Class 10 all subject Model Activity Task November Combined Part 8 Solution
- Get link
- X
- Other Apps
Class 10 Model Activity Task Bengali Part 8 November
Class 10 Combined Model Activity Task
বাংলা (প্রথম ভাষা)
দশম শ্রেণি
১ . ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো :
১.১ তপনের লেখা যে গল্পটি ‘ সন্ধ্যাতারা ‘ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল—
ক ) রাজা ও রানি
খ ) অ্যাকসিডেন্ট
গ ) প্রথম দিন
ঘ ) স্কুলে ভরতি হওয়ার দিনের অভিজ্ঞতা
উত্তর : গ ) প্রথম দিন
১.২ পাঠ্য ‘ অসুখী একজন ’ কবিতাটির অনুবাদক–
ক ) শঙ্খ ঘোষ
খ ) নবারুণ ভট্টাচার্য
খ ) উৎপলকুমার বসু
ঘ ) মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
উত্তর : খ) নবারুণ ভট্টাচার্য
১.৩ ‘ আফ্রিকা ’ কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের যে কাব্যগ্রন্থে রয়েছে—
ক ) মানসী
খ ) চিত্রা
গ ) পত্রপুট
ঘ ) নৈবেদ্য
উত্তর : গ) পত্রপুট
১.৪ ‘ বাবু কুইল ড্রাইভারস ’ কথাটি বলতেন—
ক ) ওয়াটারম্যান
খ ) লর্ড কার্জন
গ ) উইলিয়াম জোন্স
ঘ ) উইলিয়াম হেস্টিংস
উত্তর : খ ) লর্ড কার্জন
১.৫ যে কাব্যগ্রন্থটি শঙ্খ ঘোষের লেখা নয়
ক ) দিন ও রাত্রি
খ ) দিনগুলি রাতগুলি
গ ) পাঁজরে দাঁড়ের শব্দ
ঘ ) ধূম লেগেছে হৃৎ কমলে
উত্তর : ক) দিন ও রাত্রি
২. কম – বেশি ২০ টি শব্দের উত্তর লেখো :
২.১ ‘ সমানি সম শীর্ষাণি ঘনানি বিরলানি চ ’ – কথাটির অর্থ কী ?
উত্তর : প্রশ্ন উদ্ধৃত বাক্যটির অর্থ হল – সব অক্ষর সমান, প্রতিটি ছত্র সুশৃঙ্খল পরিচ্ছন্ন।
২.২ ‘ আফ্রিকা ’ কবিতায় দিনের অন্তিমকাল কীভাবে ঘোষিত হয়েছিল ?
উত্তর : অশুভ ধ্বনিতে ঘোষিত হয় দিনের অন্তিমকালে।
২.৩ ‘ আয় আরো বেঁধে বেঁধে থাকি ‘ কবিতায় কবি ‘ পায়ে পায়ে হিমানীর বাঁধ ‘ বলতে কী নির্দেশ করেছেন ?
উত্তর : হিমানী শব্দের অর্থ হলো বরফের বাঁধ। এখানে কবি প্রতি পদক্ষেপে বিপদের কথা বলেছেন বা প্রতি পদক্ষেপে হিমানী বাঁধের বাধার কথা বলেছেন।
২.৪ ‘ মাভৈ : মাভৈ : ’ – এমন উচ্চারণের কারণ কী ?
উত্তর : বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ‘প্রয়োল্লাস’ কবিতায় “প্রলয়োল্লাস” কবিতায় মাভৈঃ মাভৈঃ বলে অভয়বাণী দিয়েছেন। তিনি বলেছেন প্রলয় আসছে দেখে ভয় পেলে চলবে না। কারণ, প্রলয়ের এই ধ্বংসাত্মক রূপের আড়ালেই আছে নবসৃষ্টির বীজ। এই জগৎজোড়া প্রলয় এলেই জরায় মৃতবৎ মানুষদের লুকানো প্রাণের বিনাশ হবে এবং মহানিশার শেষে নতুন সূর্য উঠবে, যা ভারতের ভাগ্যাকাশে মুক্তির প্রতীক রূপে দেখা দেবে।
২.৫ … দুজন বন্ধু নোক আসার কথা ছিল , ’ – বন্ধুদের কোথা থেকে আসার কথা ছিল ?
উত্তর : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পথের দাবী গল্পে উল্লেখিত অংশে উদ্ধৃত লাইনটি আমরা দেখতে পাই। এনাঞ্জাং থেকে আসার কথা ছিল।
৩. প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম – বেশি ৬০ টি শব্দের মধ্যে উত্তর লেখো :
৩.১ ‘ তোরা সব জয়ধ্বনি কর । ‘ – কার জয়ধ্বনি করতে কবির এই আহ্বান ?
কেন তার ‘ জয়ধ্বনি করতে হবে ?
উত্তর : প্রশ্নোদ্ধৃত উক্তিটি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা “অগ্নিবীনা” কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত ‘প্রলয়োল্লাস’ কবিতা থেকে গৃহীত।আলোচ্য উক্তিটিতে কবি সাধারণ দেশবাসীকে জয়ধ্বনি করতে বলেছেন। তিনি কল্পনা করেছেন, কালবৈশাখীরূপী তরুণের দল সমাজ থেকে অন্যায়, অবচার ও বৈষম্য দূর করতে অচিরেই আবির্ভূত হবে। সমস্ত পাপাচার সমাজ থেকে মুছে যাবে, ধুয়ে যাবে যাবতীয় অসুন্দর। তাই ‘নূতনের কেতন’ ওড়ানো ‘কালবোশেখির ঝড়’ আসন্ন দেখে তাকে যথাযথভাবে বরণ করে নেওয়ার জন্য সকলকে জয়ধ্বনি করতে বলেছেন।
৩.২ ‘ খুবই গরিব মানুষ হরিদা ।
হরিদার পরিচয় দাও । তাঁর দারিদ্র্যের ছবি ‘ বহুরূপী ‘ গল্পে কীভাবে প্রতিভাসিত হয়েছে ?
উত্তর : জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক সুবোধ ঘোষের লেখা ‘বহুরূপী’ গল্পের প্রধান চরিত্র হরিদা I তিনি খুবই গরিব মানুষ। পেশাগত দিক থেকে তিনিএকজন বহুরূপী।
গল্পের নায়ক হরিদা পেশায় বহুরূপী। কিন্তু বহুরূপী সেজে তার অর্থ উপার্জন তেমন হয় না। যদিও হরিদা শিল্পীসুলভ নেশার টানে কখনও পাগল, বাউল বা কাপালিক সাজেন, কখনও বা সাজেন বুড়ো কাবুলিওয়ালা, পুলিশ বা রূপসি বাইজি। পরিচিতরা তার এই বহুরূপীর সাজে মুগ্ধ হলে এক আনা বা দু-আনা বকশিশ দেয়। অপরিচিতরা বিরক্তির সঙ্গে হাতে তুলে দেয় দুটো একটা পয়সা। সপ্তাহের একটা দিনের এই সামান্য রোজগারে হরিদার সংসারের দুঃসহ অভাব ঘোচে না। সারা সপ্তাহের ক্ষুধানিবৃত্তির অন্নসংস্থান হয় না। তাই হরিদার উনানের হাঁড়িতে অনেক সময় শুধু ফেলার জল ফোটে, ভাত ফোটে না I
৪. কমবেশি ১২৫ শব্দে নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও ।
‘ মনে হয় , ওর নিশ্বাসে বিষ , ওর দৃষ্টিতে আগুন , ওর অঙ্গ সঞ্চালনে ভূমিকম্প । ‘
— উদ্ধৃতিটির আলোকে ঘসেটি বেগমের চরিত্রবৈশিষ্ট্য আলোচনা করো ।
উত্তর : শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের লেখা ‘সিরাজদ্দৌলা’ নাট্যাংশে ঘসেটি বেগম চরিত্রটি এক স্বার্থান্বেষী, প্রতিহিংসাপরায়ণা, কূটনারী চরিত্র হিসেবে প্রতিভাত হয়েছে। নবাব আলিবর্দি খাঁর জ্যেষ্ঠা কন্যা মেহেরুন্নিসা ওরফে ঘসেটি বেগম ছিলেন সম্পর্কে সিরাজের মাসি। ঘসেটি চেয়েছিলেন আলিবর্দির অবর্তমানে বাংলার মসনদে বসবেন তার স্বামী। কিন্তু স্বামীর অকালমৃত্যুতে তার সে ইচ্ছাপূরণ হয়নি। অন্যদিকে তার পুত্রেরও মসনদপ্রাপ্তি অধরাই থেকে যায়। বোন আমিনার ছেলে সিরাজ মসনদে অধিষ্ঠিত হলে ঘসেটি বেগম ক্রুদ্ধ ও হিংস্র হয়ে ওঠে এবং সিরাজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
প্রতিহিংসাপরায়ণা : ঘসেটি সিরাজের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ও অভিসম্পাত করেছে কিন্তু রাজনৈতিক কারণেই সিরাজ ঘসেটিকে গৃহবন্দি করে রেখেছিলেন। তাতে ঘসেটি আরও প্রতিহিংসাপরায়ণা হয়ে ওঠে। ঘসেটির মুখেই সেই প্রতিহিংসার কথা প্রকাশ পায়–“আমার রাজ্য নাই, তাই আমার কাছে রাজনীতিও নাই আছে শুধু প্রতিহিংসা।” এই প্রতিহিংসা তার পূর্ণ হবে সেইদিন যেদিন সিরাজের প্রাসাদ অপরে অধিকার করবে, তাঁকে সিংহাসন থেকে ঠেলে ফেলে শওকতজঙ্গের মতো কেউ হত্যা করবে। সিরাজ-বিরোধী ষড়যন্ত্রে সে ছিল প্রধান ব্যক্তি।
দেশদ্রোহী : ঘসেটি চেয়েছিল অপুত্রক আলিবর্দির অবর্তমানে সিংহাসনের অধিকার পাবে তার স্বামী, তা না হলে পালিত পুত্র শওকতজঙ্গের সম্ভাবনাও যখন সিরাজের কারণে অসম্ভব হয়, তখন নবাব-বিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত হয়ে, ইংরেজ তোষণে বাংলার পতন ডেকে আনতেও পিছপা হয়নি সে।
অমানবিক: শুধুমাত্র রাজ্যলোভে সন্তানতুল্য সিরাজের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে ঘসেটি। এই চরিত্রে নারীসুলভ সুকুমার মনোবৃত্তি লুপ্ত হয়ে কর্কশ নির্মমতা প্রকাশ পেয়েছে। ঘসেটির সঙ্গে থাকতে লুৎফ্ফার ভয় হয়। “মনে হয়, ওর নিশ্বাসে বিষ, ওর দৃষ্টিতে আগুন, ওর অঙ্গ সঞ্চালনে ভূমিকম্প!” নবাবের সকল চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রধান বিদ্রোহিণী ঘসেটি বেগম।
স্বার্থান্বেষী : স্নেহময়ী নারীর কোনো স্বভাববৈশিষ্ট্য ঘসেটির মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই সে মানবী নয়, দানবী। সিরাজ তাকে মায়ের সম্মান দিয়েছিলেন কিন্তু ঘসেটির মধ্যে মায়ের স্নেহ ছিল না। ছিল তীব্র প্রতিহিংসার দহনজ্বালা। এক কুচক্রী স্বার্থান্বেষী, প্রতিহিংসাপরায়ণা কূট নারী হিসেবেই নাট্যাংশে ঘসেটির উপস্থিতি। ঘসেটির চরিত্রে যুগোপযোগিতা ও বাস্তবতার প্রমাণ এই যে, সিরাজের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে সে নিজের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার পথকে প্রশস্ত করেছিল।
৫. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো ( কম – বেশি ১৫০ শব্দ ) : ৫ × ২ = ১০
৫.১ ‘ দস্যুরা কীভাবে আফ্রিকার ইতিহাসে চিরচিহ্ন এঁকে দিয়ে গিয়েছিল , তা ‘ আফ্রিকা ‘ কবিতা অনুসরণে আলোচনা করো ।
উত্তর : রবীন্দ্রনাথের আফ্রিকা কবিতায় উদৃত পংক্তিতে অপমানিত আফ্রিকাকে এ কথা বলা হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘আফ্রিকা’ কবিতায় ‘অপমানিত ইতিহাস’ বলতে সাম্রাজ্যবাদী শাসকদের দ্বারা শােষিত আফ্রিকার বঞ্চনা ও লাঞ্ছনার ইতিহাসকে বুঝিয়েছেন। সৃষ্টির সূচনা থেকেই আফ্রিকা অরণ্যাবৃত। সে তথাকথিত উন্নত সভ্যতার আলাে থেকে বহুদূরে নির্বাসিত ছিল। সভ্য ইউরােপীয় সভ্যতার চোখেও আফ্রিকা উপেক্ষিত ছিল দীর্ঘদিন। তথাকথিত সভ্য’ পাশ্চাত্য সভ্যতা আফ্রিকার নিজস্ব জীবনধারা, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ইত্যাদিকে স্বীকার করত না। কিন্তু উনবিংশ শতকে ইউরােপীয়রা আফ্রিকায় ইত্যাদিকে স্বীকার করত না। কিন্তু উনবিংশ শতকে ইউরােপীয়রা আফ্রিকায় উপনিবেশ স্থাপনের সূচনার ফলে ক্রমে এই শতকের শেষে প্রায় পুরাে আফ্রিকাই ইউরােপের বিভিন্ন দেশের উপনিবেশে পরিণত হয়। আফ্রিকার সম্পদের সন্ধান পেতে এই শ্বেতাঙ্গ ঔপনিবেশিক তথা সাম্রাজ্যবাদীর দল শুরু করে মানবিক লাঞ্ছনা। আফ্রিকার কৃয়াঙ্গ সরল মানুষগুলিকে লােহার হাতকড়ি পরিয়ে মানুষ-ধরা’ এই বর্বরেরা তাদের পরিণত করে ক্রীতদাসে। তাদের বর্বরতা ও লােভ আফ্রিকার সূর্যহারা অরণ্যের চেয়েও কালাে। এইসব অত্যাচারিত মানুষদের রক্ত ও অশুতে কর্দমাক্ত হয় আফ্রিকার বনপথের ধুলাে। সাম্রাজ্যবাদী দস্যুদের কাটা-মারা জুতাের তলার কাদার পিণ্ড এভাবেই আফ্রিকার অপমানিত ইতিহাসে চিরচিহ্ন দিয়ে গিয়েছে।
৫.২ ‘ বাবুজি , এসব কথা বলার দুঃখ আছে । – বক্তা কে ? কোন কথার পরিপ্রেক্ষিতে সে একথা বলেছে ?
উত্তর : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘পথের দাবী’ পাঠ্যাংশে উদ্ধৃত মন্তব্যটির বক্তা অপূর্বর সহকর্মী রামদাস তলওয়ারকর। ‘পোলিটিকাল সাসপেক্ট’ সব্যসাচী মল্লিককে গ্রেফতার করতে গিয়ে ছদ্মবেশী গিরীশ মহাপাত্রকে নিয়ে মহা হুঁশিয়ার পুলিশের দলকে নির্বোধ ও আহাম্মক হতে দেখার কথা যখন অপূর্ব বর্ণনা করছিল তখন রামদাস জানতে চায় “তারা কি আপনাদের বাংলাদেশের পুলিশ?” উত্তরে অপূর্ব সায় দিয়ে বলে, তার লজ্জা হয় এই ভেবে যে, পুলিশের বড়োকর্তা তার আত্মীয় এবং পিতৃবন্ধু। তার বাবাই একদিন এঁর চাকরি করে দিয়েছিলেন।
মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ার রামদাস মুখ ফসকে বলে ফেলে একদিন এর জন্যই হয়তো অপূর্বকে প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। এই কথা বলে সে নিজের অপ্রতিভ হয়ে চুপ করে যায়। অপূর্ব তার অর্থ বুঝতে পেরে বলে, পুলিশ কর্তা তার শুভাকাঙ্ক্ষী বা আত্মীয় হলেও তিনি দেশের চাইতে আপন নন, বরং যাঁকে গেফতার করার জন্য তারা উদ্গ্রীব, সেই স্বাধীনতা সংগ্রামীকে সে অনেক বেশি আপনজন বলে মনে করে। এ কথার প্রসঙ্গে রামদাস আলোচ্য উক্তিটি করেছিল।
ইংরেজ সরকার রাজবিদ্রোহীদের প্রতি কঠোর মনোভাব পোষণ করত। সেই কারণেই বিপ্লবী সব্যসাচী মল্লিককে ধরার জন্য সুদূর বাংলা মুলুক থেকে বর্মায় তারা পুলিশের বিশেষ দল পাঠিয়েছিল। এ ছাড়া ট্রেনযাত্রার সময় রাতভর পুলিশের নজরদারি ইত্যাদির মধ্যদিয়ে বোঝা যায়, ইংরেজ সরকার রাজ বিদ্রোহীদের দমন করতে কতটা তৎপর ছিল। বিপ্লবীদের গ্রেফতারের পর নানা ধরনের অত্যাচার ও দমননীতি প্রয়োগ করা হয় – এ কথা সেদিন সমস্ত ভারতীয়ের মতো রামদাসও জানত। তাই অপূর্বর মুখে দেশভক্তির সোচ্চার ঘোষণায় সে তাকে বন্ধু হিসেবে সতর্ক করে দিতে চেয়েছিল।
৬. নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখো ( কম – বেশি ১৫০ শব্দ ) :
‘ ক্ষিদ্দা , এবার আমরা কী খাব ? ’ – উদ্ধৃতিটির আলোকে কোনির যন্ত্রণাবিদ্ধ জীবনযাত্রার পরিচয় দাও ।
উত্তর : গঙ্গার ঘাট থেকে মাদ্রাসায় জাতীয় সাঁতার প্রতিযোগিতায় ভিকট্রি স্ট্যান্ড পর্যন্ত কোনির যে যাত্রা ক্ষিদ্দাই কোনির প্রথম ও প্রধান নির্দেশক ও অনুপ্রেরণা। অনুশীলনেরস্ট ব্যবস্থা ক্ষিতীশ সিঙ্ঘ কোনিকে সাঁতারে চ্যাম্পিয়ন করারনোর জন্য। কঠোর অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছিলেন। এই অনুশীলনে সাঁতারের বিভিন্ন কৌশল ক্ষিতীশ কোনিকে শিখিয়েছিলেন। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ছটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত কোনির প্র্যাকটিস চলত। ছকে বাঁধা জীবন; ক্ষিতীশ কোনির জীবনযাত্রাকে একটা ছকে বেঁধে দিয়েছিলেন। কোনি কখন কী কী খাবে সেই ব্যাপারেও ক্ষিতীশ নিয়ম জারি করেছিলেন। ক্ষিতীশ কোনিকে প্রতদিন দুটো ডিম, দুটো কলা এবং দুটো টোস্ট খাওয়ার কথা ক্ষিতীশ বলেন। এগুলি কোনিকে খেতে দেওয়ার বদলে আরও এক ঘন্টা কোনির জলে থাকতে হবে বলে ক্ষিতীশ জানান। অমানুষিক পরিশ্রম লোভ দেখিয়ে অমানুষিক পরিশ্রম করিয়ে নেওয়া অন্যায় জেনেও যন্ত্রনা আর সময় দুটোকেই হারানোর জন্য ক্ষিতেশ এমনটা করেছিলেন। কোনি টিফিনের বদলে টাকা চাইলে ক্ষিতীশ আর কোনির মধ্যে বোঝাপড়া হয়। ক্ষিতীশ কোনিকে নানা উদাহরণ দিয়ে তাকে উজ্জীবিত করেন। সফলতা অর্জন ক্ষিতীশই দেয়ালে ৭০ লিখে টাঙিয়ে কোনির লক্ষ্যমাত্র ঠিক করে দেন। তার তত্ত্বাবধানে দিনের পর দিন কোনির এই কঠোর অনুশীলনই তাকে সাফল্যের শীর্ষে নিয়ে যায়।
৭. নির্দেশ অনুযায়ী উত্তর দাও :
৭.১ অনুসর্গ হলো একপ্রকার
( ক ) বিশেষ্য পদ
( খ ) বিশেষণ পদ
( ঘ ) অব্যয় পদ
( গ ) সর্বনাম পদ
উত্তর : (ঘ) অব্যয় পদ
৭.২ ‘ বিভক্তি কখনোই লুপ্ত হয় না
( ক ) কর্মকারকে
( খ ) করণ কারকে
( ঘ ) কর্তৃকারকে
( গ ) সম্বন্ধ পদে
উত্তর : (ক) কর্মকারকে
৭.৩ নির্দেশকের একটি উদাহরণ হলো
( ক ) হইতে
( খ ) কর্তৃক
(ঘ) গুলি
( গ ) জন্য
উত্তর : (ঘ) গুলি
৮. ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো :
ভোজ্যবস্তু
উত্তর : ভোজ্যবস্তু = ভোজ্যের বস্তু – সম্বন্ধ তৎপুরুষ সমাস
পোশাক – পরিচ্ছদ
উত্তর : পোশাক-পরিচ্ছদ = পাশোক ও পরিচ্ছদ – দ্বন্দ্ব সমাস
সন্ধ্যাহিক
উত্তর : সন্ধ্যাহ্নিক = সন্ধ্যায় পালনীয় আহ্নিক – মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস
৯. কমবেশি ১৫০ শব্দে প্রতিবেদন রচনা করো :
লর্ডসে রুদ্ধশ্বাস জয় ভারতীয় ক্রিকেট দলের l
উত্তর :
লর্ডসে রুদ্ধশ্বাস জয় পেল ভারতীয় ক্রিকেট দল
নিজস্ব সংবাদদাতা, ১৭ই আগস্ট, লর্ডস: লর্ডস টেস্টে ঐতিহাসিক জয় ভারতীয় দলের। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের পঞ্চম দিনে ব্যাটে বলে দাপট দেখাল ভারতীয় ক্রিকেটাররা। প্রথমে চাপের মুহূর্তে ৮৯ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ভারতকে ২৯৮ রানে পৌছে দেয় মহম্মদ শামি ও জসপ্রীত বুমরা৷ অর্ধশতরান করেন মহম্মদ শামি। ইংল্যান্ডের ২৭ রানের লিড বাদ দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৭২ রানের টার্গেট (দেয় টিম ইন্ডিয়া। রান তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকেই লাগাতার ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে চাপে বাড়তে থাকে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ। জো রুট ও জোস বাটলার কিছুটা লড়াই করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ১২০ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ডের ইনিংস। ১৫১ রানে জয় পেল টিম ইন্ডিয়া।
১০. বঙ্গানুবাদ করো :
Home is the first School where the Child learns his first lesson . He sees , hears and begins to learn at home . It is home that builds his Character . In a good home honest and healthy men are made .
উত্তর : বাড়ি হ’ল প্রথম স্কুল যেখানে শিশু তার প্রথম পাঠ শেখে। তিনি দেখেন, শুনেন এবং শুরু করেন বাড়িতে শিখুন। এটি বাড়িতে যা তার চরিত্রটি তৈরি করে। একটি ভাল বাড়িতে সৎ এবং স্বাস্থ্যবান পুরুষরা তৈরি হয়।
Combined Activity Task / Model Activity Task Part 8
English 2nd Language
Class – X
A. Read the following passage and answer the questions that follow:
I was having tea at home on the evening of 30th January, 1948, when I was called to Birla house by an urgent telephone. Gandhiji had been shot on his way to a prayer meeting. I was numb with shock as I got into the car.
At the Birla House, Gandhiji’s relatives and followers had gathered round his body. There was silence in the room as Gandhiji breathed his last. Words of Bapuji’s death had spread through Delhi like a flame fanned by wind. Sad groups of men and women had collected around Birla House. Out of every window one could see a brown blur of faces. They did not make a sound. There was an unnatural silence. It was as if time stood still for those few minutes.
The people were too stunned to speak in the beginning. Later they clamoured wildly, shouting and crying. They jostled one another in a stampede to break into the house. They calmed a little when it was announced that they would be allowed to see Gandhiji before the funeral.
Activity 1
Write the correct alternative to complete the following sentences: 1×5 = 5
a) The narrator was having _______________.
i) rice
ii) bread
iii) tea
iv) fruits
Answer: iii) tea
b) The narrator received a telephone call in the _______________.
i) morning
ii) afternoon
iii) night
iv) evening
Answer: iv) evening
c) Gandhiji was shot on his way to a _______________.
i) fair gathering
ii) prayer meeting
iii) political meeting
iv) marketplace
Answer: ii) prayer meeting
d) The narrator went to Birla House by _______________.
i) car
ii) bus
iii) train
iv) rickshaw
Answer: i) car
e) Time appeared to have stopped for a few _______________.
i) hours
ii) days
iii) minutes
iv) months
Answer: iii) minutes
Activity 2
Complete the following sentences with information from the text: 1 × 3= 3
i) At the Birla House, Gandhiji’s __________________________________________________.
Answer: At the Birla House, Gandhiji’s relatives and followers had gathered round his body.
ii) Words of Bapuji’s death had ___________________________________________________.
Answer: Words of Bapuji’s death had spread through Delhi like a flame fanned by wind.
iii) The people were too stunned to _________________________________________________.
Answer: The people were too stunned to speak in the beginning.
Activity 3
Answer the following questions: 2 × 2 = 4
i) What could one see out of every window?
Answer: As sad groups of men and women had collected around Birla House, Out of every window one could see a brown blur of faces.
ii) When did the people become a little calm?
Answer: The people become a little calm when it was announced that they would be allowed to see Gandhiji before the funeral.
B. Read the text given below and answer the questions that follow:
The mountain and the squirrel
Had a quarrel:
And the former called the later ‘Little Prig.’
Bun replied,
‘You are doubtless very big;
But all sorts of things and weather
Must be taken in together,
To make up a year
And a sphere.
And I think it no disgrace
To occupy my place.
If I’m not so large as you
You are not so small as I,
And not half so spry.
I’ll not deny you make
A very pretty squirrel track;
Talents differ; all is well and wisely put;
If I cannot carry forests on my back
Neither can you crack a nut.’
Activity 4
Write the correct alternative to complete the following sentences: 1×4 = 4
i) The quarrel was between the mountain and the _____________________
a) nut
b) track
c) weather
d) squirrel
Answer: d) squirrel
ii) The “later” is the ______________________
a) squirrel
b) mountain
c) quarrel
d) year
Answer: d) squirrel
iii) The squirrel is very ______________
a) spry
b) big
c) lazy
d) tall
Answer: a) spry
iv) The mountain can carry on its back a _________________
a) sphere
b) forest
c) weather
d) year
Answer: b) forest
Activity 5
Complete the following table: 2×2 = 4
Answer:
Sl. No. | Statement | Reason |
i | The former called the later ‘Little Prig. | The former called the later ‘Little Prig.’ to mock him as the squirrel is too small compared to the mountain. |
ii | Neither can the mountain crack a nut nor can the squirrel carry a forest. | The mountain is not active and can not move. The squirrel is a very small creature and unable to carry forest. |
Activity 6
Split the following into two sentences: 1×4 = 4
a) Having heard the news, she fainted.
Answer: She heard the news, she fainted.
b) It was raining heavily, when she reached home.
Answer: She reached home. It was raining heavily.
c) Ashoka, who was a great king, helped in the spread of Buddhism.
Answer: Ashoka was a great king. He helped in the spread of Buddhism.
d) Shabnam thought that she would win the first prize.
Answer: She would win the first prize. Shabnam thought this.
Activity 7
Replace the underlined words with suitable phrasal verbs from the given list. Change the form of verbs if necessary. Write the answers in the given space. One extra phrasal verb is given in the list: 2×3 = 6
i) My older brother is in search of a job. ____________
Answer: My older brother is looking for a job.
ii) I cannot tolerate his audacity. ____________
Answer: I cannot put up with his audacity.
iii) The Headmistress distributed books among the students. ____________
Answer: The Headmistress gave away books among the students.
[List of Phrasal verbs : gave away, turn down, look for, put up with]
Activity 8
Write a dialogue within 100 words between two friends on your feelings about not going to school for a long time. 10
Answer:
Mohit: Hi Rohit! How are you?
Rohit: I’m fine dear. What about you?
Mohit: I’m fine too. What are you doing these days? I mean schools are closed due to coronavirus and there is a complete lockdown in schools. So how do you spend your time at home?
Rohit: Nothing special dear, life has become dull and boring. I’m thinking of joining online computer classes to spend time.
Mohit: That’s a good idea.
Rohit: Yes. How is your life in lockdown?
Mohit: Very tough. I’m also thinking about what can I do at this time?
Rohit: You can join grammar classes because you have some weaknesses in this matter.
Mohit: That’s a good idea. I hadn’t thought this. Thank you so much.
Rohit: But this is a small part of a whole day.
Mohit: Yes. It is not a substitute for school.
Rohit: Of course. In school, we can meet and play with our friends.
Mohit: Corona detached us from each other. I just hope that things go back to normal as soon as possible. Rohit: I also hope the same.Ok bye. I’ll call you later.
Mohit: Bye. Stay home, stay safe.
Activity 9
Suppose you are the Cultural Secretary of the Students’ Club of your school. Write a notice in about 100 words informing the students about an Online Debate Competition for the students of Classes IX and X of your school. 10
Answer:
Online Debate Competition
18th October, 2021
This is to notify that the ‘Students’ Club’ of our school is going to organize an Online Debate Competition on 25th October, 2021. Only the students of classes IX and X can participate in the debate competition. The motion of the debate is- “Online classes harm the real learning temper of the students”. Two groups of students will be made, one for the motion, and the other against it. ‘Each speaker can speak online for four minutes either for the motion or against it. To attend the debate participants need not gather anywhere. Using their smartphones they can participate in the competition online from their homes. Interested students from these classes are hereby asked to submit their names through e-mail or WhatsApp within 23rd October, 2021 to the undersigned. Co-operation from all concerned is highly solicited.
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Part 8 (Combined), October 2021
গণিত (পূর্ণমান ৫০)
দশম শ্রেণী
Class 10 Mathematics Model Activity Task Part 8 Solution :
নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখাে :
1. বহুমুখী উত্তরধর্মী প্রশ্ন (MCQs)
(i) বাস্তব সহগ যুক্ত একচলবিশিষ্ট দ্বিঘাত সমীকরণটি হলাে
(a) x(x2 – 1) – 3x = 0
(b) x2(x2 – 1) – 6x = 0
(c) x(x-1) – x = 0
(d) 2x – 4 = 0
উত্তর: (c) x(x-1) – x = 0
(ii) (2x -2) (x + 3) = 0 সমীকরণটির বীজ দুটি হলাে
(a) -1, -3
(b) -1, 3
(c) 1,-3
(d) 1, 3
উত্তর: (c) 1,-3
(iii) বার্ষিক 10% সরল সুদের হারে 50 টাকার 2 বছরের সুদ ঐ একই হারে 100 টাকার 1 বছরের সুদের
(a) দ্বিগুণ
(b) অর্ধেক
(c) এক চতুর্থাংশ
(d) সমান
উত্তর: (d) সমান
(iv) O কেন্দ্রীয় বৃত্তের PQও RS দুটি সমান দৈর্ঘ্যের জ্যা। O বিন্দু থেকে PQ জ্যা-এর দূরত্ব 8 সেমি হলে, O বিন্দু থেকে RS জ্যা-এর দূরত্ব হবে
(a) 8 সেমি.
(b) 16 সেমি.
(c) 4 সেমি.
(d) 10 সেমি.
উত্তর: (a) 8 সেমি.
(v) O কেন্দ্রীয় বৃত্তের বহিঃস্থ P বিন্দু থেকে অঙ্কিত স্পর্শক বৃত্তকে Q বিন্দুতে স্পর্শ করে। OQ = 9 সেমি, PO = 15 সেমি. হলে PQ-এর দৈর্ঘ্য হবে
(a) 6 সেমি
(b) √152−92 সেমি
(c) √152+92 সেমি
(d) 13 সেমি
উত্তর: (b) √152−92 সেমি
(vi) দুটি নিরেট গােলকের বক্রতলের ক্ষেত্রফলের অনুপাত 25 : 16 হলে, তাদের আয়তনের অনুপাত হবে
(a) 5:4
(b) 64 : 125
(c) 4:5
(d) 125 : 64
উত্তর: (d) 125 : 64
(vii) দুটি বৃত্ত পরস্পরকে C বিন্দুতে বহিঃস্পর্শ করে। AB বৃত্ত দুটির একটি সাধারণ স্পর্শক বৃত্তদুটিকে A ও B বিন্দুতে স্পর্শ করে, ∠ACB-এর পরিমাপ হলাে,
(a) 60°
(b) 45°
(c) 30°
(d) 90°
উত্তর: (d) 90°
(viii) একটি নিরেট অর্ধগােলকের সমগ্রতলের ক্ষেত্রফল 147Π বর্গসেমি. হলে, উহার ব্যাসার্ধ হবে,
(a) 6 সেমি.
(b) 12 সেমি.
(c) 7 সেমি.
(d) 14 সেমি.
উত্তর: (c) 7 সেমি.
2. সত্য/মিথ্যা (T/F) লেখাে :
(i) একটি ঘনকের প্রতিটি ধারের দৈর্ঘ্য অর্ধেক করা হলে, ঘনকটির আয়তন প্রথম ঘনকের আয়তনের 18 অংশ হবে।
উত্তর: সত্য
(ii) a2=b3=c4 হলে, a:b:c = 4:3:2 হবে।
উত্তর: মিথ্যা
(iii) আসল P টাকা এবং বার্ষিক চক্রবৃদ্ধি সুদের হার r% হলে, দ্বিতীয় বছরের মূলধন Pr100 টাকা।
উত্তর: মিথ্যা
(iv) চিত্রে O কেন্দ্রবিশিষ্ট বৃত্তে AB একটি ব্যাস। বৃত্তের ভেতরে Q একটি বিন্দু। ∠AQB সর্বদা সূক্ষ্মকোণ হবে।
উত্তর: মিথ্যা
(v) Δ ABC-এর BC বাহুর উপর D এমন একটি বিন্দু যে AD ⊥ BC; সুতরাং Δ ABD ∼ Δ CAD
উত্তর: মিথ্যা
(vi) শুভেন্দু ও নৌসদ যথাক্রমে 1500 টাকা এবং 1000 টাকা দিয়ে একটি ব্যবসা শুরু করে। এক বছর পরে ব্যবসায় 75 টাকা ক্ষতি হলে, শুভেন্দুর ক্ষতি হয় 30 টাকা।
উত্তর: মিথ্যা
(vii) পাশের চিত্রে ST | | QR হলে, PQPS = PRPT হবে।
উত্তর: সত্য
(viii) শঙ্কুর তির্যক উচ্চতা শঙ্কুর উচ্চতার দ্বিগুণ হলে, শঙ্কুর ব্যাসার্ধ হবে, উচ্চতা × √3
উত্তর: সত্য
3. সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন (S.A) :
(i) একটি লম্ব বৃত্তাকার চোঙের আয়তন এবং তলের ক্ষেত্রফল সাংখ্যমানে সমান হলে, উহার ব্যাসার্ধ নির্ণয় করাে।
উত্তর: ধরি, লম্ব বৃত্তাকার চোঙের ভূমির ব্যাসার্ধ = r একক এবং উচ্চতা = h একক
∴ লম্ব বৃত্তাকার চোঙের আয়তন = πr²h ঘনএকক
∴ লম্ব বৃত্তাকার চোঙের বক্রতলের ক্ষেত্রফল = 2πrh বর্গএকক
∴ প্রশ্নানুসারে, πr²h = 2πrh
বা, r2 = 2r
বা, r = 2
∴ লম্ব বৃত্তাকার চোঙের ব্যাসার্ধ = 2 একক
(ii) দেখাও যে, মিশ্র দ্বিঘাত করণী (7−√2)-এর অনুবন্ধী করণী হলাে (7+√2)
উত্তর: (7−√2) ও (7+√2) -এর যোগফল ও গুণফল উভয়ই যদি মূলদ সংখ্যা হয় তাহলে (7+√2) কে বলা হবে (7−√2) এর অনুবন্ধী করনী
∴ (7−√2) + (7+√2) = 14, এটি মূলদ সংখ্যা
∴ (7−√2) × (7+√2) = (7)2−(√2)2 = 49 – 2 = 47, এটি মূলদ সংখ্যা
∴ আমরা বলতে পারি, (7−√2) এর অনুবন্ধী করনী (7+√2)
(iii) একটি লম্ব বৃত্তাকার শঙ্কুর উচ্চতা 12 সেমি. এবং আয়তন 100 ∏ ঘন সেমি হলে, শঙ্কুটির ব্যাসার্ধের দৈর্ঘ্য কত তা নির্ণয় করাে।
উত্তর: লম্ব বৃত্তাকার শঙ্কুর উচ্চতা (h) = 12 সেমি.
লম্ব বৃত্তাকার শঙ্কুর আয়তন = 100π ঘন সেমি.
ধরি শঙ্কুর ব্যাসার্ধ = r সেমি.
∴ প্রশ্নানুসারে, 13πr2h=100π
বা, r2h=100×3
r= ⎷100×3124=√1004=102
বা, r = 5
∴ শঙ্কুর ভুমির ব্যাসার্ধ 5 সেমি.
(iv) x ∝ yz এবং y ∝ zx হলে, দেখাও যে, z একটি অশূন্য ধ্রুবক।
উত্তর: x ∝ yz
∴ x = k1yz —(i)
k1 = অশূন্য ভেদ ধ্রুবক
y ∝ zx
∴ y = k2zx —(i)
k2 = অশূন্য ভেদ ধ্রুবক
(i) ও (ii) গুন করে পাই
∴ x.y=k1.yz.k2.zx
xy=k1.k2.xyz2
z2=1k1k2
z=±√1k1k2= ভেদ ধ্রুবক
(v) তিন বন্ধু A, B এবং C একসঙ্গে কিছু মূলধন নিয়ে একটি বাস ক্রয় করেন। তারা ঠিক করেন যে মােট আয়ের 25 অংশ কাজের জন্য 3 : 2 : 2 অনুপাতে ভাগ করে নেবেন। কোনাে একমাসে যদি 29260 টাকা আয় হয় তাহলে কাজের জন্য A-এর আয় B-এর আয় থেকে কত বেশি হবে?
উত্তর: একমাসে তাদের আয়ের পরিমাণ = 29260 টাকা
মোট আয়ের 25 অংশ =585229260×25 = 11704 টাকা
এই টাকা কাজের জন্য 3:2:2 অনুপাতে ভাগ করবেন
∴ A এর আয় = 11704×33+2+2 = 167211704×37 = 5016 টাকা
∴ B এর আয় = 167211704×27 = 3344 টাকা
∴ A এর আয় B এর আয়ের থেকে = (5016-3344) = 1672 টাকা বেশি।
(vi) একটি লম্ব বৃত্তাকার চোঙ এবং লম্ব বৃত্তাকার শঙ্কুর ভূমিতলের ব্যাসার্ধের দৈর্ঘ্যের অনুপাত 3:4 এবং তাদের আয়তনের অনুপাত 9:8; চোঙ ও শঙ্কুর উচ্চতার অনুপাত নির্ণয় করাে।
উত্তর: মনে করি, লম্ব বৃত্তাকার চোঙ এবং লম্ব বৃত্তাকার শঙ্কুর ব্যাসার্ধ যথাক্রমে r1 একক ও r2 একক এবং তাদের উচ্চতা যথাক্রমে h1 একক ও h2 একক
∴ তাদের আয়তন যথাক্রমে πr12h1 ঘন একক এবং 13πr22h2 ঘন একক
প্রশ্নানুসারে, r1 : r2 = 3 : 4
বা, r1r2 = 32
এবং πr12h1 : 13πr22h2 = 9 : 8
বা, 3(r1r2)2(h1h2)=98
বা, 3(34)2(h1h2)=98
বা, h1h2=9×168×9×3=23
∴ নির্ণেয় উচ্চতার অনুপাত = 2 : 3
(vii) যদি y ∝ x3 এবং y-এর বৃদ্ধি 8:27 অনুপাতে হলে x-এর বৃদ্ধি কী অনুপাতে হয় তা নির্ণয় করাে।
উত্তর: প্রদত্ত y ∝ x³
∴ y = kx³ [ k = অশুন্য ভেদ ধ্রুবক ]
∴ y এর বৃদ্ধি 8:27 অনুপাত হয় অর্থাৎ
প্রথমে y = 8k1 এবং পরে y = 27k1 [ k1 ≠ 0 ]
যখন y = 8k1 তখন 8k1 = kx3 বা, x = 2.(k1k)13
আবার y = 27k1 তখন 27k1 = kx3 বা, x = 3.(k1k)13
∴ x -এর বৃদ্ধির অনুপাত = 2.(k1k)133.(k1k)13 = 23 = 2:3
4. (i) যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করাে যে, বৃত্তস্থ চতুর্ভুজের বিপরীত কোণগুলি পরস্পর সম্পূরক।
উত্তর:
প্রদত্তঃ ABCD একটি বৃত্তস্থ চতুর্ভুজ।
প্রামাণ্য বিষয়ঃ ∠ABC+∠ADC = 2 সমকোণ।
এবং ∠BAD+∠BCD = 2 সমকোণ।
অঙ্কনঃ AC ও BD কর্ণ টানলাম।
প্রমাণঃ
∠ADB=∠ACB [একই বৃত্তের ব্যাসার্ধ]
আবার, ∠BAC=∠BDC [একই বৃত্তের ব্যাসার্ধ]
আবার, ∠ADC=∠ACB+∠BAC
∴∠ADC+∠ABC=∠ACB+∠BAC+∠ABC
∴∠ADC+∠ABC =2 সমকোণ [ ত্রিভুজের তিনটি কোণের সমষ্টি 2 সমকোণ ]
∠BAD+BCD = 2 সমকোণ [ প্রমাণিত ]
(ii) যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করাে যে, বৃত্তের বহিঃস্থ কোনাে বিন্দু থেকে যে দুটি স্পর্শক অঙ্কন করা যায় তাদের স্পর্শবিন্দু দুটির সঙ্গে বহিঃস্থ বিন্দুর সংযােজক সরলরেখাংশ দুটির দৈর্ঘ্য সমান এবং তারা কেন্দ্রে সমান কোণ উৎপন্ন করে।
উত্তর:
প্রদত্ত: O কেন্দ্রীয় বৃত্তের বহিঃস্থ বিন্দু P থেকে PA ও PB দুটি স্পর্শক যাদের স্পর্শ বিন্দু যথাক্রমে A ও B, O, A; O, B; O, P যুক্ত করায় PA ও PB সরলরেখাংশ দুটি কেন্দ্রে যথাক্রমে ㄥPOA ও ㄥPOB দুটি কোণ উৎপন্ন করেছে।
প্রমাণ করতে হবে: (i) PA = PB, (ii) ㄥPOA = ㄥPOB
প্রমান: PA ও PB স্পর্শক এবং OA ও OB স্পর্শবিন্দুগামী ব্যাসার্ধ।
∴ OA 丄 PA এবং OB 丄 PB
POA ও POB সমকোণী ত্রিভুজদ্বয়ের মধ্যে ㄥOAP = ㄥOBP (প্রত্যেকে 1 সমকোণ)
অতিভুজ OP সাধারণ বাহু এবং OA = OB (একই বৃত্তের ব্যাসার্ধ)
∴ ΔPAO ≅ ΔPBO [সর্বসমতার R-H-S শর্তানুসারে]
∴PA = PB (সর্বসম ত্রিভুজের অনুরূপ বাহু)
এবং ㄥPOA = ㄥPOB (সর্বসম ত্রিভুজের অনুরূপ কোণ)
[প্রমাণিত ]
5. (i) বার্ষিক 4% সরলসুদে কত বছরে 600 টাকার সুদ 168 টাকা হবে তা নির্ণয় করাে।
উত্তর: আসল (p) = 600 টাকা
বার্ষিক সুদের হার (r) = 4%
সুদ (I) = 168 টাকা ; ধরি, সময় = t বছর
∴ I = prt100
বা, t = I×100pr = 742168×100600×4 = 7 বছর
∴ বার্ষিক 4% সরল সুদে 7 বছরে 600 টাকার সুদ হবে 168 টাকা।
(ii) কত টাকা বার্ষিক 5% চক্রবৃদ্ধিহার সুদে 2 বছর পরে সুদে আসলে 3528 টাকা হবে।
উত্তর: ধরি, আসল (p) = x টাকা
সুদের হার (r) = 4% ; সময় (n) = 2 বছর
এবং সুদ আসল (A) = 3528 টাকা
আমরা জানি, A = p(1+r100)n
বা, 3528 = p(1+5100)2 = p(105100)2
বা, p = 81683528×100×42010010521×10521
বা, p = 3200 টাকা
∴ 3200 টাকার সুদে আসলে 3528 টাকা হবে
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Part 8 (Combined), October 2021
ভৌতবিজ্ঞান (পূর্ণমান ৫০)
দশম শ্রেণী
১. ঠিক উত্তর নির্বাচন করাে :
১.১ যেটি জীবাশ্ম জ্বালানি নয় সেটি হলাে—
(ক) বায়ােগ্যাস
(খ) পেট্রোল
(গ) ডিজেল
(ঘ) কয়লা
উত্তর: (ক) বায়ােগ্যাস
১.২ কোনাে উত্তল লেন্সের ফোকাসের মধ্যে বস্তুকে রাখলে গঠিত প্রতিবিম্ব হবে—
(ক) সদ্ ও অবশীর্ষ
(খ) অসদ্ ও অবশীর্ষ
(গ) সদ্ ও সমশীর্ষ
(ঘ) অসদ ও সমশীর্ষ
উত্তর: (ঘ) অসদ ও সমশীর্ষ
১.৩ যে যৌগটি আয়নীয় নয় তা হলাে—
(ক) KH
(খ) NaCl
(গ) CaCl2
(ঘ) CH4
উত্তর: (ঘ) CH4
১.৪ যেটি মৃদু তড়িৎবিশ্লেষ্য সেটি হলাে—
(ক) সােডিয়াম ক্লোরাইড
(খ) অ্যামােনিয়াম সালফেট
(গ) সালফিউরিক অ্যাসিড
(ঘ) অ্যাসেটিক অ্যাসিড
উত্তর: (ঘ) অ্যাসেটিক অ্যাসিড
১.৫ যে গ্যাসের বাষ্প ঘনত্ব অক্সিজেন সাপেক্ষে 2 তার গ্রাম আণবিক গুরুত্ব হলাে—
(ক) 4 g/mol
(খ) 16 g/mol
(গ) 32 g/mol
(ঘ) 64 g/mol
উত্তর: (ঘ) 64 g/mol
১.৬ গলিত সােডিয়াম ক্লোরাইডের তড়িৎবিশ্লেষণ করার সময়
(ক) ক্যাথােড ধনাত্মক ও এখানে বিজারণ ঘটে।
(খ) ক্যাথােড ঋণাত্মক ও এখানে বিজারণ ঘটে
(গ) অ্যানােড ধনাত্মক ও এখানে বিজারণ ঘটে
(ঘ) অ্যানােড ঋণাত্মক ও এখানে বিজারণ ঘটে
উত্তর: (খ) ক্যাথােড ঋণাত্মক ও এখানে বিজারণ ঘটে
১.৭ 3 ওহম এবং 6 ওহম রােধের সমান্তরাল সমবায়ের তুল্য রােধের মান হলাে—
(ক) 9 ওহম
(খ) 4 ওহম
(গ) 2 ওহম
(ঘ) 1 ওহম
উত্তর: (গ) 2 ওহম
১.৮ যেটি গ্রিনহাউস গ্যাস সেটি হলাে—
(ক) নাইট্রোজেন
(খ) অক্সিজেন
(গ) নাইট্রাস অক্সাইড
(ঘ) হাইড্রোজেন
উত্তর: (গ) নাইট্রাস অক্সাইড
২. শূন্যস্থান পূরণ করা :
২.১ হ্যালােজেন মৌলগুলির মধ্যে যেটির তড়িৎঋণাত্মকতা সর্বাধিক সেটি হলাে ___________ ।
উত্তর: হ্যালােজেন মৌলগুলির মধ্যে যেটির তড়িৎঋণাত্মকতা সর্বাধিক সেটি হলাে _____ফ্লোরিন______ ।
২.২ বায়ুমণ্ডলের যে স্তরটি রেডিওতরঙ্গ প্রতিফলিত করে সেটি হলাে ___________ ।
উত্তর: বায়ুমণ্ডলের যে স্তরটি রেডিওতরঙ্গ প্রতিফলিত করে সেটি হলাে _____আয়নমন্ডল______ ।
২.৩ ফিউজ তারের গলনাঙ্ক এর উপাদানগুলির গলনাঙ্ক অপেক্ষা ___________ হয়।
উত্তর: ফিউজ তারের গলনাঙ্ক এর উপাদানগুলির গলনাঙ্ক অপেক্ষা _____কম______ হয়।
৩. নীচের বাক্যগুলি সত্য অথবা মিথ্যা তা নিরূপণ করাে :
৩.১ তড়িৎবিশ্লেষণের সময় দ্রবণের মধ্যে দিয়ে তড়িৎ পরিবহণ করে ইলেকট্রন।
উত্তর: মিথ্যা
৩.২ উচ্চ উয়তা ও নিম্ন চাপে বাস্তব গ্যাসগুলি প্রায় আদর্শ গ্যাসের মতাে আচরণ করে।
উত্তর: সত্য
৩.৩ দুটি মাধ্যমের আপেক্ষিক প্রতিসরাঙ্ক আলাের বর্ণের উপর নির্ভর করে।
উত্তর: সত্য
৪. একটি শব্দে অথবা একটি বাক্যে উত্তর দাও :
৪.১ গ্যাস ধ্রুবকের (R) SI এককটি উল্লেখ করাে।
উত্তর: উত্তর: গ্যাস ধ্রুবকের (R) SI একক হলো জুল মোল-1 কেল্ভিন-1 (J mol-1 K-1)
৪.২ পর্যায় সারণিতে প্রত্যেক পর্যায়ের কোন মৌলটির পারমাণবিক ব্যাসার্ধের মান সর্বাধিক হয় ?
উত্তর: প্রত্যেক পর্যায়ের প্রথম মৌলটির পারমাণবিক ব্যাসার্ধ সর্বাধিক হয়।(ব্যতিক্রম: নিষ্ক্রিয় গ্যাস মৌল)
৪.৩ এমন একটি আয়নীয় যৌগের সংকেত লেখা যার ক্যাটায়ন ও অ্যানায়ন দুটিরই ইলেকট্রন বিন্যাস হিলিয়াম পরমাণুর মতাে।
উত্তর: LiH ( লিথিয়াম হাইড্রাইড)
LiH এর ক্যাটায়ন = Li+, যার ইলেক্ট্রন বিন্যাস হিলিয়ামের মতাে অর্থাৎ 2
LiH এর অ্যানায়ন = H–, যার ইলেক্ট্রন বিন্যাস হিলিয়ামের মতাে অর্থাৎ2
৪.৪ কিলােওয়াট (kW) ও কিলােওয়াট-ঘণ্টার (kWh) মধ্যে কোনটি ক্ষমতার একক?
উত্তর: কিলােওয়াট (kW) হল ক্ষমতার একক।
৪.৫ DC অপেক্ষা AC-র একটি ব্যবহারিক সুবিধা লেখাে।
উত্তর: DC অপেক্ষা AC সরবরাহ ও বণ্টনে শক্তিক্ষয় কম হয়।
৪.৬ কোনাে বস্তুতে সােনার প্রলেপ দিতে কী তড়িৎবিশ্লেষ্য ব্যবহৃত হয়?
উত্তর: সামান্য পরিমানে পটাশিয়াম হাইড্রোজেন ফসফেট (K2HPO4) এবং পটাশিয়াম কার্বোনেট (CaCO3) মিশ্রিত পটাশিয়াম অরোসায়ানাইড K[Au(CN)2]
৫. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৫.১ পিছনের গাড়ি দেখতে স্কুটার অথবা বাসে যে আয়না থাকে তা সমতল না করে উত্তল রাখা হয় কেন?
উত্তর: পিছনের গাড়ি দেখতে স্কুটার অথবা বাসে ভিউ ফাইন্ডার হিসেবে উত্তল দর্পন ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যাকে আমরা Rear View Mirror বলে থাকি। সাধারণত উত্তল দর্পণ দ্বারা সর্বদা কোনাে বস্তুর অসদ, সমশীর্ষ এবং ছােটো প্রতিবিম্ব গঠিত হয় | এই প্রতিবিম্ব দর্পণের মেরু এবং ফোকাসের মধ্যে গঠিত হয়। তাই সমান আকারের সমতল দর্পণের তুলনায় উত্তল দর্পণে অনেক বেশি বস্তুর প্রতিবিম্ব দেখা সম্ভব হয়। ফলে দর্পণের দৃষ্টিক্ষেত্র অনেক বেশি হয়। তাই চালকের পক্ষে তার পাশের আয়নায় বেশি সংখ্যক যানবাহন দেখা সম্ভব হয়। এই কারণেই পিছনের গাড়ি দেখতে স্কুটার অথবা বাসে যে আয়না থাকে তা সমতল না করে উত্তল রাখা হয় |
৫.২ কোনাে মৌলের আয়নীভবন শক্তি বলতে কী বােঝায়?
উত্তর: ভুমিস্তরে বা সর্বনিম্ন শক্তিস্তরে স্থিত কোনাে মৌলের একটি বিচ্ছিন্ন, গ্যাসীয় পরমাণু থেকে তার যােজ্যতা কক্ষের সবচেয়ে দুর্বলভাবে আবদ্ধ ইলেকট্রনটিকে সম্পূর্ণরূপে অপসারিত করে পরমাণুটিকে গতিশক্তিহীন এক একক ধনাত্মক আধান বিশিষ্ট আয়নে পরিণত করার জন্য প্রয়ােজনীয় ন্যূনতম শক্তিকে ওই মৌলের আয়নীভবন শক্তি বলে |
৫.৩ ক্যালশিয়াম কার্বনেটের মধ্যে ভর হিসাবে ক্যালশিয়ামের শতকরা পরিমাণ নির্ণয় করাে (Ca = 40)।
উত্তর: ক্যালশিয়াম কার্বনেটের সংকেত হলাে : CaCO3
CaCO3 এর আণবিক ভর = 40 + 12 + (16 × 3) gm = 100 gm
∴ 100 gm ক্যালশিয়াম কার্বনেটে, ক্যালশিয়াম থাকে 40 gm.
∴ ক্যালশিয়াম কার্বনেটের মধ্যে ভর হিসাবে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ 40%
৫.৪ সােডিয়াম ক্লোরাইডের ক্ষেত্রে ‘আণবিক ওজন’ কথাটি কেন প্রযােজ্য নয় তা ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর: Nacl তড়িৎযোগী যৌগ যা কঠিন অবস্থায় ও অনু হিসাবে থাকে না, Na+ এবং cl আয়নে বিয়োজিত অবস্থায় থাকে। যেহেতু, Nacl কঠিন অবস্থাতেও অনু হিসাবে থাকে না, তাই Nacl এর আনবিক ওজন কথাটি প্রযোজ্য নয়।
৫.৫ 50 g ক্যালশিয়াম কার্বনেটের পূর্ণ বিয়ােজনে কত গ্রাম কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস পাওয়া যাবে নির্ণয় করাে (Ca = 40, C = 12, O = 16)।
উত্তর:
CaCO3 → CaO + CO2
= 40+12+16×3 → 12+16×2
= 100 → 44
100 g CaCO3 এর বিয়োজনে 44 g CO2 পাওয়া যায়
1 g CaCO3 এর বিয়োজনে 44100 g CO2 পাওয়া যায়
50 g CaCO3 এর বিয়োজনে 2244×501002 g CO2 পাওয়া যায়
∴ 22 g CO2 পাওয়া যাবে।
৫.৬ শুদ্ধ বায়ু অপেক্ষা আর্দ্র বায়ু হাল্কা কেন তা ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর: কোন স্থির উষ্ণতায় বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে বাতাসের ঘনত্ব হ্রাস পায়। তাই স্থির উষ্ণতায় বাতাসে যত পরিমাণে জলীয়বাষ্প অন্যান্য গ্যাসগুলিকে প্রতিস্থাপন করতে থাকে, বাতাসের ঘনত্ব তত কমতে থাকে। তাই বলা যায়, একই উষ্ণতায় শুষ্ক বায়ুর চেয়ে আর্দ্র বায়ু হালকা হয়ে থাকে ৷
৫.৭ সূর্যাস্তের সময় সূর্যকে লাল দেখায় কেন?
উত্তর: সূর্যাস্তের সময় সূর্যকে লাল দেখার কারণ : আলাের বিক্ষেপণের জন্য সূর্যাস্তের সময় সূর্যকে লাল দেখায়। লাল বর্ণের আলােকরশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য অন্যান্য বর্ণের রশ্মির চেয়ে বেশি। তাই লাল বর্ণের আলােকরশ্মির বিক্ষেপ অন্যান্য বর্ণের চেয়ে কম হয়। সূর্য অস্তের সময় সূর্য দিগন্তে থাকে বলে সূর্যরশ্মিকে অনেক বেশি পথ অতিক্রম করতে হয়। এর ফলে লাল বর্ণের আলােক রশ্মি ছাড়া অন্যান্য বর্ণের রশ্মিগুলি বেশি বিক্ষিপ্ত হয়। ফলে ওই রশ্মিগুলি আমাদের চোখে এসে পড়ে না। লাল বর্ণের আলােকরশ্মি কম বিক্ষিপ্ত হয় বলে আমাদের চোখে এসে পড়ে। তাই সূর্যাস্তের সময় সূর্যকে লাল দেখায়।
৫.৮ ফ্লেমিংয়ের বাম হস্ত নিয়মটি লেখাে।
উত্তর: ফ্লেমিং-এর বামহস্ত নিয়ম : বামহস্তের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ, মধ্যমা ও তর্জনী পরস্পরের সঙ্গে সমকোণে রেখে প্রসারিত করলে, যদি তর্জনী চৌম্বকক্ষেত্রের অভিমুখ এবং মধ্যমা তড়িৎক্ষেত্রের অভিমুখ নির্দেশ করে তবে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ পরিবাহীর গতির অভিমুখ নির্দেশ করবে।
৫.৯ লেঞ্জের সূত্রটি লেখাে।
উত্তর: লেঞ্জের সুত্রঃ যে কোন তড়িৎ চুম্বক আবেশের বেলায় আবিষ্ট তড়িৎচ্চালক শক্তি বা প্রবাহের দিক এমন হয় যে, তা সৃষ্টি হওয়া মাত্রই যে কারনে সৃষ্টি হয় সেই কারণকেই বাধা দেয়।
৬. নীচের প্রশ্নটির উত্তর দাও :
৬.১ 760 mm Hg চাপে ও 273 K উষ্ণতায় কোনাে একটি গ্যাসের 1.6 g -এর আয়তন 1.12 L । গ্যাসটির মােলার ভর ও হাইড্রোজেন সাপেক্ষে বাষ্প ঘনত্ব নির্ণয় করাে।
উত্তর: 760 mm Hg চাপে ও 273 K উষ্ণতাকে STP বলা হয়ে থাকে।
প্রশ্নানুসারে STP তে,
1.12 L আয়তনের গ্যাসের ভর = 1.6 gm
1 L আয়তনের গ্যাসের ভর = 1.61.12 gm
22.4 L আয়তনের গ্যাসের ভর = 1.61.12 × 22.4 gm = 32 gm
∴ গ্যাসটির মােলার ভর = 32 gm ও হাইড্রোজেন সাপেক্ষে গ্যাসটির বাষ্প ঘনত্ব = 322 = 16
৬.২ একটি তড়িৎকোশের তড়িচ্চালক বল 10 V ও অভ্যন্তরীণ রােধ 2 ওহম। তড়িৎকোশটিকে ৪ ওহম রােধকের সঙ্গে যুক্ত করা হল। রােধকটিতে 60 সেকেন্ডে কত জুল তাপ উৎপন্ন হবে তা নির্ণয় করাে।
উত্তর: তড়িৎকোষটির তড়িচ্চালক বল (E) = 10 V;
অভ্যন্তরীণ রোধ r = 2 ওহম;
বাহ্যিক রোধ (R) = 8 ওহম;
∴ বর্তনীর মূল তড়িৎ প্রবাহমাত্রা, I=ER+r
I=108+2 = 1010 = 1 অ্যাম্পিয়ার
এখন, 60 সেকেন্ডে রোধকটিতে উৎপন্ন তাপের পরিমাণ H = I2Rt
= (1)2×8×60 = 480 জুল
৬.৩ দুটি ধাতব তারের দৈর্ঘ্যের অনুপাত 2:1, ব্যাসার্ধের অনুপাত 1:2 এবং রােধাঙ্কের অনুপাত 3:4 হলে তার দুটির রােধের অনুপাত কত হবে তা নির্ণয় করাে।
উত্তর: ধরি, প্রথম এবং দ্বিতীয় তারের দৈর্ঘ্য, ব্যাসার্ধ ও রােধাঙ্ক যথাক্রমে l1, r1 ও p1 এবং l2, r2 ও p2
প্রশ্নানুসারে, l1l2 = 21 ;
r1r2 = 12 এবং
p1p2 = 34
∴ প্রথম ও দ্বিতীয় তারের প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল যথাক্রমে πr12 এবং πr22
∴ প্রথম তারের রােধ, R1 = p1l1πr21
দ্বিতীয় তারের রােধ, R2 = p2l2πr22
∴ তার দুটির রােধের অনুপাত R1R2 = p1l1πr21p2l2πr22
R1R2=p1p2×l1l2×(r2r1)2
=34=21=(21)2
=34=21=41
=61
∴ R1R2=61
∴ তার দুটির রােধের অনুপাত = 6:1
৬.৪ চিহ্নিত রেখাচিত্রের সাহায্যে কীভাবে উত্তল লেন্সের মাধ্যমে কোনাে বস্তুর অবশীর্ষ, খর্বকায়, সদবিম্ব গঠিত হয় তা দেখাও।
উত্তর:
উত্তল লেন্স দ্বারা অৰশীর্ষ, খর্বকায় সদবিম্ব গঠন: উত্তল লেন্স দ্বারা কোনাে বস্তুর অবশীর্ষ, খর্বকায় (বস্তুর চেয়ে ছােটো) সদবিম্ব পেতে গেলে বস্তুকে ফোকাস দূরত্বের দ্বিগুণ বা 2f অপেক্ষা বেশি দূরত্বে রাখতে হবে। উপরের চিত্রে L1OL2 হল ক্ষুদ্র উন্মেষযুক্ত একটি পাতলা উত্তল লেন্স। লেন্সের প্রধান অক্ষের ওপর লম্বভাবে 2f অপেক্ষা বেশি দূরত্বে অবস্থিত O1O2 একটি বিস্তৃত বস্তু। এখানে OF1 = 2f । O2 থেকে আগত প্রধান অক্ষের সমান্তরাল O2A রশ্মি লেন্স দ্বারা প্রতিসরণের পর মুখ্য ফোকাস (দ্বিতীয়) F2 দিয়ে যায়। অপর একটি রশ্মি O2O, লেন্সের আলোেককেন্দ্রের মধ্য দিয়ে গিয়ে কোনাে চ্যুতি ছাড়াই সােজা চলে যায়। প্রতিসৃত রশ্মি দুটি পরস্পরকে I2 বিন্দুতে ছেদ করে। I2 থেকে প্রধান অক্ষের ওপর I1I2 লম্ব টানা হল। I1I2 হল O1O2 বস্তুর সদবিম্ব। এখানে F2’ এমন একটি বিন্দু যেখানে OF2’ = 2f। দ্যাখাে সদবিম্ব, F2 ও F2 এর মধ্যে গঠিত হয়েছে। এখানে প্রতিবিম্বের সাইজ, বস্তুর তুলনায় ছােটো তাই প্রতিবিম্ব খর্বকায় এবং প্রতিবিম্বটি বস্তু সাপেক্ষে উলটো তাই প্রতিবিম্বটি অবশীর্ষ। উত্তল লেন্সের এই ধর্মকে কাজে লাগিয়ে ক্যামেরা তৈরি করা হয়।
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Part 8 (Combined), October 2021
জীবন বিজ্ঞান (পূর্ণমান ৫০)
দশম শ্রেণী
Class 10 Life Science Model Activity Task Part 8 Solution :
১. প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে তার ক্রমিক সংখ্যাসহ বাক্যটি সম্পূর্ণ করে লেখাে :
১.১ উদ্ভিদের পর্বৰ্মধ্যের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি ঘটায় যে হরমােন সেটি নির্বাচন করাে —
(ক) অক্সিন
(খ) জিব্বেরেলিন
(গ) সাইটোকাইনিন
(T) NAA
উত্তর: (খ) জিব্বেরেলিন
১.২ নীচের বক্তব্যগুলি থেকে মায়ােপিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যাটি চিহ্নিত করাে —
(ক) চোখের লেন্সের স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়ে যাওয়া
(খ) বস্তুর প্রতিবিম্ব রেটিনার সামনে গঠিত হওয়া
(গ) চোখের লেন্সের স্বচ্ছতা নষ্ট হয়ে যাওয়া
(ঘ) বস্তুর প্রতিবিম্ব রেটিনার পেছনে গঠিত হওয়া
উত্তর: (খ) বস্তুর প্রতিবিম্ব রেটিনার সামনে গঠিত হওয়া
১.৩ নীচের যে জোড়টি সঠিক তা স্থির করাে –
(ক) STH – থাইরয়েড গ্রন্থির বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করা
(খ) ACTH – স্ত্রীদেহে ডিম্বাশয়ে গ্রাফিয়ান ফলিকলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করা
(গ) FSH – রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা
(ঘ) ADH – বৃক্কীয় নালিকায় জলের পুনঃশােষণ ঘটানাে
উত্তর: (ঘ) ADH – বৃক্কীয় নালিকায় জলের পুনঃশােষণ ঘটানাে
১.৪ মানবদেহে করােটি স্নায়ুর সংখ্যা নিরূপণ করাে —
(ক) ১০ জোড়া
(খ) ১২ জোড়া
(গ) ২১ জোড়া
(ঘ) ৩১ জোড়া
উত্তর: (খ) ১২ জোড়া
১.৫ পাতার মাধ্যমে প্রাকৃতিক অঙ্গজ বংশবিস্তার করে যে উদ্ভিদ সেটি নির্বাচন করাে—
(ক) মিষ্টি আলু
(খ) কচুরিপানা
(গ) আদা
(ঘ) পাথরকুচি
উত্তর: (ঘ) পাথরকুচি
১.৬ সংকরায়ণ পরীক্ষার জন্য মেন্ডেলের মটরগাছ বেছে নেওয়ার সঠিক কারণটি স্থির করাে —
(ক) মটর গাছের বংশবিস্তারে অনেক সময় লাগে
(খ) মটর গাছে বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্যের উপস্থিতি খুবই কম
(গ) মটর ফুল স্বপরাগী হওয়ার বাইরে থেকে অন্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা কম
(ঘ) মটর গাছের ফুলগুলিতে কৃত্রিমভাবে ইতর পরাগযােগ ঘটানাে সম্ভব নয়
উত্তর: (গ) মটর ফুল স্বপরাগী হওয়ার বাইরে থেকে অন্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা কম
১.৭ নীচের যে জোড়টি সঠিক নয় তা নির্বাচন করাে
(ক) ঈস্ট – কোরকোম
(খ) মস – রেণু উৎপাদন
(গ) প্লাসমােডিয়াম – পুনরুৎপাদন
(ঘ) অ্যামিবা – দ্বিবিভাজন
উত্তর: (গ) প্লাসমােডিয়াম – পুনরুৎপাদন
১.৮ নীচের যে দুটি জিনােটাইপ গিনিপিগের কালাে ও মসৃণ ফিনােটাইপের জন্য দায়ী তা চিহ্নিত করাে —
(ক) BBRR ও BbRr
(খ) BBrr ও Bbrr
(গ) BBRr ও BbRR
(ঘ) bbRr ও bbrr
উত্তর: (খ) BBrr ও Bbr
১.৯ স্বাভাবিক পিতা এবং বর্ণান্ধতার বাহক মাতার বর্ণান্ধ কন্যাসন্তান জন্মানাের সম্ভাবনা নিরূপণ করাে—
(ক) 0%
(খ) 25%
(গ) 50%
(ঘ) 100%
উত্তর: (ক) 0%
২. নীচের বাক্যগুলাের শূন্যস্থানগুলােতে উপযুক্ত শব্দ বসাও :
২.১ ডাবের জলে __________ হরমােন থাকে।
উত্তর: ডাবের জলে সাইটোকাইনিন হরমােন থাকে।
২.২ পায়রার একটি ডানায় __________ টি রেমিজেস নামক পালক থাকে।
উত্তর: পায়রার একটি ডানায় ২৩ টি রেমিজেস নামক পালক থাকে।
২.৩ RNA-তে থাইমিনের পরিবর্তে __________ থাকে।
উত্তর: RNA-তে থাইমিনের পরিবর্তে ইউরাসিল থাকে।
৩. নীচের বাক্যগুলাে সত্য অথবা মিথ্যা নিরূপণ করাে :
৩.১ অযৌন জননে দুটি জনিতৃ জীবের প্রয়ােজন হয়।
উত্তর: মিথ্যা
৩.২ সপুষ্পক উদ্ভিদে নিষেকের পর ডিম্বকটি ফলে পরিণত হয়।
উত্তর: মিথ্যা
৩.৩ কোনাে জীবের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের বাহ্যিক প্রকাশকে ফিনােটাইপ বলে।
উত্তর: সত্য
৪. A-স্তম্ভে দেওয়া শব্দের সঙ্গে B-স্তম্ভে দেওয়া সর্বাপেক্ষা উপযুক্ত শব্দটির সমতা বিধান করে উভয় স্তম্ভের ক্রমিক নং উল্লেখসহ সঠিক জোড়টি পুনরায় লেখাে :
A-স্তম্ভ | B-স্তম্ভ |
৪.১ অন্ধবিন্দু | (a) মাইটোসিস |
৪.২ ক্রসিং ওভার | (b) স্টক এবং সিয়ন |
৪.৩ গ্রাফটিং | (c) রেটিনা ও অপটিক স্নায়ুর সংযােগস্থল |
(d) মিয়ােসিস |
উত্তর:
A-স্তম্ভ | B-স্তম্ভ |
৪.১ অন্ধবিন্দু | (c) রেটিনা ও অপটিক স্নায়ুর সংযােগস্থল |
৪.২ ক্রসিং ওভার | (d) মিয়ােসিস |
৪.৩ গ্রাফটিং | (b) স্টক এবং সিয়ন |
৫. একটি শব্দে বা একটি বাক্যে উত্তর দাও :
৫.১ মানব বিকাশের বয়ঃসন্ধি দশার একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করাে।
উত্তর: বয়ঃসন্ধি একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি শিশুর শরীর একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে রূপান্তরিত হয় এবং প্রজননের সক্ষমতা লাভ করে ।
৫.২ বিসদৃশটি বেছে লেখাে : মটরের সবুজ রঙের বীজ, মটরের সবুজ রঙের ফল, গিনিপিগের সাদা রঙের ললাম, গিনিপিগের মসৃণ লােম।
উত্তর: উ : গিনিপিগের মসৃণ লোম l
৫.৩ নীচে সম্পর্কযুক্ত একটি শব্দ জোড় দেওয়া আছে। প্রথম জোড়টির সম্পর্ক বুঝে দ্বিতীয় জোড়টির শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ বসাও :
মাইটোসিস : ভূণমূল ::________ : রেণু মাতৃকোশ
উত্তর: মাইটোসিস : ভূণমূল :: মিয়োসিস : রেণু মাতৃকোশ
৬. দুই-তিন বাক্যে উত্তর দাও :
৬.১ নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে অন্তঃক্ষরা ও বহিঃক্ষরা গ্রন্থির পার্থক্য নিরূপণ করাে —
• নালির উপস্থিতি ও অনুপস্থিতি
• ক্ষরিত পদার্থ।
উত্তর:
বৈশিষ্ট্য | অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি | বহিঃক্ষরা গ্রন্থি |
নালির উপস্থিতি ও অনুপস্থিতি | নালিবিহীন অর্থাৎ অনাল প্রকৃতির গ্রন্থি | নালিযুক্ত অর্থাৎ সনাল প্রকৃতির গ্রন্থি |
ক্ষরিত পদার্থ | অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে প্রধানত হরমোন ক্ষরিত হয় | বহিঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে উৎসেচক , লালারস , ঘাম প্রভৃতি ক্ষরিত হয় |
৬.২ মাইটোসিসের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী দশায় নিউক্লিয়াসের কী কী পরিবর্তন ঘটে তা বর্ণনা করাে।
উত্তর: মাইটোসিসের দীর্ঘস্থায়ী দশায় নিউক্লিয়াসের পরিবর্তন :
মাইটোসিসের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী দশা হলো প্রোফেজ দশা | এই প্রোফেজ দশায় নিউক্লিয়াসের যে পরিবর্তন ঘটে তা নীচে বর্ণনা করা হলো :
নিউক্লিয়াস থেকে জলের বিয়োজন ঘটে | ফলে ক্রোমাটিন জালিকার ক্রোমাটিন তন্তুগুলি ক্রমশ সুস্পষ্ট হয় | ক্রোমাটিন জালিকা ঘনীভূত ও কুন্ডলীকৃত হয়ে সুত্রাকার ক্রোমোজোম গঠনকরে | প্রত্যেকটি ক্রোমোজোম লম্বালম্বি ভাগ হয়ে দুটি ক্রোমাটিড গঠন করে | নিউক্লীয় পর্দা ও নিউক্লিওলাস প্রথমে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খন্ডে ভেঙে যায় ও প্রোফেজ দশার শেষে অবলুপ্ত হয় |
৬.৩ ট্রপিক চলন ও ন্যাস্টিক চলন-এর দুটি পার্থক্য উল্লেখ করাে।
উত্তর:
পার্থক্যের বিষয় | ট্রপিক চলন | ন্যাস্টিক চলন |
উদ্দীপকের ভূমিকা | উদ্দীপকের উৎসের দিকের উপর নির্ভর | | উদ্দীপকের তীব্রতার উপর নির্ভরশীল | |
চলন | এই চলন স্থায়ী | | এই চলন অস্থায়ী | |
অক্সিন হরমোনের প্রভাব | এটি অক্সিন হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত | | এটি অক্সিন হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয় | |
স্থান পরিবর্তন | এই প্রকার চলনে উদ্ভিদের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন ঘটে l | এই প্রকার চলনে উদ্ভিদের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন ঘটে না | |
৬.৪ স্বপরাগযােগের একটি সুবিধা ও একটি অসুবিধা উল্লেখ করাে।
উত্তর:
সুবিধা – স্বপরাগযােগ পদ্ধতিতে পরাগযােগের জন্য অন্য প্রজাতির উদ্ভিদ বা ফুলের প্রয়ােজন হয় না।
অসুবিধা – স্বপরাগযােগ পদ্ধতিতে উৎপন্ন অপত্য উদ্ভিদ গুলি দুর্বল প্রকৃতির হয়।
৬.৫ “একসংকর জননে F2 জনুর ফিনােটাইপিক অনুপাত সবসময় 3:1 নাও হতে পারে” – উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর: মেন্ডেল জনিতৃ জনুতে বা P জনুতে বিশুদ্ধ লম্বা মটর গাছের সঙ্গে বিশুদ্ধ খর্বকায় বা বেঁটে মটর গাছের ইতর পরাগযােগ ঘটান। যদি বিশুদ্ধ লম্বা মটর গাছের অ্যালিল TT এবং বিশুদ্ধ বেঁটে মটর গাছের অ্যালিল tt হয়, প্রথম অপত্য জনু F প্রথম অপত্য জনুতে উৎপন্ন সংকর লম্বা গাছ গুলির মধ্যে স্ব পরাগ যােগ ঘটালে দ্বিতীয় অপত্য জনু বা F তে 3:1 অনুপাতে লম্বা ও বেঁটে মটর গাছ অর্থাৎ 75% লম্বা ও 25% বেঁটে মটর গাছ উৎপন্ন হয়। দেখা যাচ্ছে, দ্বিতীয় অপত্য জনুতে উৎপন্ন মটর গাছগুলির ফিনােটাইপিক অনুপাত 3:1 (3টি লম্বা ও 1টি বেঁটে) হলেও জিনােটাইপিক অনুপাত (যা জিন বিশ্লেষণে প্রাপ্ত) 1:2:1 অর্থাৎ 25% বিশুদ্ধ লম্বা(TT), 50% সংকর লম্বা (Tt) ও 25% বিশুদ্ধ বেঁটে (tt) মটর গাছ।
৬.৬ নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে অযৌন ও যৌন জননের পার্থক্য নিরূপণ করাে —
- গ্যামেট উৎপাদন •
- মাইটোসিস বা মিয়ােসিসের ওপর নির্ভরতা
উত্তর:
বিষয় | অযৌন জনন | যৌন জনন |
গ্যামেট উৎপাদন | অযৌন জননে গ্যামেট উৎপাদন হয় না । | যৌন জননে পুংগ্যামেট ও স্ত্রী গ্যামেট সৃষ্টি হয়। |
মাইটোসিস বা মিয়ােসিসের ওপর নির্ভরতা | এই প্রকার জননে কেবল মাইটোসিস কোশ বিভাজন ঘটে। | এই প্রকার জননে গ্যামেট উৎপাদনকালে মিয়ােসিস এবং জাইগােট থেকে অপত্য জীব উৎপাদনকালে মাইটোসিস কোশ বিভাজন ঘটে। |
৬.৭ মাইক্রোপ্রােপাগেশন পদ্ধতিতে কীভাবে প্লান্টলেট সৃষ্টি করা হয় তা একটি রেখাচিত্রের সাহায্যে দেখাও।
উত্তর: মাইক্রোপ্রােপাগেশন পদ্ধতিতে কিভাবে প্লান্টলেট সৃষ্টি করা হয় তার একটি রেখাচিত্র নিচে দেওয়া হল–
উপযুক্ত উদ্ভিদ অঙ্গ, মুকুল বা কোস নির্বাচন
↓
কৃষ্টির মাধ্যমে তার পালন বা কালচার এবং কেলাস গঠন
↓
ক্যালাসের বৃদ্ধি ঘটিয়ে এমব্রয়েড গঠন
↓
এমব্রয়েড থেকে অসংখ্য প্লান্ট লেট সৃষ্টি
৭. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখাে :
৭.১ প্রাণীকোশের মাইটোসিস কোশ বিভাজনের মেটাফেজ দশার পরিচ্ছন্ন চিত্র অঙ্কন করে নিম্নলিখিত অংশগুলাে চিহ্নিত করাে :
(ক) ক্রোমাটিড (খ) মেরু অঞ্চল (গ) সেন্ট্রোমিয়ার (ঘ) মেতন্তু
উত্তর:
(কেবল দৃষ্টিহীন পরীক্ষার্থীদের জন্য)
প্রাণীকোশের মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মেটাফেজ দশার তিনটি এবং টেলােফেজ দশার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখাে।
উত্তর:
মেটাফেজ দশার বৈশিষ্ট্য:
১) মেটাফেজ দশায় নিউক্লিয় পর্দা ও নিউক্লিওলাস বিলুপ্ত হয়।
২) উদ্ভিদ কোষের ক্ষেত্রে মাইক্রোটিউবিউল গুলি একত্রিত হয়ে বেতন্তু গঠিত হয় এবং প্রাণী কোষের ক্ষেত্রে সেন্ট্রিওলের অ্যাস্ট্রাল রশ্মি দ্বারা বেমতন্তু গঠিত হয়।
৩) এই দশার শেষের দিকে ক্রোমােজোমের সেন্ট্রোমিয়ার অনুদৈর্ঘ্য ভাবে দ্বিখণ্ডিত হতে শুরু হয়।
টেলােফেজ দশার বৈশিষ্ট্য:
১) টেলােফেজ দশা আর শুরুতে বেমের উভয় প্রান্তে সমান সংখ্যক ক্রোমােজোম থাকে এবং ক্রোমােজোম গুলি খুলে দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায়
২) নিউক্লিয়াসের মধ্যে নিউক্লিওলাসের পুনরাবির্ভাব ঘটে
৭.২ একটি কোশচক্রের বিভিন্ন বিন্দুতে স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণ নষ্ট হলে কী ঘটতে পারে? জীবের বৃদ্ধি, প্রজনন ও ক্ষয়পূরণ কীভাবে কোশ বিভাজন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তা বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর:
একটি কোষ চক্রের বিভিন্ন বিন্দুতে স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণ নষ্ট হলে যা ঘটতে পারে তা হল –
(i) অনিয়ন্ত্রিত কোশ বিভাজন দেখা যাবে যার ফলে টিউমার সৃষ্টি হতে পারে।
(ii) এইভাবে সৃষ্ট টিউমারগুলি বিনাইন অথবা ম্যালিগন্যান্ট প্রকৃতির হতে পারে।
(iii) ম্যালিগন্যান্ট টিউমার শরীরে ক্যানসার রােগ সৃষ্টি করে।
কোশ বিভাজন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত :
জীবের বৃদ্ধিঃ কোষ বিভাজনের ফলে কোষের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় । উৎপন্ন কোষগুলি আবার আকারে বৃদ্ধি পায় অর্থাৎ জীব দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি কোষ বিভাজন এর উপরেই নির্ভর করে।
প্রজনন : মাইটোসিস, অ্যামাইটোসিস ও মিয়ােসিস কোষ বিভাজন বিভিন্ন প্রকার জননে সহায়তা করে। যেমন -মিয়ােসিস কোষ বিভাজনের মাধ্যমে গ্যামেট এবং রেনু উৎপন্ন হয় যা, যথাক্রমে যৌন ও অযৌন জননের এর একক । মাইটোসিস, অযৌন জনন ও অংগজ জননের মাধ্যমে জীবের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অ্যামিবা অ্যামাইটোসিস পদ্ধতিতে প্রজনন সম্পন্ন করে।
ক্ষয়পূরণ : জীবের ক্ষতস্থান নিরাম্য, অংগের পুনরুতপত্তি মূলত মাইটোসিস কোশ বিভাজনের ফলেই ঘটে থাকে।
৭.৩ একটি বিশুদ্ধ হলুদ ও গােল বীজযুক্ত মটর গাছের (YYRR) সঙ্গে একটি বিশুদ্ধ সবুজ ও কুঞ্চিত বীজযুক্ত মটর গাছের (yyrr) সংকরায়ণের ফলাফল F2 জনু পর্যন্ত চেকার বাের্ডের সাহায্যে দেখাও। এই সংকরায়ান থেকে বংশগতির যে সূত্রটি পাওয়া যায় তা বিবৃত করাে।
উত্তর:
প্রকট বৈশিষ্ট্য : হলুদ ও গােল বীজ (YYRR)
প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্য : সবুজ ও কুঞ্চিত বীজ (yyrr)
i) প্রথম অপত্য জনু বা F, অনু:মেন্ডেল হলুদ বীজপত্র এবং গােলাকার বা মসৃণ বীজযুক্ত বিশুদ্ধ মােটর গাছের সঙ্গে সবুজ বীজপত্র ও কুঞ্চিত বীজযুক্ত একটি বিশুদ্ধ মটরগাছের ইতর পরাগযােগ ঘটান | এর ফলস্বরূপ F, প্রজন্মে যে মটর গাছগুলি 1 উৎপন্ন হয় সেগুলি হলুদ বীজপত্র এবং গােলাকার বীজবিশিষ্ট হয় ।
ii) প্রথম অপত্য জনু বা F2 জনু : এরপর মেন্ডেল F, প্রজন্মে প্রাপ্ত উদ্ভিদগুলির মধ্যে স্বপরাগযােগ ঘটান | এর ফলে F2 প্রজন্মেচার প্রকার ফিনােটাইপ বিশিষ্ট সৃষ্টি হয় | কিন্তু, উৎপন্ন উদ্ভিদগুলির জিনােটাইপ বিভিন্ন প্রকারের |
চেকার বাের্ডের সাহায্যে ফলাফল বিশ্লেষণ :
এই সংকরায়ণ থেকে বংশগতির যে সূত্রটি পাওয়া যায় তা হলাে স্বাধীন সঞ্চারণ সুত্র।
স্বাধীন সঞ্চারণ সুত্র :কোন জীবের দুই বা ততােধিক যুগ্ম বিপরীতধর্মী বৈশিষ্ট্যগুলি জনিতৃ জনু থেকে অপত্য জনুতে সঞ্চারিত হওয়ার সময় একত্রিত হলেও শুধুমাত্র গ্যামেট গঠনকালে এরা পরস্পর থেকে পৃথক হয় তাই নয়, উপরন্তু প্রত্যেকটি বৈশিষ্ট্য স্বাধীনভাবে যে কোনাে বিপরীত বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সম্ভাব্য সকল প্রকার সমন্বয়ে সঞ্চারিত হয়।
মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক Part 8 (Combined), October 2021
ইতিহাস (পূর্ণমান ৫০)
দশম শ্রেণী
Class 10 History Model Activity Task Part 8 Solution :
১. ‘ক’ স্তম্ভের সাথে ‘খ’ স্তম্ভ মেলাও :
ক-স্তম্ভ | খ-স্তম্ভ |
১.১ ভাইসরয় | (ক) রাধাকান্ত দেব |
১.২ চৈত্র মেলা | (খ) তারকনাথ পালিত |
১.৩ জমিদার সভা | (গ) লর্ড ক্যানিং |
১.৪ বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট | (ঘ) নবগােপাল মিত্র |
উত্তর:
ক-স্তম্ভ | খ-স্তম্ভ |
১.১ ভাইসরয় | (গ) লর্ড ক্যানিং |
১.২ চৈত্র মেলা | (ঘ) নবগােপাল মিত্র |
১.৩ জমিদার সভা | (ক) রাধাকান্ত দেব |
১.৪ বেঙ্গল টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট | (খ) তারকনাথ পালিত |
২. সত্য বা মিথ্যা নির্ণয় করাে :
২.১ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহের অভিঘাতে ভারতে ব্রিটিশ শাসনের সমাপ্তি ঘটেছিল।
উত্তর: মিথ্যা
২.২ ভারতসভা গড়ে উঠেছিল দেশের জনগণকে বৃহত্তর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে একজোট করার জন্য।
উত্তর: সত্য
২.৩ ১৮৫৭-র বিদ্রোহকে জাতীয়তাবাদীরা ‘ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধ’ বলে ব্যাখ্যা করেন।
উত্তর: সত্য
২.৪ ‘বর্তমান ভারত’ গ্রন্থে স্বামী বিবেকানন্দ শূদ্র জাগরণের কথা বলেছেন।
উত্তর: সত্য
৩. শূন্যস্থান পূরণ করাে :
৩.১ ভারতে ছাপা প্রথম বাংলা বই হল __________ ।
উত্তর: ভারতে ছাপা প্রথম বাংলা বই হল এ গ্রামার অফ দা বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ ।
৩.২ ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠিত হয় __________ খ্রিষ্টাব্দে।
উত্তর: ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮০০ খ্রিষ্টাব্দে।
৩.৩ ঔপনিবেশিক ভারতে __________ প্রথম ভাইসরয় নিযুক্ত হন।
উত্তর: ঔপনিবেশিক ভারতে লর্ড ক্যানিং প্রথম ভাইসরয় নিযুক্ত হন।
৩.৪ ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসটি.__________ আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত হয়।
উত্তর: ‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসটি সন্ন্যাসী বিদ্রোহ আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত হয়।
৪. দুটি বা তিনটি বাক্যে নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৪.১ ইন্টারনেট ব্যবহারের দুটি সুবিধা লেখ।
উত্তর: উত্তরঃ স্যাটেলাইট – নির্ভর যোগাযোগ ব্যবস্থা ‘ ইন্টারনেট ‘ মানব সভ্যতার দৈনন্দিন জীবনে অনেক কাজে লাগে । এর দুটি ব্যবহার হল – –
i ) তথ্যের সহজলভ্যতা : ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসে থেকেই পুরো বিশ্বের অসংখ্য তথ্য নিমেষের মধ্যে জানা যায় | ইন্টারনেট থেকে খুব সহজেই বহু তথ্য সংগ্রহ করে ইতিহাস রচনা করা যায় |
ii ) সময়ের সাশ্রয় : বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বই বা অন্যান্য উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করা খুবই সময় সাপেক্ষ | কিন্তু ইন্টারনেটের সাহায্যে খুব অল্প সময়েই সেই সব তথ্য খুব সহজেই সংগ্রহ করা যায়
৪.২ ডেভিড হেয়ার কেন স্মরণীয়?
উত্তর: ডেভিড হেয়ার অনেক কারণেই স্মরণীয় হয়ে আছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হল-
(i) ডেভিড হেয়ার ছিলেন ‘হিন্দু কলেজ’ প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম।
(ii) তিনি ‘কলকাতা মেডিকেল কলেজ’ প্রতিষ্ঠা ও তার উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
(iii) এছাড়া তিনি ‘ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি’ ‘পটলডাঙা অ্যাকাডেমি’ (হেয়ার স্কুল) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
৪.৩ বারাসাত বিদ্রোহ’ কী?
উত্তর: বারাসাত বিদ্রোহ: বাংলার ওয়াহাবি আন্দোলনের প্রানপুরুষ তিতুমির ওরফে মীর নিসার আলী বারাসাত মহকুমার জমিদার, নীলকর ও ইংরেজ বিরোধী যে বিদ্রোহের সূচনা করেন তা ‘বারাসাত বিদ্রোহ’ নামে পরিচিত। ১৮৩০ সাল থেকে ১৮৩১ সাল পর্যন্ত এই বিদ্রোহ হয়। শেষ পর্যন্ত ইংরেজ দমননীতির কারণে এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়।
৪.৪ ‘গােরা’ উপন্যাসের মধ্য দিয়ে কোন দ্বন্দ্বের প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায় ?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘গোরা’ উপন্যাসটি জাতীয়তাবাদী উপন্যাস।
৪.৫ গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মরণীয় কেন?
উত্তর: গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মরণীয় কারন-
(i) চিত্রশিল্পী: জোড়াসাঁকো ঠাকুর পরিবারের সদস্য গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গীয় ঘরানার একজন চিত্রকর ও ব্যঙ্গচিত্রশিল্পী হিসাবে বিখ্যাত হয়ে আছেন। তাঁর ব্যঙ্গচিত্রগুলির মধ্যে অদ্ভুতলোক, বিরূপ বজ্র এবং নব হুল্লোড় প্রভৃতি বিশেষ উল্লেখযোগ্য।
(ii) আধুনিক চিত্রশিল্পের পথিকৃৎ: গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘আধুনিক চিত্রশিল্পের পথিকৃৎ’ হিসাবে আমাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছে
৫. সাত বা আটটি বাক্যে উত্তর দাও :
৫.১ মহেন্দ্রলাল সরকার কেন স্মরনীয়?
উত্তর: ভারতে সুশৃংখল প্রাতিষ্ঠানিক বিজ্ঞানচর্চার পথিকৃৎ ছিলেন ডক্টর মহেন্দ্রলাল সরকার। একজন ডাক্তার ও বিজ্ঞানী হিসেবে তিনি ভারতের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছেন। তার শ্রেষ্ঠ কীর্তি হল ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ২৯ শে জুলাই “ইন্ডিয়ান অ্যাসােসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স” (IACS) প্রতিষ্ঠা। তিনি ছিলেন এর প্রথম ডিরেক্টর। এখানকার গবেষণাপত্র প্রকাশের জন্য “ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ ফিজিক্স” নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। এখানকার খ্যাতনামা বিজ্ঞানীরা ছিলেন জগদীশচন্দ্র বসু, মেঘনাথ সাহা, নােবেলজয়ী চন্দ্রশেখর, ভেঙ্কটরমন, চুনীলাল বসু প্রমুখ।
৫.২ শিক্ষা বিস্তারে শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশনের ভূমিকার উল্লেখ কর।
উত্তর: উনিশ শতকের সূচনাকাল থেকে বাংলায় দ্রুত ছাপাখানা শিল্পের শ্রীবৃদ্ধি ঘটে। এই সময়ে বাংলার একটি উল্লেখযোগ্য ছাপাখানা ছিল শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রেস। শ্রীরামপুর ত্রয়ী’ নামে খ্যাত তিন খ্রিস্টান মিশনারি (কেরি, মার্শম্যান, ওয়ার্ড) ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুরে এটি প্রতিষ্ঠা করেন। এটিই শ্রীরামপুর প্রেস নামে খ্যাত। এই প্রেস থেকে নানা বিষয়ে নানা ধরনের বই ও পত্রপত্রিকা ছাপানো হত, যেমন—নিউ টেস্টামেন্ট (বাইবেল) বাংলায় অনুবাদ করে এখান থেকে ছাপা হয়। এছাড়াও স্কুল ও কলেজের জন্য পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও প্রকাশনার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। 1832 খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এই প্রেস থেকে 40টি ভাষায় 2 লক্ষেরও বেশি বই ছাপানো হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল— রামরাম বসুর রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালংকারের বত্রিশ সিংহাসন। কাশীরাম দাসের মহাভারত, কৃত্তিবাসের রামায়ণ ইত্যাদি। ব্যাপটিস্ট মিশনের প্রচেষ্টায় বাংলায় ছাপাখানার যেমন শ্রীবৃদ্ধি ঘটে, তেমনি শিক্ষাদীক্ষা ও জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চার নবদিগন্তের সূচনা হয়। তাই বলা যায় বাংলার শিক্ষার ইতিহাসে শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন প্রেস এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা করেন।
৫.৩ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিক্ষাচিন্তায় কোন দিকটি শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে বেশি ফুটে উঠেছিল?
উত্তর: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে নিজের শিক্ষাচিন্তার ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। রবীন্দ্রনাথের পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রায়পুরের জমিদার ভুবনমোহন সিংহের কাছ থেকে 20 বিঘা জমি নিয়ে 1863 খ্রিস্টাব্দে শান্তিনিকেতন আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন।
রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতন ভাবনা :-
i)রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার নিজস্ব শিক্ষাচিন্তার ভিত্তিতে শান্তিনিকেতনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তিনি চেয়েছিলেন প্রকৃতির কাছাকাছি আদর্শ পরিবেশের মধ্যে শিশুদের বড়ো করে তুলতে হবে।
ii)রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রাচীন ভারতের আশ্রমিক শিক্ষার ভাবধারায় অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। তাই তিনি শিক্ষার্থীদের শান্তিনিকেতনে রেখে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন।
রবীন্দ্রনাথের প্রকৃতি মানুষ ও শিক্ষা বিষয়ে হাতে কলমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন যে শিক্ষা হবে মুক্ত প্রকৃতির কোলে মুক্ত আকাশের নিচে। চার দেওয়ালের মধ্যে আবদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে তিনিও খোপওয়ালা বড় বাক্স বলে অভিহিত করেছেন। তার উদ্দেশ্য ছিল প্রকৃতির কাছে থেকে আদর্শ প্রাকৃতিক পরিবেশে শিশু ও কিশোরদের বড় হতে সাহায্য করা। রবীন্দ্রনাথ মনে করতেন যে প্রকৃতির সংস্পর্শে শিশুর দেহ মন সুগঠিত হয়। শিশুদের পরম সত্তাকে নিবিড় ভাবে অনুধাবন করতে পারে
৫.৪ ‘ভারতমাতা’ চিত্রটি কীভাবে ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রতীকে পরিণত হয়েছিল?
উত্তর: ভারতের জাতীয়তাবাদের বিকাশে ভারতমাতা চিত্রখানি পরাধীন ভারতে জাতীয়তাবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। বিভিন্ন কারণে সমস্ত ভারতবাসী সম্মিলিতভাবে বিভিন্ন আন্দোলনের যুগে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ভারতমাতা চিত্র খানি কে পরাধীন ভারতের একমাত্র জাতীয়তাবাদের প্রতীক হিসাবে তুলে ধরেছিল।ইউরোপীয় ইতিহাসে নবজাগরণের মতো ভারতীয় ইতিহাসে নবজাগরণ ঘটেছিল। ইউরোপের ইতিহাস কে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, বিভিন্ন অর্থনীতিবীদ, বিভিন্ন চিত্রকরের প্রকাশিত হওয়া বই ও বিভিন্ন ছবিকে ঘিরে নবজাগরণের বিকাশ ঘটেছিল। ঠিক একই রকম ভাবে পরাধীন ভারতবর্ষের বুকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও চিত্র ভারতীয়দের একতাবদ্ধ হতে সাহায্য করেছিল। এই সকল চিত্রের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য একটি চিত্র ছিল অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ভারতমাতা চিত্র টি।
ভারতমাতা চিত্র টি পরাধীন ভারতের জাতীয়তাবাদের প্রতীক হয়ে ওঠার কারণ।
স্বদেশিকতা : অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা ভারতমাতা চিত্র খানি জাতীয়তাবাদের মূল স্তম্ভ রূপে পরিগণিত হয়েছিল বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময়। কারণ এই চিত্রটি স্বদেশীকতার বাতাবরণে চিত্রিত হয়েছিল। চিত্রটিতে হিন্দুদের দেবী লক্ষ্মীর অনুকরণে তিনি ভারত মাতা কে অঙ্কন করেছিলেন।
ব্রিটিশ বিরোধিতা : ব্রিটিশদের বিরোধিতা করা অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মনোভাবের সঙ্গে যুক্ত ছিল। আর এই ভারতমাতা চিত্রটি টিকে তিনি ব্রিটিশবিরোধী একটি প্রতীক হিসাবে তুলে ধরেছিলেন। এই কারণে সমকালীন ব্রিটিশবিরোধী ভারতবাসীরা ভারতমাতা ছবিটির মধ্যে জাতীয়তাবাদের উন্মেষ লক্ষ্য করতে পেরেছিল |
জাতীয়তাবাদ : বঙ্গভঙ্গ বিরোধী স্বদেশী আন্দোলন এবং ভারতীয় জাতীয়তাবাদকে অনুপ্রেরণা জাগানোর জন্য ভারতমাতা চিত্র টি কে সব সময় আন্দোলনের সামনে রাখা হতো। এই কারণে খুব সহজেই ভারতমাতা চিত্র টি ভারতের জাতীয়তাবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছিল
ঐক্যবদ্ধতা : অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভারতমাতা চিত্র টির মধ্যে ছিল সমস্ত ভারতের বৈশিষ্ট্য, যেমন চিত্রটিতে ভারত মাতার চার হাতে রয়েছে বেদ, ধানের শীস, জপের মালা ও শ্বেত বস্ত্র পরিধান। চিত্রটিতে এই রূপের কারণে খুব সহজেই ভারতবাসীদের ভারতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যের প্রতীক হয়ে উঠেছিল।
উপরে বর্ণিত এই সকল বৈশিষ্ট্যের জন্য অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভারতমাতা চিত্রটি ব্রিটিশ বিরোধী মনোভাব নিয়ে খুব সহজেই ভারতের জাতীয়তাবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছিল।
৫.৫ ‘বাংলার নবজাগরণ ছিল কলকাতাকেন্দ্রিক। – বিশ্লেষণ করাে।
উত্তর: পাশ্চাত্য সভা ও সংস্কৃতি সংস্পর্শে এসে উনিশ শতকের বাঙালী সমাজে যে যুক্তিবাদি ও মানবতাবাদী আলােড়ন দেখা যায়, তাকে সাধারণ বঙ্গীয় নবজাগরণ বলে আখ্যায়িত হলেও এর ব্যাপ্তি ছিল খুবই সীমিত এবং একান্ত ভাবেই কলকাতা শহর কেন্দ্রিক। ইতালীয় নবজাগরণে যে প্রবল গতিবেগ, উদ্যম ও বহুমুখী সৃজনশীলতা লক্ষ্য করা যায়, কলকাতা কেন্দ্রিক বঙ্গীয় নবজাগরণে তা অনেক ক্ষেত্রে অনুপস্থিত। শহর কলকাতার কিছু মুষ্টিমেয় ইংরেজি শিক্ষিত ব্যক্তির মধ্যে এই নবজাগরণ সীমাবন্ধ ছিল।
হিন্দু সমাজের বৃহত্তর নিমবন্ধনের মানুষ, কৃষক সমাজ বা মুসলিম সমাজের সঙ্গে নবজাগরণের কোনাে সম্পর্ক ছিল না। ডা: অনীল শীল তাই একে এলিটিস্ট মুভমেন্ট বলে আখ্যায়িত করেছেন।
৬. পনেরাে-যােলােটি বাক্যে উত্তর দাও :
প্রাচ্য-পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্ব সম্পর্কে সংক্ষেপে আলােচনা করাে।
উত্তর: প্রাচ্য-পাশ্চাত্য বিতর্ক: ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের চার্টার অ্যাক্টে এদেশের শিক্ষাখাতে প্রতি বছর বরাদ্দ করা একলক্ষ টাকা প্রাচ্য না পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারে খরচ করা হবে সে সম্পর্কে ১৮২০-র দশকে এক তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়, যা প্রাচ্য শিক্ষা-পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্ব নামে পরিচিত।
(i) বিতর্কের বিষয়: ওই সময়ে যারা প্রাচ্য ভাষার মাধ্যমে শিক্ষাচর্চার কথা বলেন তাঁরা প্রাচ্যবাদী এবং যারা ইংরেজির মাধ্যমে শিক্ষাচর্চার কথা বলতেন তাঁরা পাশ্চাত্যবাদী নামে পরিচিত হন। এইচ টি প্রিন্সেপ, কোলব্রুক প্রমুখ্য পাচ্যবাদীর মত ছিলো-দেশীয় ভাষার মাধ্যমো শিক্ষার বিস্তার ঘটানো। অন্যদিকে লর্ড মেকলে, চার্লস গ্রান্ট প্রমুখ পাশ্চাত্যবাদীর উদ্দেশ্য ছিল মূলত ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে শিক্ষার বিস্তার ঘটানো। ভারতীয়দের মধ্যে রাজা রামমোহন রায় ছিলেন পাশ্চাত্যবাদী, পক্ষান্তরে রাজা রাধাকান্ত দেব প্রমুখ ছিলেন প্রাচ্যবাদী। রাজা রামমোহন রায় কলকাতায় সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেন এবং পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের দাবি করেন।
(ii) বিতর্কের অবসান: ভারতে ইংরেজি শিক্ষাবিস্তারের ক্ষেত্রে প্রাচ্যবাদী-পাশ্চাত্যবাদী বিতর্কে শেষ পর্যন্ত পাশ্চাত্যবাদীদের মতই সুপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দের ৮ মার্চ গভর্নর জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক মেকলে মিনিট-এর ভিত্তিতে ইংরেজি ভাষায় শিক্ষার প্রসারকে ‘সরকারী নীতি’ বলে ঘোষণা করেন।
মূল্যায়ন: ভারতের বাংলা প্রদেশে প্রাচ্য-পাশ্চাত্য বিতর্ক শুরু হলেও বোম্বাই প্রদেশ-সহ অন্যান্য প্রদেশে অনুরূপ বিতর্ক হয়নি। এই স্থানগুলিতে পাশ্চাত্য শিক্ষারীতিই গৃহিত হয়েছিল। যাইহোক, প্রাচ্য-পাশ্চাত্য বিতর্কের অবসানের ফলে ভারতে দ্রুত পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার ঘটতে থাকে।টতে থাকে।
Combined Activity Task 2021
ভূগোল
দশম শ্রেণী
Class 10 Geography (ভূগোল) Combined Model Activity Task Solution :
১. বিকল্পগুলি থেকে ঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখাে :
১.১ অবরােহণ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট একটি ভূমিরূপ হলাে –
ক) প্লাবনভূমি
খ) এস্কার
গ) গিরিখাত
ঘ) স্বাভাবিক বাঁধ
উত্তর : গ) গিরিখাত
১.২ হিমবাহ ও পর্বতগাত্রের মধ্যে সৃষ্ট সঙ্কীর্ণ ফাঁক হলাে –
ক) ফিয়র্ড
খ) বার্গম্বুন্ড
গ) করি
ঘ) এরিটি
উত্তর : খ) বার্গম্বুন্ড
১.৩ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করাে —
ক) লাদাখ – অঙ্গরাজ্য
খ) পুদুচেরী – কেন্দ্রশাসিত অঞ্জল
গ) আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ – অঙ্গরাজ্য
ঘ) হরিয়ানা – কেন্দ্রশাসিত অঞ্জল
উত্তর : খ) পুদুচেরী – কেন্দ্রশাসিত অঞ্জল
১.৪ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করাে —
ক) শৃঙ্খলিত শৈলশিরা – নদীর সঞ্জয়কাজ
খ) এরিটি – হিমবাহের সঞয়কাজ
গ) অপসারণ গর্ত – বায়ুর সঞয়কাজ
ঘ) বালিয়াড়ি – বায়ুর সঞ্জয়কাজ
উত্তর : ঘ) বালিয়াড়ি – বায়ুর সঞ্জয়কাজ
১.৫ ক্রান্তীয় চিরহরিৎ অরণ্যের উদ্ভিদের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলাে –
ক) নির্দিষ্ট ঋতুতে এদের পাতা ঝরে যায়
খ) পাতায় মােমের প্রলেপ থাকে
গ) উদ্ভিদের ডালপালা একসাথে যুক্ত হয়ে চাঁদোয়া সৃষ্টি করে
ঘ) এদের শ্বাসমূল থাকে
উত্তর : গ) উদ্ভিদের ডালপালা একসাথে যুক্ত হয়ে চাঁদোয়া সৃষ্টি করে
১.৬ অতিবিরল জনঘনত্বযুক্ত একটি রাজ্য হলাে –
ক) পশ্চিমবঙ্গ
খ) গােয়া
গ) উত্তরপ্রদেশ
ঘ) সিকিম
উত্তর : ঘ) সিকিম
১.৭ আরােহণ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট একটি ভূমিরূপ হলাে—
ক) গিরিখাত
খ) রসে মতানে
গ) বালিয়াড়ি
ঘ) গৌর
উত্তর : গ) বালিয়াড়ি
১.৮ ঠিক জোড়াটি নির্বাচন করাে—
ক) উত্তর-পশ্চিম ভারতের প্রাচীন ভঙ্গিল পর্বত – নীলগিরি
খ) দক্ষিণ ভারতের পূর্ববাহিনী নদী— নর্মদা
গ) আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের চিরহরিৎ বৃক্ষ – মেহগনি
ঘ) উত্তর-পূর্ব ভারত – কৃষ্ণু মৃত্তিকা
উত্তর : গ) আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের চিরহরিৎ বৃক্ষ – মেহগনি
১.৯ ভারতের রূঢ় বলা হয়—
ক) জামসেদপুরকে
খ) দুর্গাপুরকে
গ) ভিলাইকে
ঘ) বােকারােকে
উত্তর : খ) দুর্গাপুরকে
২. শূন্যস্থান পূরণ করাে :
২.১ বায়ুর___________প্রক্রিয়ায় বালি ও পলিকণা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে অপসারিত হয়।
উত্তর : ভাসমান
২.২ __________উপত্যকা পীরপাঞ্জাল ও উচ্চ হিমালয় পর্বতশ্রেণি দ্বারা বেষ্টিত।
উত্তর : কাশ্মীর
২.৩_____________মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ভারতে শীতকাল প্রায় শুষ্ক প্রকৃতির হয়।
উত্তর : উত্তর-পূর্ব
৩. বাক্যটি সত্য হলে ‘ঠিক’ এবং অসত্য হলে ‘ভুল’ লেখাে :
৩.১ নদীখাতে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট গর্তগুলি হলাে মন্থকূপ।
উত্তর : ঠিক
৩.২ ভারতের উপকূল অঞ্চলে দিনেরবেলা স্থলবায়ু প্রবাহিত হয়।
উত্তর : ভুল
৩.৩ শুষ্ক ও উম্ন আবহাওয়া চা চাষের পক্ষে আদর্শ।
উত্তর : ভুল
৪. স্তম্ভ মেলাও :
ক স্তম্ভ | খ স্তম্ভ |
৪.১ বিশুদ্ধ কাঁচামাল | (i) ক্রেভাস |
৪.২ মালাবার উপকূল | (ii) তুলাে |
৪.৩ হিমবাহ | (iii) কয়াল |
উত্তর :
ক স্তম্ভ | খ স্তম্ভ |
৪.১ বিশুদ্ধ কাঁচামাল | (ii) তুলাে |
৪.২ মালাবার উপকূল | (iii) কয়াল |
৪.৩ হিমবাহ | (i) ক্রেভাস |
৫. সংক্ষিপ্ত উত্তর দাও :
৫.১ পলল ব্যজনী কেন পর্বতের পাদদেশে সৃষ্টি হয়?
উত্তর : উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল পার হয়ে নদী যখন পর্বতের পাদদেশীয় অঞ্চলে নেমে আসে তখন ভূমির ঢাল হঠাৎ কমে যাওয়ায় নদীর বহন ক্ষমতা ও স্রোতের বেগ দুই কমে যায় । ফলে উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল থেকে বহন করে আনা পলি , বালি , কাঁকর , নুড়ি ইত্যাদি সঞ্চিত হয়ে পর্বতের পাদদেশে পলল ব্যজনী সৃষ্টি করে । যেমন : হিমালয়ের পাদদেশে এইরূপ পলল ব্যজনী দেখা যায় ।
৫.২ ‘ভারতের পশ্চিমবাহিনী নদীর মােহনায় বদ্বীপ গড়ে ওঠেনি’ – ভৌগােলিক কারণ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর : ভারতের পশ্চিমবাহিনী নদী অর্থাৎ আরব সাগরে পতিত নর্মদা , তাপ্তি প্রভৃতি নদীর মোহনায় ব – দ্বীপ দেখা যায় না । কারণ :
1. স্বল্পদৈর্ঘ্য নদীপথ : নদীগুলির দৈর্ঘ্য কম হওয়ায় নদীতে পলির পরিমাণ কম থাকে ।
2. অল্প সংখ্যক উপনদী : পশ্চিমবাহিনী নদী গুলিতে উপনদীর সংখ্যা কম এবং সেগুলি ছোট ছোট । ফলে, নদী গুলিতে জল ও পলির পরিমাণ কম হয় ।
3. খরস্রোতা ও গভীর মহীসোপান : গ্রস্ত উপত্যকার মধ্য দিয়ে খাড়া ঢালে নদীগুলি প্রবাহিত হওয়ায় গতিবেগ খুব বেশি হয় । এছাড়া আরব সাগরের মহীসোপানের ঢাল অত্যন্ত বেশি হওয়ায় বিশেষত কাম্বে উপসাগরে নর্মদা ও তাপ্তি নদীর মোহনা অত্যন্ত গভীর হওয়ায় ক্ষয়জাত পদার্থ সমুদ্রের তলে তলিয়ে যায় । ফলে ব – দ্বীপ গঠিত হতে পারে না ।
৫.৩ ‘অক্ষাংশভেদে হিমরেখার উচ্চতা ভিন্ন হয়’ – ভৌগােলিক কারণ ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর : ভূপৃষ্টে যে সীমারেখার নীচে বরফ গলে যায় বা যে সীমারেখার ওপর বরফ গলে না, তাকে হিমরেখা বলে। অক্ষাংশভেদে সূর্যরশ্মির পতন কোণের তারতম্য ঘটে। যেমন নিরক্ষীয় অঞ্চলে সূর্য লম্বভাবে কিরণ দিলেও অক্ষাংশ বৃদ্ধির সাথে সাথে তা ক্রমশ তির্যকভাবে কিরণ দিতে থাকে। এই কারণে বায়ুর উষ্ণতারও তারতম্য লক্ষ করা যায়। উচ্চ অক্ষাংশ বিষিষ্ট অঞ্চলে হিমরেখা সমুদ্র সমতলে অবস্থান করে। কিন্তু অক্ষাংশের মান যত কমে, হিমরেখার উচ্চতা তত বৃদ্ধি পায়।
৫.৪ ভারতে জলবিভাজিকা উন্নয়নের দুটি উদ্দেশ্য লেখাে।
উত্তর :
যে সামগ্রিক কারিগরি পরিকল্পনার মাধ্যমে সমগ্র নদী অববাহিকা অঞ্চলের ভূমিক্ষয়, ধস, বন্যা ও খরা প্রতিরােধ করে জমি, মাটি জল ও বনভূমির সুষ্ঠ ব্যবহারের মাধ্যমে এই অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্র পরিবেশের উৎপাদন ও সম্পদের স্থায়ী উন্নয়ন করা যায়, তাকে জলবিভাজিক উন্নয়ন বা ব্যবস্থাপনা বলে।
উদ্দেশ্য:
১) জলবিভাজিকা উন্নয়নের প্রধান উদ্দেশ্য হলাে প্রাকৃতিক উৎস গুলি থেকে পাওয়া জল ও সমাজে জলের চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য রাখার ব্যবস্থা করা।
২) প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার করা ও এলাকার সামগ্রিক পরিবেশের উন্নতি ঘটানাে।
৬. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৬.১ ধাপ চাষ, ফালি চাষ ও সমােন্নতি রেখা বরাবর চাষের মাধ্যমে কীভাবে মৃত্তিকা ক্ষয় প্রতিরােধ করা সম্ভব?
উত্তর : মৃত্তিকা ক্ষয় প্রতিরােধ এর পদ্ধতি নিম্নরূপ-
ধাপচাষ: মাটি সংরক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হল ধাপচাষ। পাহাড়ি বা ঢালু জমিতে ঢাল অনুযায়ী সিঁড়ি বা ধাপ গঠন করলে ঢালের কৌণিক মান হ্রাস পায়। ধাপ তৈরি করলে সেখানে। জলের প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ধাপ চাষ পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিক্ষয়কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
ফালি চাষ: পাহাড়ি অঞ্চলে ছােটো ছােটো অংশে পাহাড়ের ঢালু জমিতে আড়াআড়িভাবে ফিতাকৃতি জমি তৈরি করে ক্ষয় প্রতিরােধী শস্য চাষ করার পদ্ধতিকেই ফালি চাষ বলে। শিম, ডাল, সয়াবিন, ভুট্টা প্রভৃতি শস্য চাষ করা হয়। এতে ভূমিক্ষয় রােধ হয় ও মাটির জলধারণ ক্ষমতা বাড়ে।
সমোন্নতি রেখা বরাবর চাষ: পার্বত্য অঞ্চলে উঁচু, নীচু এলাকায় সমান উচ্চতাযুক্ত বিন্দুগুলিকে যােগ করে যে রেখা পাওয়া যায় তাকে সমােন্নতি রেখা বলে। ওই রেখা বরাবর শস্যক্ষেত্র তৈরি করে কৃষিকাজ করা হয়। এতে জলপ্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় ফলে মাটির ক্ষয় কমে।
৬.২ নিম্নলিখিত বিষয়গুলির ভিত্তিতে নদী উপত্যকা ও হিমবাহ উপত্যকার পার্থক্য নিরূপণ করাে —
ক) সৃষ্টির প্রক্রিয়া
খ) উপত্যকার আকৃতি
গ) অবস্থান
উত্তর :
ভিত্তি | নদী উপত্যকা | হিমবাহ উপত্যকা |
সৃষ্টির প্রক্রিয়া | পার্বত্য অঞ্চলে অবঘর্ষ, জলপ্রবাহ প্রভৃতি ক্ষয় কার্যের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নদী পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্নক্ষয় অধিক হারে করে তাই উপত্যকা প্রথমে ‘I’ ও পরে ‘V’ আকতিবিশিষ্ট হয়। | অতি উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে উৎপাটন ও অবঘর্ষ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হিমবাহ পার্শ্ব ও নিম্নক্ষয় সমান হারে করে ফলে উপত্যকা আকতিবিশিষ্ট হয়। |
উপত্যকার আকৃতি | নদী উপত্যকা প্রধানত ‘I’ বা ‘V’ আকৃতি বিশিষ্ট হয়। সমভূমিতে ইহা বিস্তৃত ও চওড়া ‘U’ আকৃতি বিশিষ্ট হতে পারে। | হিমবাহ উপত্যকা সর্বদা ‘U’ আকৃতি বিশিষ্ট হয়। |
অবস্থান | উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলে যেখানে নদী বা জলধারা কার্য করে সেখানে নদী উপত্যকা গঠিত হয়। | উচ্চপর্বতের চিরতুষারাবৃত অঞ্চলে যেখানে হিমবাহ ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটায় সেখানে হিমবাহ উপত্যকা গঠিত হয়। |
৬.৩ হিমালয় পর্বতমালা কীভাবে ভারতীয় জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে?
উত্তর :
১. অক্ষাংশগত দিক দিয়ে ভারতের উত্তর অংশ উপক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত হওয়া সত্বেও হিমালয়ের অধিক উচ্চতার কারণে ভারতের উত্তরের পার্বত্য অঞ্চলের জলবায়ু শীতল নাতিশীতোষ্ণ প্রকৃতির ।
২. ভারতের উত্তর – পূর্বের হিমালয় পর্বত অবস্থিত হওয়ায় শীতকালে রাশিয়ার সাইবেরিয়া থেকে আগত হিম শীতল বাতাস ভারতে প্রবেশ করতে পারে না । ফলে শীতকালে অধিক শীতলতার হাত থেকে ভারতবাসী রক্ষা পায় ।
৩. হিমালয়ের দক্ষিণ ঢালে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বাধা পেয়ে শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটায় । এই কারণে উত্তর – পূর্ব ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জির মৌসিনরাম পৃথিবীর সবচেয়ে আর্দ্র ও বৃষ্টিবহুল অঞ্চল ।
৭. নীচের প্রশ্নগুলির উত্তর দাও :
৭.১ হিমবাহের সঞ্জয় কার্যের ফলে গঠিত বিভিন্ন প্রকার গ্রাবরেখার সচিত্র বর্ণনা দাও।
উত্তর : উচ্চ পার্বত্য অঞ্চল থেকে বিচ্ছিন্ন ও ক্ষয়প্রাপ্ত নানা আয়তনের তীক্ষ্ণ শিলাখণ্ড হিমবাহের সঙ্গে বাহিত হয়ে স্তূপাকারে উপত্যকার বিভিন্ন অংশে সঞ্চিত হয় । এই শিলাস্তূপকে গ্রাবরেখা বলে । অবস্থানের প্রকৃতি অনুযায়ী গ্রাবরেখা বিভিন্ন ধরনের হয় । যথা :
1. পার্শ্ব গ্রাবরেখা : হিমবাহের উভয় পার্শ্বে সঞ্চিত গ্রাবরেখা ।
2. মধ্য গ্রাবরেখা : পাশাপাশি দুটি হিমবাহের মধ্যবর্তী স্থানে সঞ্চিত গ্রাবরেখা ।
3. প্রান্ত গ্রাবরেখা : হিমবাহের সামনে বা শেষ প্রান্তে সঞ্চিত গ্রাবরেখা ।
৭.২ ভারতের কোন অঞ্চলে অধিকাংশ কফি উৎপাদন করা হয়? এই বাগিচা ফসল চাষের অনুকুল প্রাকৃতিক পরিবেশের বর্ণনা দাও।
উত্তর :ভারতের অধিকাংশ কফি দক্ষিণ ভারতের তিনটি রাজ্যে উৎপাদন করা হয় । যথা :
1. কর্ণাটক : ভারতের মধ্যে কফি উৎপাদনে প্রথম স্থান অধিকার করে । ভারতের মোট উৎপাদনের 72 % কফি উৎপাদিত হয় । এই রাজ্যের চিকমাগালুর , হাসান , কোদাগু , কুর্গ , মাইসোর , শিমোগা প্রভৃতি জেলায় কফি উৎপাদিত হয় ।
2. কেরল : ভারতের মধ্যে কফি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে । ভারতের মোট উৎপাদনের 20 % কফি উৎপাদিত হয় । ওয়ানড় , পালাক্কাড় , ইদুক্কি প্রভৃতি জেলায় কফি উৎপাদিত হয় ।
3. তামিলনাড়ু : ভারতের মধ্যে কফি উৎপাদনে তৃতীয় স্থান অধিকার করে । ভারতের মোট উৎপাদনের 6 % কফি উৎপাদিত হয় । নীলগিরি , সালেম , কোয়েম্বাটোর , মাদুরাই , তিরুনেলভেলি প্রভৃতি জেলায় কফি উৎপাদিত হয় ।
কফি চাষের অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ :
1. উষ্ণতা : 20°C – 30°C উষ্ণতা কফি চাষের জন্য আদর্শ ।
2. বৃষ্টিপাত : 150-250 সেমি বৃষ্টিপাত কফি চাষের জন্য প্রয়োজন ।
3. আর্দ্রতা : আর্দ্রতা কফি গাছের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ।
4. মৃত্তিকা : লৌহ – পটাশযুক্ত উর্বর লাল দোয়াশ মাটি ও মৃদু অম্লধর্মী হিউমাস মাটি কফি চাষের পক্ষে উপযোগী ।
5. জমির প্রকৃতি : জলনিকাশি ব্যবস্থাযুক্ত পাহাড়ী ঢালু জমি ।
6. ছায়াপ্রদানকারী বৃক্ষ : প্রত্যক্ষ সূর্যকিরণ কফি চাষের পক্ষে ক্ষতিকারক । তাই কফি বাগিচাগুলোতে ছায়াদানকারী বৃক্ষ যেমন : কলা গাছ লাগানো হয় ।
৭.৩ ভারতীয় জনজীবনে নগরায়ণের নেতিবাচক প্রভাবগুলি উল্লেখ করাে।
উত্তর : ভারতের সমগ্র জনসংখ্যার মাত্র ২৭.৭৮ % শহর ও শহরতলীর অঞ্চলে বসবাস করলেও আমাদের দেশে নগরায়নের নেতিবাচক প্রভাব গুলি স্পষ্ট । যেমন :
( ১ ) বাসস্থানের সমস্যা : জীবন ও জীবিকার কারণে শহরমুখী মানুষের সংখ্যা নিত্য দিন বেড়েই চলেছে যার ফলস্বরূপ শহর অঞ্চলের জনঘনত্ব অত্যধিক হারে বাড়ছে ও বাসস্থানের তীব্র সমস্যা দেখা দিচ্ছে ।
( ২ ) বস্তি এলাকা : ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি , জমি ও গৃহ নির্মাণের জিনিসপত্রের অধিক মূল্য , অধিক ঘর ভাড়া ইত্যাদি কারণে জীবন ও জীবিকার তাগিদে শহরে আশা প্রচুর মানুষ স্বল্প পরিসর স্থানে ছোট ছোট ঘরে ঠাসাঠাসি করে থাকতে বাধ্য হয় । এর ফলে শহর অঞ্চল গুলিতে বস্তি এলাকার পরিমাণ বাড়তে থাকছে ।
( ৩ ) যানজট : প্রতি দিনের কর্মব্যস্ততা শহরের মানুষকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছুটে বেড়াতে হয় ফলস্বরূপ নিত্যদিন শহরের যানজটের পরিমাণ বাড়ছে ।
( ৪ ) জলনিকাশির সমস্যা : বর্তমানে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ভারতের প্রধান শহরগুলি ( দিল্লি , মুম্বাই , কলকাতা ও চেন্নাই ) বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপযুক্ত ব্যবস্থার অভাবে নিকটবর্তী নদী বা সমুদ্রে বর্জ্য নিক্ষেপ করে । ফলে সংশ্লিষ্ট জলাধারগুলি দূষিত হয়ে পড়ায় জলবাহিত রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায় ।
( ৫ ) অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও দূষণ : ভারতের শহর অঞ্চলগুলিতে বাড়তে থাকা বস্তি এলাকা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্ম দিচ্ছে । এর পাশাপাশি ক্রমবর্ধমান যানজটের সমস্যা শহরের দূষণের মাত্রাকেও বাড়িয়ে দিচ্ছে ।
- Get link
- X
- Other Apps
Comments
Post a Comment