Class 7 all subjects Model Activity Task Part 2 February 2022 Solution

 


Model Activity Task Class 7 Bengali

Bengali (বাংলা)

পূর্ণমান: ২০


১. ঠিক উত্তর বেছে নিয়ে লেখাে : ১x৩=৩

১.১ ‘পাগলা গণেশ’ গল্পের ঘটনাকাল – 

(ক) ২০২২ খ্রিস্টাব্দ

(খ) ১০৮ খ্রিস্টাব্দ 

(গ) ২০৮৯ খ্রিস্টাব্দ

(ঘ) ৩৫৮৯ খ্রিস্টাব্দ 

উত্তরঃ ‘পাগলা গণেশ’ গল্পের ঘটনাকাল – (ঘ) ৩৫৮৯ খ্রিস্টাব্দ l

১.২ ‘মৃত্যুঞ্জয় টনিক’ যখন আবিষ্কৃত হয়, তখন গণেশের বয়স – 

(ক) ২০ বছর

(খ) ৩০ বছর 

(গ) ৫০ বছর

(ঘ) ১৫০ বছর 

উত্তরঃ ‘মৃত্যুঞ্জয় টনিক’ যখন আবিষ্কৃত হয়, তখন গণেশের বয়স – (গ) ৫০ বছর l

১.৩ বায়ােকেমিস্ট্রি ল্যাবরেটরি স্থাপিত হয়েছিল – 

(ক) এভারেস্টের চূড়ায়

(খ) রূপকুন্ডে 

(গ) কাঞ্চনজঙ্ঘায় 

(ঘ) গঙ্গোত্রীতে 

উত্তরঃ বায়ােকেমিস্ট্রি ল্যাবরেটরি স্থাপিত হয়েছিল – (খ) রূপকুন্ডে l

২. নীচের প্রশ্নগুলির একটি বাক্যে উত্তর দাও : ১x৩ = ৩

২.১ ব্যতিক্রম অবশ্য এক আধজন আছে।’- কোন বিষয়ের ব্যতিক্রম? 

উত্তরঃ ব্যতিক্রমী মানুষটি হল দুশাে বছর বয়স্ক পাগলা গণেশ। সমগ্র জগৎ যখন বিজ্ঞানের চর্চায় মত্ত , যখন সবাই শিল্প – সংগীত সাহিত্যের প্রযােজন ভুলে গেছে , তখন পাগলা গণেশ সভ্যসমাজ থেকে দূবে হিমালযের গুহায় বসে কবিতা লিখে, গান গেযে, ছবি এঁকে – পৃথিবীতে এগুলাের প্রচলন করতে চেয়েছে। কেননা, তার মতে পৃথিবীটা তাহলে বেঁচে যাবে। আর এভাবেই সে ব্যতিক্রমী হয়ে উঠেছে।

২.২ ও মশাই, অমন বিকট শব্দ করছেন কেন?’– কারা একথা বলেছিল?

উত্তরঃ শীর্ষেন্দু মুখােপাধ্যায় রচিত পাগলা গনেশ নামাঙ্কিত গদ্যে লাসা থেকে আসা দু’জন পাখাওলা লােক উদ্ধৃত উক্তিটি করেছিলেন।

২.৩ ‘পৃথিবীর জনসংখ্যার ভারসাম্য রাখতে তা করা আবশ্যিক।’- কোন কাজটি করা আবশ্যিক? 

উত্তরঃ এখানে মরা মানুষকে বাঁচিয়ে তােলা শক্ত কাজ তাে নয়ই, বরং পৃথিবর জনসংখ্যার ভারসাম্য রাখতে তা করা আবশ্যিক বলা হয়েছে।

৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ৩x৩=৯

৩.১ ‘তা বলে পৃথিবীর মানুষেরা হাল ছাড়েনি।’- কোন বিষয়ে তারা হাল ছাড়েনি? 

উত্তরঃ উদ্ধৃত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখােপাধ্যায় রচিত পাগল গণেশ’ গল্পের অন্তর্গত।

সালটা ৩৫৮৯ খ্রিস্টাব্দ l মধ্যাকর্ষন প্রতিরােধকারী মলম আবিষ্কার হওয়ার পর থেকে পৃথিবীতে নানারকম উড়ান যন্ত্র আবিষ্কারের হিড়িক পড়ে গেছে l বর্তমানে আকাশে সবসময় নানারকম জিনিস উড়তে দেখা যায়। এমনকি কৃত্রিম পাখনাওয়ালা মানুষও দেখা যায়। ইতিমধ্যে মানুষ চাঁদ , মঙ্গল এবং শুক্রগ্রহে কৃত্রিম ল্যাবরেটরি স্থাপন করেছে। সূর্যের আরও দুটি গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে এবং জানা গেছে আর কোনাে গ্রহ নেই। মহাকাশের নানা নক্ষত্রপুঞ্জের দিকে হাজার হাজার মানুষ তীব্র গতিসম্পন্ন মহাকাশযানে চড়ে রওনা হয়ে গেছে এক দেড়শাে বছর আগে থেকে এবং এখনও অনেকে যাচ্ছে। যারা কাছেপিঠে গেছে তাদের ফেরার সময় হয়ে এল l তবে সেটা এক মিনিট পর না একশাে বছর পর , তা জানার উপায় নেই। এই প্রসঙ্গেই লেখক বলেছেন— তা বলে পৃথিবীর মানুষেরা হাল ছাড়েনি। অর্থাৎ নানা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা- নিরীক্ষণ , আবিষ্কার , অজানা, মহাকাশকে চেনার আকাঙ্খ কোনাে দিনও মানুষের মরে যাবে না। এই বিষয়ে তারা হাল ছাড়েনি।

৩.২ ‘খামােখা সময় নষ্ট। কোন প্রসঙ্গে একথা বলা হয়েছে?

উত্তরঃ উদ্ধৃত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখােপাধ্যায় রচিত পাগল গণেশ’ গল্পের অন্তর্গত ।

আজকাল পৃথিবীতে মানুষ মরে না। যারা মহাকাশে গেছে তারা ফিরে এসে সেই আমলের লােকেদের দেখতে পাবে। তবে সব মানুষই বেঁচে আছে বলে নতুন মানুষের জন্মও আর হচ্ছে না। গত দেড়শাে বছরের মধ্যে কেউ পৃথিবীতে শিশুর কান্না শােনেনি। এদিকে ঘরে ঘবে মানুষ এত বেশি বিজ্ঞান নিয়ে বুঁদ হয়ে আছে যে, প্রতিঘরের প্রত্যেকেই কোনাে না কোনাে বিজ্ঞানের বিজ্ঞানী। বিজ্ঞান ছাড়া অন্য কোনাে চর্চা নেই। কবিতা, গান , ছবি আঁকা , কথাসাহিত্য, নাটক, সিনেমা l এসব নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না। ওসব অনাবশ্যক ভাবাবেগ কোনাে কাজেই লাগে না- এই প্রসঙ্গে বলা হযেছে খামােখা সময় নষ্ট।

৩.৩ ‘গণেশের ব্যাপারটা পছন্দ হয়নি। কোন ব্যাপারটি গণেশ পছন্দ করেনি? 

উত্তরঃ উদ্ধৃত অংশটি শীর্ষেন্দু মুখােপাধ্যায় রচিত ‘পাগল গণেশ’ গল্পের অন্তর্গত।

এই গল্পের প্রধান চরিত্র গণেশ l বিজ্ঞান নির্ভর এক অতি আধুনিক যুগে তার বাস l পাগলা গণেশের বর্তমান বয়স ২০০ বছর l তার যখন পঞ্চাশ বছর বয়স ছিল, অর্থাৎ আজ থেকে দেড়শাে বছর আগে মৃত্যুঞ্জয় টনিক আবিষ্কার হয়। গণেশও আর সকলের মতাে টনিকটা খেয়েছিল। ফলে সেও অমরত্ব লাভ করল l আজ থেকে দেড়শাে বছর আগে যখন সুকুমার শিল্পবিরােধী আন্দোলন শুরু হলাে এবং শিল্প – সংগীত সাহিত্যচর্চা ইত্যাদির পাঠ উঠে যেতে লাগল তখন এই ব্যাপারটা গণেশের পছন্দ হয়নি। তিনি মনে করেন বিজ্ঞানের বাড়াবাড়িরও একটা সীমা থাকা দরকার।

৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে : ৫

‘পাগলা গণেশ’ গল্পে গণেশকে ‘পাগলা মনে করা কতদুর যুক্তিসঙ্গত বলে তুমি মনে করাে ?

উত্তরঃ প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখােপাধ্যায় রচিত পাগলা গণেশ’ গল্পটির কেন্দ্রিয় তথা প্রধান চরিত্র গণেশ যাকে তথাকথিত ‘ পাগলা গণেশ ‘ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এবার আমরা সমগ্র গল্প পর্যালােচনার মাধ্যমে গণেশকে ‘পাগলা’ মনে করা কতটা যুক্তিসংগত তা আলােচনা করব।

৩৫৮৯ সালে জগৎ যখন উত্তর – আধুনিক হয়ে আরও নতুন পথে চলেছে, তখন গণেশ দিব্যি কবিতা নিয়ে ব্যস্ত l বিজ্ঞানের প্রাণহীন গবেষণা তার পছন্দ নয়। বরং সে শিল্পকে বাঁচাতে ব্যস্ত l কলকাতার সায়েন্স কলেজের শিক্ষক হয়েও শুধুমাত্র বিজ্ঞানকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়নি। বরং দেখতে চেয়েছিল – পৃথিবীটা যেন সুন্দর হয়ে ওঠে। তার জন্যে গান চাই, কবিতা চাই, ছবি চাই। এজন্যে গণেশের শিল্প সাধনাকে তার সময়ের প্রেক্ষিতে অন্যদের মনে হয়েছে পাগলের কার্যকলাপ l এই জন্যে তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে ‘ পাগলা গণেশ ‘ নামে।

সুতরাং বিবর্তিত বিশ্বে গণেশ অসাধারণ এক শিল্পীত চরিত্র। আমার মতে তিনি প্রকৃত অর্থে মানবতারই পৃষ্ঠপােষক।


Class 7 English Model Activity Task February 2022 Part 2

Full Marks – 20

1. Read the following passage and answer the questions that follow: 

The king of kings, Emperor Akbar, who ruled over India was a great lover of arts, sciences, literature and music. One day, on a fine morning, he was walking in his vast garden. His garden was lined with trees that produced the tastiest and juiciest fruits in the whole kingdom. There were flowers of all shapes and sizes in his garden. He had his most trusted and favourite minister Birbal with him. 

But the great Emperor Akbar did not have peace of mind, the quality without which no one, not even the king of kings, can appreciate beauty. 

A. Tick the correct answer: 1×2 = 2 

(i) Akbar was walking in his garden 

(a) in the morning 

(b) at night 

(c) in the evening 

Ans: Akbar was walking in his garden in the morning 

(ii) Birbal was Akbar’s 

(a) enemy 

(b) brother 

(c) minister 

Ans: Birbal was Akbar’s minister 

B. Answer the following questions: 3×2 = 6 

(i) Who was Akbar? 

Ans: Akbar was one of the greatest Mughal Emperor who ruled over India. He was  also a great lover of arts, sciences, literature and music.

(ii) How was the garden of Akbar? 

Ans: Akbar garden was vast with all kinds of trees which produced the tastiest and juiciest fruits in the whole kingdom. Their was very beautiful flowers of all shapes & sizes in his garden.

(iii) What quality is required to appreciate beauty?

Ans: Peace of mind is required to appreciate beauty.

2. Do as directed: 1×5=5 

(i) Last evening my mother and I ________ (watch) the news on the TV. (Fill in the blanks with Past Continuous Tense) 

Ans: Last evening my mother and I were watching the news on the TV.

(ii) The garden of Akbar was ________ (beautiful) than most other gardens. (Fill in the blanks with the comparative degree of the adjective) 

Ans: The garden of Akbar was more beautiful than most other gardens.

(iii) He took an umbrella but I forgot to take _____. (Fill in the blanks with Possessive Pronoun) 

Ans: He took an umbrella but I forgot to take mine.

(iv) Mount Everest is the ______ (high) mountain in the world. (Fill in the blanks with the superlative degree of the adjective) 

Ans: Mount Everest is the highest mountain in the world.

(v) I am not so strong as you. (Rewrite the sentence using the antonym of the underlined word) 

Ans: I am not so weak as you.

3. Write a story (in about 70 words) using the following outline. Give a suitable title to your story: 7 

Outline: ass carrying a load of salt—falls into a stream by chance—load becomes light—next time master puts a load of cotton—falls into streams purposefully—result

A Salt Marchant And His Ass

In a village, there lived a salt merchant. He would use his ass to carry the salt around on its back. They had to cross a river every day. There was a tiny bridge on the way. The ass lost his balance and fell into the river one day while crossing the bridge. He became really thrilled when the salt on his back melted and became very light.

Since that day, he has purposefully fallen into the river to lighten his load. After a few days, his master realised what he was up to. He replaced the salt bag with a cotton bag the next day. The ass also purposely fell into the river on that day. But, alas, the load grew heavier at that point. Thereafter the ass never fell into the river intentionally.


Model Activity Task Class 7 History

History (ইতিহাস)

পূর্ণমান: ২০


১. শূন্যস্থান পূরণ করাে : ১x৪=৪

(ক) বঙ্গ নামটির প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ঋকবেদের _______________ l

উত্তর : বঙ্গ নামটির প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় ঋকবেদের ঐতরেয় আরণ্যক l

(খ) পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন দেশ হয় _______________ খ্রিস্টাব্দে। 

উত্তর : পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন দেশ হয় 1971 খ্রিস্টাব্দে। 

(গ) শশাঙ্কের রাজধানী ছিল _______________ l

উত্তর : শশাঙ্কের রাজধানী ছিল কর্ণসুবর্ণ l

(ঘ) লক্ষণসেনের রাজধানী ছিল _______________ l

উত্তর : লক্ষণসেনের রাজধানী ছিল পূর্ববঙ্গের বিক্রমপুর l

২. স্তম্ভ মেলাও : ১x৪=৪

ক-স্তম্ভ খ-স্তম্ভ 
গৌড়বহােবাকপতিরাজ
হর্ষচরিতবাণভট্ট
কিতাব অল-হিন্দঅল বিরুনি
রামচরিতসন্ধ্যাকর নন্দী

৩.একটি-দুটি বাক্যে উত্তর দাও : ১x৩=৩

(ক) কোন তিনটি নদী দিয়ে প্রাচীন বাংলার সীমানা তৈরি হয়েছিল? 

উত্তর : ভাগীরথী, পদ্মা এবং মেঘনা -এই তিনটি নদী দিয়ে প্রাচীন বাংলার সীমানা তৈরি হয়েছিল l

(খ) কে ‘গঙ্গাইকোচোল’ উপাধি নিয়েছিলেন?

উত্তর : চোলরাজা প্রথম রাজেন্দ্র চোল (1016-1044) ‘গঙ্গাইকোচোল’ উপাধি নিযেছিলেন।

(গ) ‘খলিফা’ শব্দের অর্থ কী? 

উত্তর : খলিফা’ শব্দের অর্থ হল – প্রতিনিধি বা উত্তরাধিকারী l

৪. চার-পাঁচটি বাক্যে উত্তর দাও : ৩ x ৩ = ৯

(ক) ‘মাৎসন্যায়’ কী? 

উত্তর : মাৎস্যন্যায় বলতে দেশে অরাজকতা বা স্থায়ী রাজার অভাবকে বােঝানাে হয়। পুকুরের বড়ো মাছ যেমন ছােটো মাছকে খেয়ে ফেলে, অরাজকতার সময়ে তেমনি শক্তিশালী লােক দুর্বল লােকের ওপর অত্যাচার করে। শশাঙ্কের মৃত্যুর পরে খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকের মধ্যভাগ থেকে অষ্টম শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত একশাে বছর ছিল বাংলার ইতিহাসে একটা পরিবর্তনের যুগ। ঐ যুগে প্রত্যেক ক্ষত্রিয়, সম্ভ্রান্ত লােক, ব্রাক্ষণ এবং বণিক ইচ্ছামতাে নিজের নিজের এলাকা শাসন করত। বাংলায় কোনাে কেন্দ্রীয় শাসক ছিল না। বছরের পর বছর এই অবস্থা চলার পরে বাংলার প্রভাবশালী লােকেরা মিলে খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকের মধ্যভাগে গােপাল নামে একজনকে রাজা নির্বাচন করে (আনুমানিক ৭৫০ খ্রিস্টাব্দ)। ঐ সময় থেকে বাংলায় পাল বংশের রাজত্ব শুরু হয়।

(খ) কৈবর্ত বিদ্রোহ কোন সময়, কোথায় সংঘটিত হয়েছিল? এই বিদ্রোহে কারা নেতৃত্বে দিয়েছিলেন? 

উত্তর : একাদশ শতকের দ্বিতীয়ভাগে বাংলায় কৈবর্ত বিদ্রোহ ঘটেছিল। কৈবৰ্তরা ছিল সম্ভবত নৌকার মাঝি বা জেলে। সে সময়ে বাংলার উত্তর ভাগে কৈবর্তদের যথেষ্ট প্রভাব ছিল। সন্ধ্যাকর নন্দীর রামচরিত কাব্যে কৈবর্ত বিদ্রোহের বিবরণ আছে। এই বিদ্রোহের তিনজন নেতা ছিলেন: দিব্য (দিব্বোক), রুদাক এবং ভীম।

(গ) ভারতের সাথে আরবদের যােগাযােগ ঘটেছিল কীভাবে?

উত্তর : ভারতের সঙ্গে ইসলামের প্রথম যােগাযােগ ঘটেছিল তুর্কিরা এদেশে আসার অনেক আগে থেকেই। খ্রিস্টীয় অষ্টম-নবম শতকে আরব বণিকরা ভারতের পশ্চিম উপকূলে আসতেন। সিন্ধু মােহনায়, মালাবারে আরবি মুসলিম বণিকদের বসতি গড়ে উঠেছিল। এর থেকে যেমন আরবি বণিকরা লাভবান হয়েছিল, তেমনি স্থানীয় ব্যবসায়ীরা লাভ করত। শাসকরাও এর থেকে লাভবান হয়েছিল। হিন্দু, জৈন এবং মুসলিম বণিকদের এই বাণিজ্য ধর্মীয় সহিষ্ণুতার এক উজ্জ্বল নিদর্শন। ঐ যুগে বাগদাদের খলিফাদের উদ্যোগে সংস্কৃত ভাষায় রচিত জ্যোতির্বিদ্যা, চিকিৎসাশাস্ত্র, সাহিত্য ইত্যাদি আরবি ভাষায় অনূদিত হয়েছিল।


Model Activity Task Class 7 Science

Science (পরিবেশ ও বিজ্ঞান)

পূর্ণমান: ২০


১. ঠিক উত্তর নির্বাচন করাে : ১x৩=৩

১.১ এমন একটি খাদ্য উপাদান যা থেকে শক্তি পাওয়া যায় না তা হলাে — 

(ক) কার্বোহাইড্রেট

(খ) ভিটামিন 

(গ) লিপিড

(ঘ) প্রােটিন 

উত্তর: এমন একটি খাদ্য উপাদান যা থেকে শক্তি পাওয়া যায় না তা হলাে ভিটামিন 

১.২ গয়টার হয় যে খাদ্য উপাদানের অভাবে তা হলাে— 

(ক) সােডিয়াম

(খ) আয়রন 

(গ) আয়ােডিন

(ঘ) ক্যালশিয়াম 

উত্তরঃ গয়টার হয় যে খাদ্য উপাদানের অভাবে তা হলাে আয়ােডিন 

১.৩ একটি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের উদাহরণ হলাে— 

(ক) আনারস

(খ) আনারসের জ্যাম 

(গ) আম 

(ঘ) কোল্ড ড্রিংক্স 

উত্তরঃ একটি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের উদাহরণ হলাে আনারসের জ্যাম

২. শূন্যস্থান পূরণ করাে : ১x৩=৩

২.১ প্রােটিনের অভাবে_______রােগ হয়। 

উত্তরঃ প্রােটিনের অভাবে কোয়াশিওরকর রােগ হয়। 

২.২ চুল ও নখে______প্রােটিন থাকে। 

উত্তরঃ চুল ও নখে কেরাটিন প্রােটিন থাকে। 

২.৩ আয়রন_______পরিবহণে সাহায্য করে। 

উত্তরঃ আয়রন অক্সিজেন পরিবহণে সাহায্য করে। 

৩. একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও : ২x৪=৮

৩.১ খাদ্যতন্তু পাওয়া যায় এমন দুটো খাবারের নাম লেখাে। 

উত্তরঃ খাদ্যতন্তু পাওয়া যায় এমন দুটো খাবারের নাম হল সজনে ডাঁটা, ওট, অ্যাপলে, পেঁপে, ডাঁটাশাক ইত্যাদি।

৩.২ ম্যারাসমাস রােগের ক্ষেত্রে কী কী লক্ষণ দেখা যায়? 

উত্তরঃ

(ক) এই রোগের ফলে দেহের ওজন হ্রাস পায়।

(খ) দেহের রং ফ্যাকাশে হয়ে যায়।

(গ) দৈহিক বৃদ্ধি হ্রাস পেতে থাকে।

(ঘ) রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া হয়।

৩.৩ মানবদেহে লিপিডের ভূমিকা উল্লেখ করাে।

উত্তরঃ মানবদেহে লিপিডের ভূমিকাগুলি হলাে: 

(ক) লিপিড মানুষের দেহে শক্তির উৎসরূপে কাজ করে।

(খ) দেহকে বাইরের আঘাত থেকে রক্ষা করে। 

(গ) লিপিড দেহের থেকে তাপ বেরিয়ে যাওয়া কমিয়ে দেয়।

৩.৪ ভিটামিন C-র দুটি উৎসের নাম লেখাে। 

উত্তরঃ ভিটামিন C-র দুটি উৎসে হল:

(ক) বাতাবি লেবু বা কমলা লেবু।

(খ) আলু।

৪. তিন-চারটি বাক্যে উত্তর দাও :

৪.১ মানবদেহে ফাইটোকেমিক্যালসের ভূমিকা উল্লেখ করাে। 

উত্তরঃ ফাইটোকেমিক্যালসের ভূমিকাগুলি হল : 

(ক) ফাইটোকেমিক্যালস অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। 

(খ) ফাইটোকেমিক্যালস চোখ ভালাে রাখতে সাহায্য করে। 

(গ) আমাদের হৃদপিন্ড ভালাে রাখতে সাহায্য করে। 

(ঘ) রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতা বাড়ায়।

(ঙ) মানবদেহে কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।

(চ) ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে। 

৪.২ জীবদেহে জলের ভূমিকা ব্যাখ্যা করাে।

উত্তরঃ

(ক) জল কোষের প্রােটোপ্লাজমকে সিক্ত ও সজীব রাখে। 

(খ) জল রক্ত সঞ্চালনে সাহায্য করে। 

(গ) জলের মাধ্যমে রেচন পদার্থ দেহের বাইরে বেরিয়ে যায়।

(ঘ) জল দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

(ঙ) জল কোষের মধ্যে ব্যাপন ও অভিস্রবনে ঘটাতে সহায়তা করে।


Model Activity Task Class 7 Geography

Poribesh O Bhugol (পরিবেশ ও ভূগোল)

পূর্ণমান: ২০


১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখাে : ১x৩=৩

১.১ নিরক্ষরেখার সাপেক্ষে ভারত অবস্থিত – 

(ক) উত্তর গােলার্ধে

(খ) দক্ষিণ গােলার্ধে 

(গ) পূর্ব গােলার্ধে

(ঘ) পশ্চিম গােলার্ধে

উত্তরঃ নিরক্ষরেখার সাপেক্ষে ভারত অবস্থিত উত্তর গােলার্ধে

১.২ ভূ-গােলকে একটি অক্ষরেখা একটি দ্রাঘিমারেখাকে যত ডিগ্রি কোণে ছেদ করে তা হলাে –

(ক) ০°

(খ) ৯০° 

(গ) ৬০°

(ঘ) ৩০°

উত্তরঃ ভূ-গােলকে একটি অক্ষরেখা একটি দ্রাঘিমারেখাকে যত ডিগ্রি কোণে ছেদ করে তা হলাে ৯০° 

১.৩ ভূ-গােলকে অঙ্কিত প্রত্যেকটি দ্রাঘিমারেখা – 

(ক) উপবৃত্ত

(খ) পূর্ণবৃত্ত 

(গ) অর্ধবৃত্ত

(ঘ) সরলরৈখিক

উত্তরঃ ভূ-গােলকে অঙ্কিত প্রত্যেকটি দ্রাঘিমারেখা অর্ধবৃত্ত

২.১ শূন্যস্থান পূরণ করাে : ১x২=২

২.১.১. ১° দ্রাঘিমা ঘুরতে পৃথিবীর সময় লাগে_________ঘণ্টা। 

উত্তরঃ ১° দ্রাঘিমা ঘুরতে পৃথিবীর সময় লাগে 4 মিনিট  

২.১.২ দুটি দ্রাঘিমার মধ্যে দূরত্ব_______উপর সবচেয়ে বেশি।

উত্তরঃ দুটি দ্রাঘিমার মধ্যে দূরত্ব নিরক্ষরেখা উপর সবচেয়ে বেশি 

২.২ ‘ক’ স্তম্ভের সঙ্গে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও : ১x৩=৩

ক স্তম্ভখ স্তম্ভ
২.২.১.            ২৩° ৩০’ উ:৩. কর্কটক্রান্তি রেখা
২.২.২.                 ০°১. মূলমধ্যরেখা
২.২.৩.          ৮২° ৩০’ পূ:২. ভারতের প্রমাণ সময়

৩. নীচের প্রশ্নগুলির সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও : ২x২=৪

৩.১ অক্ষরেখা কাকে বলে?

উত্তরঃ নিরক্ষরেখার উভয়দিকে নিরক্ষরেখার সমান্তরালভাবে পৃথিবীর পূর্বদিক থেকে পশ্চিমদিকে ১০ পরপর যে ৯০টি পরস্পর সমান্তরাল যে সমস্ত রেখাবৃত্ত কল্পনা করা হয়েছে তাদের প্রত্যেকটিকে অক্ষরেখা বলা হয়।

৩.২ GPS-এর দুটি উপযােগিতা উল্লেখ করাে। 

উত্তরঃ GPS বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। যেমন – 

i) অবস্থান নির্ণয-GPS এর সাহায্যে পৃথিবীর যে কোনাে স্থানের অবস্থান খুব নিখুঁতভাবে জানা যায়।

ii) দিক নির্ণয়-GPS এর সাহায্যে জাহাজ, স্টিমার ও নৌকার নাবিকরা সহজে দিক নির্নয় করতে পারে। 

iii) ট্রেনের গতিবেগ নির্ণয়-যেকোনাে স্থান থেকে ট্রেনের গতিবিধি সম্পর্কে জানার জন্য GPS ব্যবহার করা হয়। Future Point

iv) মানচিত্র তৈরি-বিভিন্ন দেশের সীমানা চিহ্নিতকরণে ও বিভিন্ন প্রকার মানচিত্র তৈরিতে GPS ব্যবহার করা হয়।

৪. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৩x১=৩

অক্ষরেখা ও দ্রাঘিমারেখার মধ্যে তিনটি পার্থক্য লেখাে। 

অক্ষরেখাদ্রাঘিমারেখা
১। অক্ষরেখাগুলো পৃথিবীকে পূর্ব-পশ্চিমে বেষ্টন করে আছে।১। দ্রাঘিমারেখাগুলো পৃথিবীকে উত্তর দক্ষিণে বেষ্টন করে আছে।
২। নিরক্ষরেখা থেকে অক্ষরেখা গণনা করা হয়।২। মূল মধ্যরেখা থেকে দ্রাঘিমারেখা গণনাকরা হয়।
৩। অক্ষরেখাগুলোর মান ০ (শূন্য ডিগ্রি)  থেকে ৯০° পর্যন্ত।৩। দ্রাঘিমারেখাগুলোর মান ০° (শূন্য ডিগ্রি) থেকে ১৮০° পর্যন্ত।

৫. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও : ৫ × ১ = ৫

চিত্রসহ কোনো স্থানের দ্রাঘিমা নির্ণয়ের পদ্ধতিটি লেখো।

উত্তর- অক্ষাংশ বোঝাবার সময় আমরা দেখেছি কিভাবে দুটি সরলরেখা পৃথিবীর কেন্দ্রে কোন তৈরি করে। দ্রাঘিমাংশ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে মূল মধ্যরেখা কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রেখা হিসেবে ধরা হয় । ভূগোলক এর মূল মধ্যরেখা ( 0 দ্রাঘিমা রেখা ) থেকে একটি সরলরেখা পৃথিবীর কেন্দ্র ( C বিন্দু ) পর্যন্ত টানা হয়েছে । P নামক স্থানটি যে দ্রাঘিমায় অবস্থিত সেখান থেকেও অপর একটি সরলরেখা কেন্দ্র পর্যন্ত টানা হয়েছে । ওই দুটি সরলরেখা পৃথিবীর কেন্দ্রে যে কোন ( RCP ) তৈরি করেছে সেটাই দ্রাঘিমাংশ । ধরা যাক তার মান 600 ডিগ্রী অতএব স্থানটি দ্রাঘিমাংশ হবে 600 ডিগ্রি পশ্চিম ।



Class 7 Model Activity Task Part 2 February 2022 Swasthyo O Sarirsikkha

2022 ফেব্রুয়ারী মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Class 7 Part 2 স্বাস্থ্য ও শরীরশিক্ষা

১। সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে ✔ চিহ্ন দাও:  ১ x 8=8

(ক) খেলা (Play) কী?

(i) আইনের অনুশাসন

(ii) সহজাত প্রবৃত্তি

(iii) পেশাদারিত্ব

(iv) সবকয়টি

উত্তর- (iii) পেশাদারিত্ব ✔

(খ) গ্রিক কোন শব্দ থেকে জিমনাস্টিক কথাটি এসেছে?

(i) অ্যাথলস

(ii) জিমনা

(iii) জিমনস

(iv) জিমনাস

উত্তর- (iv) জিমনাস ✔

(গ) কখন উষ্মীকরণ করা উচিত?

(i) খেলার সময়

(ii) খেলা শেষ হবার পরে

(iii) খেলা শুরুর আগে

(iv) খেলা শুরুর আগে ও পরে ✔

উত্তর- (iv) খেলা শুরুর আগে ও পরে

(ঘ) ড্রিল কী?

(i) ছন্দময় ব্যায়াম

(ii) শৃঙ্খলাবদ্ধ ব্যায়াম

(iii) সৌন্দর্যমূলক ব্যায়াম

(iv) ছন্দময়, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও সৌন্দর্যমূলক ব্যায়ামের সমষ্টি

উত্তর- (iv) ছন্দময়, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও সৌন্দর্যমূলক ব্যায়ামের সমষ্টি ✔

(২) বাম স্তম্ভের সঙ্গে ডান স্তম্ভের সমতাবিধান করো : ১×৬ = ৬

বাম স্তম্ভ  ডান স্তম্ভ
(ক) অ্যাথলেটিকস  
(খ) শরীরচর্চা  
(গ) বিনোদন  
(ঘ) ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন  
(ঙ) ইস্টবেঙ্গল ক্লাব  
(চ) মোহনবাগান ক্লাব প্রথম IFA শিল্ড চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল  
(i) তিন প্রকার  
(ii) ১৮৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়  
(iii) ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়  
(iv) ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়  
(v) শারীরিক সংস্কৃতি  
(vi) ১৯১১ সালে  
(vii) অ্যাথলস  

বাম স্তম্ভ  ডান স্তম্ভ
(ক) অ্যাথলেটিকস  (vii) অ্যাথলস  
(খ) শরীরচর্চা  (v) শারীরিক সংস্কৃতি  
(গ) বিনোদন  (i) তিন প্রকার  
(ঘ) ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন  (ii) ১৮৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়  
(ঙ) ইস্টবেঙ্গল ক্লাব  (iv) ১৯১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়  
(চ) মোহনবাগান ক্লাব প্রথম IFA শিল্ড চ্যাম্পিয়ান হয়েছিল  (vi) ১৯১১ সালে  
   (iii) ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়  

(৩) শব্দ ঝুড়ি থেকে সঠিক উত্তরটি বেছে শূন্যস্থানটি পূরণ করো : ১ × ৬ = ৬

(৩) শব্দ ঝুড়ি থেকে সঠিক উত্তরটি বেছে শূন্যস্থানটি পূরণ করো : ১ × ৬ = ৬

(ক) একটি দেশ কেবল কাগজের __________________ নয়, তার অবস্থান মানুষের হৃদয়ে।

উত্তর- মানচিত্র

(খ) জাতির জাগরণের এবং উন্নয়নের জন্য ___________________ অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়।

উত্তর- জাতীয়  সংহতি

(গ) __________________ একটি খেলার উদাহরণ।

উত্তর- কানামাছি

(ঘ) ব্যাপক অর্থে সমস্ত খেলাধুলাকেই __________________ বলা হয়।

উত্তর- অ্যাথলেটিক্স

(ঙ) একতা ও অনুশাসন, __________________ -র মূলমন্ত্র।

উত্তর- এন.সি.সি

(চ) ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের জার্সির রঙ হলো ___________________ ।

উত্তর- লাল-হলুদ

[শব্দ ঝুড়ি : লাল-হলুদ, এম.সি.সি., মানচিত্র, জাতীয় সংহতি, ফুটবল, অ্যাথলেটিক্স, কানামাছি]

(৪) রচনাধর্ম প্রশ্নের উত্তর দাও :

(ক) জাতীয় সংহতিরক্ষায় শারীরশিক্ষার ভূমিকা বর্ণনা করো।

উত্তর- খেলাধুলা ও শারীরশিক্ষার যেসমস্ত কার্যক্রম রয়েছে তা থেকে জাতীয় সংহতির বোধ জাগ্রত হয়। বিষয়গুলি হলো–

(i) দলগত খেলায় ধর্মীয় সমন্বয়ের মাধ্যমে জাতীয় সংহতি বৃদ্ধি— যে কোনো খেলায় দলগঠনের সময় খেলোয়াড়দের গুণগত মান দেখে বাছাই করা হয়। তাই একটি দলের মধ্যে হিন্দু-মুসলমান-শিখ-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ বিভিন্ন  ধর্মের খেলোয়াড়ই থাকে। খেলার মাঠে সমস্ত খেলোয়াড় তাদের ধর্মীয় বিভেদ ভুলে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একটিমাত্র লক্ষ্যপূরণের উদ্দেশে ব্রতী হয়। তাই খেলাধুলার মাঠ হলো সর্বধর্মসমন্বয়ের একটি ক্ষেত্র। এর ফলে জাতীয় সংহতি সুদৃঢ় হয়।

(ii) দলগত খেলা বর্ণভেদপ্রথাকে অবলুপ্ত করে- একটি দলে বিভিন্ন জাতির খেলোয়াড় থাকে, মাঠে খেলার সময় কে উচ্চবর্ণের/ কে নিম্নবর্ণের/কে ব্রাক্ষ্মণ/ কে শূদ্র তা দেখা হয় না। সকল বর্ণের মানুষ একে অপরকে সহযোগিতা করে। এর ফলে সমাজের মধ্যে বর্ণভেদ অবলুপ্ত হয়। খেলার মাঠই আমাদের সকল বর্ণের বিভেদ ভুলে গিয়ে মানুষকে জাতীয় সংহতিতে আরও দৃঢ় করে।

(iii) সহযোগীসহমর্মী মনোভাব তৈরি – খেলায়, দলের একজন সদস্য এককভাবে কখনোই লক্ষ্যপূরণে সার্থকতা পেতে পারে না। ফলে দলের সমস্ত সদস্যদের সহযোগিতা নিয়ে যৌথভাবে মূল লক্ষ্যপূরণ করতে হয়। এর থেকে খেলোয়াড়েরা সামাজিক ক্ষেত্রেও সহযোগী মনোভাব প্রদর্শন করে, যা জাতীয় সংহতিকে মজবুত করে।

(iv) বিভিন্ন শিবিরের মাধ্যমে সংহতিস্থাপন – খেলাধুলায় দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন আবাসিক শিবির তৈরি হয়। এই শিবিরে বিভিন্ন  ধর্মের,  বর্ণের, জাতির খেলোয়াড়দের একসঙ্গে, একই ছাদের তলায়, একই পরিবেশে, একই কার্যক্রমের মধ্যে থাকতে হয়। এর ফলে একসঙ্গে থাকা, একসঙ্গে কাজ করা, খাওয়া, ঘুমানোর অভ্যেস তৈরি হয় যা জাতীয় সংহতিকে মজবুত করে।

(v) মনের দূষণ রোধ করে- বিভিন্ন খেলাধুলা, ব্রতচারী ও দুঃসাহসিক অভিযানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ ও সৌহার্দ্যের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা  যেমন তাদের জয়কে বরণ করে নিতে পারে তেমনি প্রতিযোগিতায় পরাজিত হয়ে হাসিমুখে সেই পরাজয় মেনে নিতে পারে। একজন খেলোয়াড়ের কাছে জয় পরাজয়ের সমান গুরুত্ব অনুসরণ করে। তাইতো খেলার শেষে জয়ী ও পরাজিত একে অপরকে আলিঙ্গন করতে এগিয়ে আসে। এই বিরল দৃষ্টান্ত অন্য কোনো ক্ষেত্রেই দেখা যায় না।


Model Activity Task Part 2, February 2022

গণিত (Mathematics)

সপ্তম শ্রেণি (Class – VII)

পূর্ণমান – ২০


Class 7 Mathematics Model Activity Task Part 2 February 2022 Solution

নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখাে – 

1. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখাে : 1×4=4 

(i) 9: 15 অনুপাতটির লঘিষ্ঠর আকার হলাে 

(a) 18:30

(b) 9:1 

(c) 1:15

(d) 3:5 

উত্তর: 9: 15 অনুপাতটির লঘিষ্ঠর আকার হলাে (d) 3:5

(iI) একটি শ্রেণিতে 36 জন বালক এবং 28 জন বালিকা আছে, ঐ শ্রেণিতে বালিকা এবং বালকের সংখ্যার অনুপাত হবে 

(a) 9:9 

(b) 7:9 

(c) 9:14

(d) 18:7 

উত্তর: ঐ শ্রেণিতে বালিকা এবং বালকের সংখ্যার অনুপাত হবে  (b) 7:9 

(iii) 5: 15 এবং 2 : 3 অনুপাত দুটিকে তুলনা করলে ছােটো অনুপাতটি হবে

(a) 2:3

(b) 3:2

(c) 3:1

(d) 5:15 

উত্তর: 5: 15 এবং 2 : 3 অনুপাত দুটিকে তুলনা করলে ছােটো অনুপাতটি হবে (d) 5:15 

(iv) দুটি বাড়ির দামের অনুপাত 4 : 3 হলে, প্রথম বাড়ির দামের আনুপাতিক ভাগ হার হবে

(a) 43

(b)34

(c) 47

(d) 37

উত্তর: প্রথম বাড়ির দামের আনুপাতিক ভাগ হার হবে (c) 47

2. সত্য/মিথ্যা লেখাে : 1×3=3

(i) অনুপাতের কোনাে একক নেই।

উত্তর: সত্য

(ii) a:b অনুপাতটির ভগ্নাংশ আকার হলাে ab

উত্তর: সত্য

(iii) 1 টাকা এবং 1.30 টাকার অনুপাত হলাে 10:13

উত্তর: সত্য

3. (i) লঘিষ্ঠ আকারে একটি অনুপাত 5:7 এবং এই অনুপাতটির পূর্বপদ 45 হলে, উত্তরপদটি নির্ণয় করাে।  2

উত্তর: ধরি, উত্তরপদ = x

শর্তানুযায়ী, 45: x =5:7

বা, 45x=57

বা, 5×(x)=45×7

বা, x = 459×751

=63

নির্ণেয় উত্তর পদ = 63

(ii) 214:58 অনুপাতটি লঘিষ্ঠ আকারে পূর্ণসংখ্যার অনুপাতে প্রকাশ করাে।  2

উত্তর: 214:58

=94:58

9458

=942×825

185

= 18:5

(iii) মিশ্র অনুপাত নির্ণয় করাে : 2kg:480 gm এবং 120 min:150 min. 2

উত্তর: প্রথম অনুপাত =2kg : 480 gm

= 2×1000gm 480gm

20005025480126

=25:6

দ্বিতীয় আনুপাত = 120 min : 150 min

=12041505

=4:5

নির্ণেয় মিশ্র অনুপাত 25×4 : 6×5

=255×4263×51

=10:3

(iv) ধান চাষের জন্য 17 বস্তা গােবর সারের সঙ্গে 3 বস্তা সজির খােসা মেশানাে হলাে। মিশ্রণে সজ্জির খােসার বস্তার অনুপাতিক 

ভাগ হার নির্ণয় করাে। 2

উত্তর:

মিশ্রনে গবর সার =17 বস্তা

এবং সব্জির খসা=৩ বস্তা

অতএব মিশ্রনে গোবর সার ও সব্জির খোসার অনুপাত =17:5=17+3=20

মিশ্রণে সজ্জির খােসার বস্তার অনুপাতিক ভাগ হার 320

4. 12,100 টাকা মধু, মানস, কুন্তল ও ইন্দ্রর মধ্যে 2:3:4:2 অনুপাতে ভাগ করে দিলে কে কত টাকা পাবে তা নির্ণয় করাে। 5

উত্তর: মধু, মানস, কুন্তল ও ইন্দ্রের মধ্যে প্রদত্ত টাকার অনুপাত 2:3:4:2

সুতরাং, 2+3+4+2=11

মধুর প্রাপ্ত অর্থের আনুপাতিক ভাগ হার =211অংশ

মানসের “””””””””””””””””””””””””””””” =311 “

কুন্তলের “”””””””””””””””””””””””””””””=411 ”

ইন্দ্রের “””””””””””””””””””””””””””””” =211 “

মধু টাকা পায় = 12100 টাকার 211 অংশ

=121001100×2111 টাকা

= 2200 টাকা

মানস টাকা পায় = 12100 টাকার 311 অংশ

12001100×3111 টাকা

3300 টাকা ।

কুন্তল পায় = 12100 টাকার 411 অংশ

121001100×4111 টাকা

4400 টাকা ।

ইন্দ্র টাকা পায় = 12100 টাকার 211 অংশ

=121001100×2111 টাকা

= 2200 টাকা

অতএব,

মধু , মানস, কুন্তল ও ইন্দ্র পাবে 2200,3300,4400,2200 টাকা।


 

(i

ক 

Comments

Popular posts from this blog

অন্তবর্তী প্রস্তুতিকালীন মূল্যায়ন জীবন বিজ্ঞান কোষ বিভাজন

শ্রীগোপীনাথ জিউ মন্দির, অগ্রদ্বীপ, পূর্ব বর্ধমান

জৈবনিক প্রক্রিয়া নবম শ্রেণী