভাটা শোষণে জোয়ারের উদ্দামতা যেমন। প্রাণহীন হয়ে পড়ে ঠিক তেমনই মানুষের জীবনের নানান প্রতিবন্ধকতা ও সাংসারিক চাহিদা মেটাতে গিয়ে সেও হয়ে পড়ে প্রাণীহীন। তবুও মানুষ দাড় টানে এগিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। যদিও তা বিদ্রুপের মতো শোনায়। আসলে একদিনে সুদূরের হাতছানি আর অন্যদিকে গণ্ডিবদ্ধতা এই দুই বৈপরীত্য বাধা মানুষের জীবন। তা কোনদিনও ছিন্ন করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই কবি উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছেন যা অতি বাস্তব।
৬. স্বরভক্তির অপর নামটি কী ?
উত্তর; স্বরভক্তির অপর নাম- বিপ্রকর্ষ।
৭. উপসর্গের ভূমিকা উল্লেখ করাে।
উত্তর: শব্দ বা ধাতুর আগে বসে নতুন শব্দ গঠন করে।
৮. উদাহরণসহ "অপিনিহিতি বিষয়টি বুঝিয়ে দাও।
উত্তর:
অপি কথার অর্থ আগে, নিহিত কথার অর্থ সন্নিবেশ, কোন শব্দের মধ্যে ই কার কিংবা উ কার আগে উচ্চারিত হয় তাকে অপিনিহিতি বলে।
Telegram Link
YouTube Link
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
বাংলা part 2
নবম শ্রেণি
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক নবম শ্রেণি ইতিহাস এর প্রশ্ন ও উত্তর পার্ট ২
নীচের প্রশ্নাগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে :
(১) ‘চারি মেঘে জল দেয় অষ্ট গজরাজ।-অষ্ট গজরাজের পরিচয় দাও।
উত্তর:-
অষ্ট গজরাজ শব্দের অর্থ হল আটটি হাতি । ভারতীয় পুরাণ অনুযায়ী এই আট গজরাজ বা হাতি আটটি এর দিকের রক্ষাকর্তা । এদের নাম হলো কুমুদ ,ঐরাবত, পুদ্রিখো , পুষ্পদন্ড , অঞ্জন, বামন, সুপ্রতীক ও সার্বভৌম ।
(২) ধীবর-বৃত্তান্ত’ নাট্যাশে দুই রক্ষীর কথাবার্তায় সমাজের কোন ছবি ফুটে উঠেছে ?
উত্তর:-
ধীবর-বৃত্তান্ত নাট্যাংশ দুই রক্ষী এর কথাবার্তার মধ্য দিয়ে বাস্তব জীবনের বেশ কয়েকটি চিত্র ফুটে উঠেছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো
জোর যার মুলুক তার অর্থাৎ চিরকাল চিরদিন সাধারণ হতদরিদ্র ক্ষমতাহীন মানুষদের ক্ষমতা মানুষরা হয় প্রতিপন্ন শোষণ অত্যাচার করে তার চিত্র ফুটে উঠেছে। একজন সৎ নিরীহ ধীবর কে বাটপার, গাঁটছড়া, ইত্যাদি বলতে এদের দ্বিধা বোধ করেনি । এমনকি রক্ষীদের মুখে শোনা যায় – হয় তোকে শকুন দিয়ে খাওয়ানো হবে না হয় তোকে কুকুর দিয়ে খাওয়ানো হবে । এই মন্তব্য শুনে নিঃশব্দে আমরা বলতে পারি রক্ষীদের চরিত্রের মধ্যে দিয়ে অমানবিক অবিবেচকতার পরিচয় পাওয়া যাই ।
(৩) ‘এটা খুবই জ্ঞানের কথা- কার, কোন কথাকে জ্ঞানের কথা বলা হায়েছে ?
উত্তর:-লিও তলস্তয় এর রচিয়তা ইলিয়াস গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র ইলিয়াসের কথাকে জ্ঞানের কথা বলা হয়েছে । ইলিয়াস বাস্তব জীবনে একটি চরম সত্য উপলব্ধি করতে পেরেছিল । এবং সেটা সকলের সামনে বলেছেন । আমাদেরকে সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেছেন তার উপাসনা করার জন্য তাই আমাদের উচিত পার্থিব লোভ-লালসা ত্যাগ করে সৃষ্টিকর্তার উপাসনা করা । এই কথাকে গানের কথা বলা হয়েছে ।
(8.) আমার ছাত্র আমাকে অমর করে দিয়েছে। বক্তা কে কীভাবে তিনি অমরত্ব লাভ করেছেন ?
উত্তর:-
বক্তা হলেন নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা দাম গল্পের অঙ্কের শিক্ষক মহাশয় ।
এই অংকের স্যার ভাবতে পারতেন না যে তার ছাত্র হয়ে কেউ অংক করতে পারবে না । মেরে বকে শাসন করে হলেও অংক তিনি শেখাতেন । এর ফলে ছাত্রদের কাছে সেই শিক্ষক বিভীষিকাময় ছিল । তার এক ছাত্র সুকুমার পরবর্তীকালেমাষ্টারমশাইর এই বিভেষিকা কথা একটি পত্রিকা তুলে ধরে ছিলেন সেটি পড়ে শিক্ষক মহাশয় উপরোক্ত কথাটি বলেছেন ।
(৫.) নঙ্গর কবিতায় নোঙ্গর কীসের প্রতীক তা বুঝিয়ে দাও।
উত্তর :-
নঙ্গর হল নৌকা বা জলোযন্ত্রকে একই স্থানে স্থির রাখার যন্ত্র । কিন্তু রোমান্টিক কবি এবার তে ব্যবহার করেনি । রোমান্টিক মন সংসার জীবন ছেড়ে অনেক দূর দুরন্ত চলে যেতে চাই । কিন্তু নঙ্গরের মত কবির সংসারে জীবন স্রেহ, ভালোবাসা, মায়া,মমতা,প্রভূতি, কবির মন কে আটকে রাখে তাই কবি সংসার জীবনে স্নেহ-ভালবাসা ইত্যাদিকে নঙ্গর বলেছেন ।
(৬). কন্যা> কইন্যা> কনে এর ক্ষেত্রে ধ্বনি পরিবর্তনের কোন রীতি অনুসৃত হয়েছে।
উত্তর:-
এখানে ধ্বনি পরিবর্তনের অভিশ্রুতি রীতি অনুসৃত হয়েছে ।
অপিনিহিতির ফলে পূর্বে আগত ই করে কিংবা উ করে সন্নিহিত স্বরধ্বনি কে প্রভাবিত করে ধ্বনি পরিবর্তন সাধন করে তখন তাকে তখন তাকে অভিশ্রুতি বলে ।
আখানে কন্যা ( মূল শব্দ), কইন্যা ( আপিবিহিতি),আর কনে ( অভিশ্রুতি)
(৭) বৃদন্ত ও তদ্ধিতান্ত শব্দের উদাহরণ দাও।
উত্তর:-
ধাতুর সঙ্গে কৃত প্রত্যয় যুক্ত হয়ে যে শব্দটি গঠিত হয় তাকে বিদন্ত শব্দ বলে ।
যেমন-√চল+অন্ত=চলন্ত
মৌলিক শব্দের সঙ্গে তোদিতো প্রত্যয় যে শব্দ গঠিত হয় তাকে তদ্ধিতান্ত বলে ।
যেমন-মিতা+আলি=মিতালি
(৮) মৌলিক স্বরধ্বনির সংখ্যা কয়টি ?
উত্তর:-সাতটি
যথা – অ,আ,ই,ন, ও,উ, অ্যা ।
Telegram Link
YouTube Link
নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ।
১."নব নব সৃষ্টি" প্রবন্ধে লেখক সংস্কৃত ভাষাকে আত্মনির্ভরশীল বলেছেন কেন? বর্তমান যুগে ইংরেজি ও বাংলা ভাষা আত্মনির্ভরশীল নই কেন?
উত্তর: "নব নব সৃষ্টি" প্রবন্ধে সৈয়দ মুজতবা আলী বলেছেন - কোন নতুন চিন্তা, নতুন অনুভূতির জন্য কোন শব্দের প্রয়োজন দেখা দিলে সংস্কৃত ভাষা নিজ শব্দভান্ডারে খোঁজ নিয়ে দেখে যে কোন ধাতু বা শব্দ সেখানে আছে কিনা, যাকে অল্পবিস্তর বদলে নিয়ে বা পুরোনো ধাতুর সাহায্যেই নতুন শব্দটি গঠন করা যায় কিনা। অর্থাৎ অন্য ভাষার শব্দভাণ্ডার এর দিকে তাকে নির্ভর করে থাকতে হতো না। এমনই সমৃদ্ধ সংস্কৃত ভাষা যে সে আপন মহিমায় মহিমান্বিত। এই কারণে লেখক সংস্কৃত ভাষাকে আত্মনির্ভরশীল ভাষা বলেছেন।
লেখক এর মতে প্রয়োজনে ও অপ্রয়োজনে বাংলা ভাষা নিজের শব্দ ভান্ডারে অনুসন্ধান না করে ভিন্ন ভিন্ন ভাষা থেকে শব্দ নিয়েছে এবং নিচ্ছে। পাঠান মোগল যুগে আইন-আদালত, খাজনা-খারিজ নতুন ভাবে দেখা দিলে আমরা প্রচুর আরবি-ফারসি শব্দ গ্রহণ করেছি। পরবর্তীকালে ইংরেজি থেকে, ইংরেজির মারফত অন্যান্য ভাষা থেকেও অনেক শব্দ গ্রহণ করেছি। সেই জন্য বাংলা, ইংরেজি আত্মনির্ভরশীল ভাষা নয়।
২. "এরই মাঝে বাংলার প্রাণ"-বাংলার প্রাণস্পন্দন কবি কিভাবে উপলব্ধি করেছেন?
উত্তর: কবি জীবনানন্দ দাশ রচিত "আকাশে সাতটি তারা" কবিতায় প্রকৃতির রূপ দেখে তিনি মুগ্ধ হয়েছেন। প্রকৃতি কবি জীবনানন্দের কাছে বাংলা শুধুমাত্র ভৌগোলিক সীমায় আবদ্ধ একটি ভূখণ্ড নয়, বাংলা তার কাছে এক জীবন্ত সত্তা।
কবিতায় কবি বঙ্গ প্রকৃতির বুকে নেমে আসা সান্ধ্য সৌন্দর্যের ছবি এঁকেছেন। একটু একটু করে আঁধারের মায়াময় আবছায়ায় ডুবে যাচ্ছে বাংলার মাঠ-ঘাট গাছপালা। উন্মুক্ত আকাশে সাতটি তারা ফুটে উঠেছে।ঠিক তখনই বাংলার গাছপালা, পশুপাখি, পুরনো স্মৃতি মানব-মানবীর গন্ধেও স্পর্শে পূর্ণ স্মৃতি মধুর ঐশ্বর্যের মধ্যে বাংলার প্রাণ কে আবিষ্কার করেছেন। নব ধানের গন্ধ, চাঁদা সরপুঁটির মৃদু গন্ধ, হাঁসের পালক, পুকুরের জল, কিশোরীর পায়ের দলা মলা ঘাস আর লাল বটফল এর ব্যথিত গন্ধের ক্লান্ত নীরবতার মধ্যে কবি বাংলার প্রাণস্পন্দন উপলব্ধি করেছেন।
৩. "চিঠি" রচনা অবলম্বনে স্বামী বিবেকানন্দের স্বদেশ ভাবনার পরিচয় দাও।
উত্তর: পাঠ্য চিঠিটি স্বামী বিবকানন্দ ১৮৯৭ সালের ২৯জুলাই ভারতবর্ষের আলমোরা থেকে মিস নোবলের উদ্দেশ্যে লিখেছিলেন।
স্বামীজি তৎকালীন ভারতের মানুষদের দুর্দশায় ব্যথিত, নারী সমাজের লাঞ্ছনায় পীড়িত ছিলেন। তাই তিনি মিস নোবলকে লেখেন - "এদেশের দুঃখ, কুসংস্কার, দাসত্ব প্রভৃতি কিধরনের তা তুমি ধারণা করতে পারো না"।
দারিদ্র, অস্পৃশ্যতা, জাতি বর্ণের বৈষম্য , শ্বেতাঙ্গ ইংরেজ শাসকদের অত্যাচার ইত্যাদি থেকে ভারতবাসীর মুক্তির পথ খুঁজছেন তিনি। প্রখর ভাবে সমাজচেতন স্বামীজি এ দেশের সামাজিক ব্যাধি গুলিতে বিচলিত হয়েছেন। ইংরেজ কুশাসনের পাশাপাশি দুঃখ দারিদ্র, কুসংস্কার ইত্যাদি থেকে স্বদেশের মানুষকে মুক্তি দিতে চেয়েছেন তিনি।
৪. "যা গিয়ে ওই উঠানে তোর দাঁড়া"- কবি কাদের কেন এই পরামর্শ দিয়েছেন? কবিতার নামকরণের সঙ্গে উদ্ধৃতিটি কিভাবে সম্পর্কযুক্ত?
উত্তর: আলোচ্য কবিতাটি কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর লেখা "অন্ধকার বারান্দা" কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত "আবহমান" কবিতার অংশ।
আলোচ্য কবিতায় কবি প্রবাসী বঙ্গবাসী দের গ্রামবাংলায় ফিরে যাওয়ার কথা বলেছেন।
আবহমান কথাটির অর্থ চিরকালীন। চিরকাল ধরে যা চলে।এই কবিতায় চিরকালীন এক সত্যকে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন কবি। শৈশবের প্রতি মানুষের গভীর মমতা ও ভালোবাসা লুকিয়ে থাকে। তার আজন্ম পরিচিত উঠোন, উঠানের চারপাশে জল, হাওয়া, মাটি, সবুজ গাছপালা, ঘাসের গন্ধ, বাগান থেকে ভেসে আসা ফুলের সুগন্ধ ও উঠানের সঙ্গে তার সম্পর্ক যেন চিরদিনের। তাই কবি মানুষকে ফিরে যেতে বলেছেন বার বার।
উঠান এর আভিধানিক অর্থ "আঙিনা" কিন্তু এখানে উঠান বলতে ভিটে হারা মানুষদের জন্মস্থান তথা মুক্ত পরিসরের কথা বলেছেন। আজন্ম পরিচিত মাটি, হাওয়ায় পূর্ণ প্রাণময় আশ্রয়স্থান এ ফিরে যাওয়ার পরামর্শই ধ্বনিত হয়েছে আলোচ্য কবিতায়।
৫. "...অগত্যা রাধারানী কাঁদিতে কাঁদিতে ফিরল"-রাধারানীর কান্নার কারণ কি?
উত্তর: মাহেশের রথের দিন রাধারানীর অসুস্থ মায়ের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে ওঠে। এই সময় পথ্যের প্রয়োজনে রাধারানী বনফুল জোগাড় করে মালা গেঁথে সেই মালা রথের মেলায় বিক্রি করে মায়ের জন্য পথ্য সংগ্রহ করবে ভেবেছিল। কিন্তু রথের টান অর্ধেক হতে না হতেই প্রচন্ড বৃষ্টিতে মেলা ভেঙে যায়। রাধারানীর মনে আশা ছিল বৃষ্টি কমলে আবার মেলা বসবে। কিন্তু রাত বাড়লেও বৃষ্টি আর কমেনি। তাই তার মালা বিক্রি না হওয়ায় আশাহত বিপর্যস্ত রাধারানী কাদতে থাকে। মালা বিক্রি না হওয়ায় অসুস্থ মায়ের জন্য তার এই কান্না।
Comments
Post a Comment