Model Activity task 2021(August) Class 5 Bengali ( Part-5

 


Model Activity task 2021(August)

Class 5 Bengali ( Part-5)

মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ২০২১ | আগস্ট

পঞ্চম শ্রেণী বাংলা( পার্ট -৫)

নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর লেখ :

 ‘মাঠ মানে ছুট’ কবিতায় কবির কাছে মাঠ  কিভাবে নানান অর্থে প্রতিভাসিত হয়েছে তা আলোচনা কর।

উঃ কবির কাছে, মাঠ মানে ছুটি পাওয়ার মজা। মাঠ মানে সেখানে খুশিতে লুটপুটি খাওয়া, হই হল্লায় মেতে ওঠা। মাঠে ছড়ানো মন কেমন করা বাঁশির সুর যেন ঘুম তাড়িয়ে দেয়। কবির কাছে, মাঠ মানে সবুজ প্রাণের শাশ্বত এক দীপ, যা কখনোই নিভে যায় না। কবির কাছে, মাঠ মানে এগিয়ে যাওয়ার ছুট মাঠের এইসব অর্থই “মাঠ মানে ছুট” কবিতায় কবির কাছে প্রতিভাসিত হয়েছে।

 ‘অবশেষে দীর্ঘ যাত্রা শেষে তারা ভগবানের প্রাসাদে পৌছাল’ – তারপরে কি ঘটল তা ‘পাহাড়িয়া বর্ষার সুরে’ রচনা অনুসরণে লেখো।

উঃ ‘পাহাড়িয়া বর্ষার সুরে’ রচনাটি থেকে আমরা জানতে পারি যে বৃষ্টি কেমন করে আসে তা নিয়ে লেপচা উপজাতির মানুষের মধ্যে এক গল্প প্রচলিত আছে।

পৃথিবীতে  খরা  হওয়ার  ফলে  সব জীবজন্তু  খুব  নাকাল  হয়ে  পড়েছিল। মানুষ পশু গাছপালা ধ্বংস হয়ে যেতে লাগলো। তখন ব্যাঙ সানন্দে বৃষ্টির খোজ নিতে রাজি হল। তাঁর সঙ্গে মৌমাছিও যাত্রা করলো।  মৌমাছি ব্যাঙের  সঙ্গে  দীর্ঘ  যাত্রা  শেষে  ভগবানের  প্রাসাদে  পৌঁছল,  সেখানে  গিয়ে  তারা  দেখল  সবাই  নানান  ভোজ  ও  আনন্দ-উৎসবে  ব্যস্ত।  তাদের  স্ত্রী  ও  মন্ত্রীদের  মহানন্দ।  ব্যাঙ  বুঝতে  পারল  কেন  রাজ্যে  এত  অভাব,  এত  কষ্ট।  রাগে  উত্তেজিত হয়ে  তারা  গেল  ভগবানের  কাছে। তাদের  দেখে  ভগবান  তার  মন্ত্রীদের  ডাকল  এবং  তাদের  গাফিলতির  জন্য  তিরস্কার করল।  এরপর  তাদের  জয়ের  জন্য  গর্বিত  ব্যাঙ  তখনই  উল্লসিত  হয়ে সরবে  পুকুরে  ফিরে  গেল। তারপর  থেকে  যখনই  ব্যাঙ  ডাকে, তখনই  বৃষ্টি  নামে।

 ‘ঝড়’ কবতা অনুসরণে শিশুটির ঝড় দেখার অভিজ্ঞতার বিবরণ দাও।

উঃ মৈত্রেয়ী দেবীর লেখা “ঝড় ”  কবিতায়  কবি এক শিশুর দৃষ্টিভঙ্গিতে কালবৈশাখী ঝড়ের রুপ বর্ননা করেছেন।

শিশুটি যখন মাঠের ধারে খেলছিল তখন হঠাত আকাশ কালো করে, ঝোড়ো হাওয়া নিয়ে ঝড় এসে হাজির হল। ঝড়ে প্রকৃতির রুপ দেখে শিশুটির খুব ভালো লাগল। আকাশ, বকুলতলা, চাঁপার বন, নদীর জল সব অন্ধকারে কালো হয়ে গেল। শিশুটির মন কেমন করে উঠল। তার মনে হল সে  যেমন  দস্যিপনা  করে  ঘরের  মেঝের  উপর  কালি  ঢেলে  দেয়  তেমনি  ঝড়  যেনো  কোন  দস্যি  ছেলের মতো  আকাশের  উপর  মেঘ-রুপি  কালি  ঢেলে  দিয়েছে। আকাশে চমকে ওঠা বিদ্যুৎ দেখে মনে হল কে যেন তার কোমল ঠোট মেলে হেসে উঠছে। তারপর সেই দস্যি মেঘের দল অনেক দূরে বুঝি কোন সাত সাগরের পারে হারিয়ে গেল।

 ‘মধু কাটতে তিনজন লোক চাই’ – এই তিনজন লোকের কথা ‘মধু আনতে বাঘের মুখে’ রচনাংশে কিভাবে উপস্থাপিত হয়েছে?

উঃউদ্ধৃত উক্তিটি “মধু  আনতে  বাঘের  মুখে”  গল্প  থেকে  নেওয়া হয়েছে।

প্রশ্নানুযায়ী  মধু  কাটতে  তিনজন  লোক  দরকার। এই  তিনজন  লোকের  আলাদা  আলাদা  কাজ রয়েছে।  প্রথম  জনের  কাজ  চট  মুড়ি  দিয়ে  গাছে  উঠে  কাস্তে  দিয়ে  মৌচাক  কাটা।  দ্বিতীয়  জনের  কাজ  একটা  লম্বা  কাঁচা  বাঁশের  মাথায়  মশাল  জ্বেলে ধোঁয়া  দিয়ে  মৌমাছিকে  তাড়ানো  আর  তৃতীয়  জনের  কাজ  একটা  দিয়ে  মৌচাক  কাটা।  দ্বিতীয়  জনের  কাজ  একটা  লম্বা কাঁচা  বাঁশের  মাথায়  মশাল  জ্বেলে  ধোঁয়া  দিয়ে  মৌমাছিকে  তাড়ানো  আর  তৃতীয়  জনের  কাজ  একটা  বড়  ধামা  হাতে  নিয়ে চাকের  নিচে  দাঁড়ানো  যাতে  চাক  কাটা  শুরু  হলে  সেগুলি  মাটিতে  না  পড়ে  ধামার  মধ্যেই  পড়ে। গল্পানুসারে ধনাই নাকি মৌমাছিকে ভুল পথে চালিত করার মন্ত্র জানত, তাই সে মধু কাটতে উঠল, আর্জান ও কফিল বাকি কাজগুলি করেছিল

মায়াতরু’ কবিতার নামকরণের সার্থকতা প্রতিপন্ন কর।

উঃ  নাকরণ থেকে একটি সাহিত্যের আসল বিষয় বস্তু বোঝা যায়।

আলোচ্য  কবিতায়  কবি  একটি  আজব  গাছের  বর্ণনা  করেছেন। চারিদিকে  সন্ধ্যার  অন্ধকার  নেমে  এলেই  মনে  হয় গাছটি  যেন  দুহাত  তুলে  ভূতের  মতো  নাচ  শুরু  করেছে। আবার  যখন  সন্ধ্যার  পর  রাতের  আকাশে  চাঁদের  আলো  ছড়িয়ে পড়ে  তখন  গাছের  আকৃতি  অনেকটা  ভালুকের  মতো  হয়।  ভালুক  যেন  ঘাড়  ফুলিয়ে  রেখে  গড়গড়  করছে। যখন  গাছের  মাথায়  বৃষ্টি  পড়ত তখন  গাছের  পাতা  এমনভাবে  কাপত  যেনো  মনে  হতো  গাছের  কম্প  দিয়ে  জ্বর  এসেছে।  আসলে  কবি  তার  কল্পনায় একটি  গাছকে  বিভিন্ন  সময়  পর্যবেক্ষণ  করেছেন  সকালের  সোনাঝরা  রোদ,  রাতের  অন্ধকার,  পূর্ণিমার  আলো  আর  বর্ষার পর  বৃষ্টি  এভাবেই  একটি  গাছকে  বিভিন্ন  সময়  বিভিন্নভাবে  তিনি  দেখেছেন।  সেইদিক  থেকে  কবিতাটির  নামকরণ সুনির্বাচিত  এবং  তাৎপর্যপূর্ণ। মায়াজাল যেমন মানুষের চোখে ধাঁধা লাগিয়ে দেয়, তেমনই গাছটির এই ক্ষনে ক্ষনে রুপ বদল যেন কোনো মায়াজালেরি প্রভাব।

 ‘ এই তো সুবুদ্ধি হয়েছে তোমার’ –বক্তা কেকাকে একথা বলেছেকিভাবে তাঁর সুবুদ্ধি হয়েছে?

উ:  বীরু  চট্টোপাধ্যায়ের  ” ফণীমনসা  ও  বনের  পরি”  নামক  নাটকে  প্রশ্নে  উদ্ধৃত  অংশটুকু নেওয়া হয়েছে।এখানে বনের পরী হল বক্তা। তিনি ফণীমনসাকে এই কথা বলেছিলেন।

 ফণীমনসা তার রুপ বা চেহারা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। তাই বনের পরীর কাছে সে কখনো চেয়েছে সোনার  পাতা  তো  কখনো  কাচের  পাতা এবং সবশেষে পালং শাকের মত কচি সবুজ পাতা। বনের পরীও তার ইচ্ছাপুরণ করেছিলেন।কিন্তু  এই  সব  পাতাগুলোই  ফণীমনসা  হারিয়েছিল,  কোনো  টা  ডাকাত  দলের  কাছে আবার  কোনো  টা ঝড়ে তো  কোনটা  আবার  ছাগলের  কাছে।  এভাবে  বিভিন্ন  রকমের  পাতা  পেয়েও  ফণীমনসা  যখন  তা হারিয়ে  ফেলে  তখন  শেষ  পর্যন্ত  সে  নিজের  জন্মগত  কাটাভরা  ছুঁচোলো  পাতাই  ছেয়েছিল  বনের  পরির  কাছে। নিজের শারীরিক বৈশিষ্টের মর্যাদা যে ফণীমনসা বুজতে পেরেছিল তা দেখেই বনের পরী এই মন্তব্য করেছিল।

 ‘তারি সঙ্গে মনে পুরে ছেলেবেলার গান’ কেমন দিনে কথকের ছেলেবেলার কোন গানটি মনে পড়ে?

উঃ বিশ্ব  কবি  রবীন্দ্রনাথ  ঠাকুরের  ‘বৃষ্টি  পড়ে  টাপুর  টুপুর’  কবিতা  অনুসারে  বৃষ্টির  দিনে  কথকের  ছেলেবেলার  যে  গানটি মনে  পড়ে  সেটি  হল  “বৃষ্টি  পড়ে  টাপুর  টুপুর,  নদেয়  এলো  বান”

 ‘ বোকা কুমিরের কথা ‘ গল্পে কুমিরের বোকামির পরিচয় কিভাবে ফুটে উঠেছে?

উঃ একবার  শিয়াল  আর  কুমির  আলুর  চাষ  করার  সিদ্ধান্ত  নেয়। এরপর  যখন  আলু  হয় তখন  কুমির  শিয়ালকে  ঠকাবার  জন্য  গাছের  আগার  দিক  নিতে  চাইল  আর  শিয়ালকে  গোড়ার  দিকে  দিতে  চাইল।অতি চালাক কুমির জানত না যে আলুর ফসল মাটির নিচে হয়। কুমিরের  এই  বোকামির  পরিচয়  আলু  চাষে  প্রথম  দেখা  যায়।  এরপর  যখন  ধান  চাষ  করল,  কুমির  এবার  গোড়ার  দিক নিতে  চাইল  আর  আগার  দিকটা  শিয়ালকে  দিতে  চাইল।  সে  ভেবেছিল আলুর মত ধানও মাটির নিচে হয় এবং সে মাটি  খুঁড়ে  সব  ধান  বের  করে  নেবে।  এর  থেকে দ্বিতীয়বার  তার  বোকামির  পরিচয়  পাওয়া  যায়।  তারপর  যখন  আখের  চাষ  করল, এবার  কিছুতেই  ঠকা  যাবে  না  এই  ভেবে কুমির  আগেভাগেই  গাছের  আগার  দিকটা  কেটে  বাড়ি  নিয়ে  যায়। কুমিরের  এইসব  বোকামির  কথা  গল্পে  পাওয়া  যায়।

Comments

Popular posts from this blog

Class X all Writing Pragraph,Report,Summary,Notice,Biography,Story,Process Writing,Diologue,Letter

অন্তবর্তী প্রস্তুতিকালীন মূল্যায়ন জীবন বিজ্ঞান কোষ বিভাজন

হীরক ও গ্রাফাইট গঠনের তুলনা করো?