মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 2021 ক্লাস 7 বাংলা পার্ট 5 (Model Activity Task 2021 Class 7 Bengali Part 5)

 


শ্রেণীঃ সপ্তম শ্রেণি

নীচের প্রশ্নগুলি উত্তর দাও:

১. ‘তুমি কেন এত তাড়াতাড়ি করছাে?’ – এর উত্তরে পৃথিবী লেখককে কী জানিয়েছিল?

উত্তরঃ শিবতোষ মুখোপাধ্যায় রচিত কার দৌড় কদ্দুর রচনায় লেখক পৃথিবীকে প্রশ্ন করেন তুমি কেন এত তাড়াতাড়ি করছ? এর উত্তরে পৃথিবী দখিনা হাওয়ার মুখ দিয়ে বলেছেন – থামা মানে জীবন শেষ। তাই যতদিন আছে দাঁড়িয়ে পড়লে চলবে না, শাশ্বত সত্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার গতি বন্ধ করলেও চলবে না।

২. ‘এই দেখাে ভরা সব কিলবিল লেখাতে।’ – বক্তার নােটবুকের কিলবিল লেখাতে কোন্ কোন্ প্রসঙ্গ রয়েছে?

উত্তরঃ বাংলা শিশু ও কিশোর সাহিত্যের অন্যতম স্রষ্টা সুকুমার রায়ের লেখা ‘নোটবই’ কবিতায় কবি ভালো কথা শুনেই তা চটপট নোটবুকে লিখে নেন। তার নোটবইয়ের কিলবিল লেখাগুলিতে যে প্রসঙ্গ গুলি রয়েছে তা হলো ফড়িংয়ের কয়টি ঠ্যাং?, আরশোলা কি কি খায়?, আঙ্গুলেতে আঠা দিলে কেন চটচট করে এবং গরুকে কাতুকুতু দিলে কেন ছটফট করে। 

৩. ‘পুরন্দর চৌধুরী দারুণ খুশি হয়ে উঠেছিলেন।’ - তিনি দারুণ খুশি হয়ে উঠেছিলেন কেন?

উত্তরঃ মেঘ চুরি আইন বন্ধ করার জন্য বোস্টন শহরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের এক আলোচনা সভায় যোগ দিতে আসেন বিখ্যাত বিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরী। সেই সভায় কারপভ নামে এক বৃষ্টি বিজ্ঞানী পুরন্দর চৌধুরীকে মেঘ চোর বললে তিনি উত্তেজনায় অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে জ্ঞান ফিরলে দেখেন একটি সুন্দরী মেয়ে তার সেবা-শুশ্রূষা করছেন। পরে জানতে পারেন যে সেই মেয়েটি তার হারিয়ে যাওয়া ভাইয়ের কন্যা অসীমা। বিদেশে এসে এমন ভাবে একজন রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়কে খুঁজে পেয়ে পুরন্দর চৌধুরী দারুণ খুশি হয়ে উঠেছিল

৪. ‘একদিন ঘটেছিলাে একটি ঘটনা।’ — সেই ঘটনার বিবরণ রামকুমার চট্টোপাধ্যায় ‘কাজী নজরুলের গান’ শীর্ষক রচনাংশে কীভাবে উপস্থাপিত করেছেন?

ত্তরঃ এখানে রামকুমার চট্টোপাধ্যায় তাঁর ছোটবেলাকার এক ঘটনার কথা বলেছেন। একদিন স্কুলে যাবার পথে একটি জমায়েত দেখে কৌতূহলবশত কি হয়েছে জানতে গিয়ে তিনি শুনতে পান যে সেখানে নেতাজি বক্তৃতা দেবেন। আর কাজী নজরুল ইসলামও সেখানে উপস্থিত থাকবেন। এই দুই প্রিয় মানুষকে কাছ থেকে দেখার লোভ তিনি ছাড়তে পারলেন না। লেখক সেইদিন আর স্কুলে না গিয়ে সেইখানেই দাঁড়িয়ে পড়ে ছিলেন। নজরুল গান গাইলেন এবং নেতাজি বক্তৃতা দিলেন। নজরুলের গান শুনে সকলেই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই দিনের সেই গান বক্তৃতা শুনে লেখক তার উত্তেজনাকে সামাল দেওয়ার জন্য বাড়ি ফিরে তার প্রিয় তবলার বোলে ডুবে গিয়েছিলেন। জীবনে প্রথমবার নজরুলকে দেখার ঘটনা অমূল্য হয়ে রয়েছে। 

৫. ‘মূঢ় ওরা, ব্যর্থ মনস্কাম!’ —“স্মৃতিচিহ্ন” কবিতায় কবি কাদের, কেন ‘মূঢ়’ এবং ‘ব্যর্থ মনস্কাম’ বলেছেন?

উত্তরঃ উনবিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ মহিলা কবি কামিনী রায়ের লেখা স্মৃতিচিহ্ন কবিতায় যারা ভেবেছিল তাদের নাম বিশাল অক্ষরে ইট-পাথরের সৌধের এর মধ্যে চিরদিনের জন্য লেখা থাকবে তাদেরকেই কবি মূঢ় এবং ব্যার্থ মনস্কাম বলেছেন। 

সমাজে একদল লোভী ও আত্মস্বার্থসর্বস্ব  মানুষ নিজেদের নাম কে চিরকাল ব্যাপী স্বর্নাক্ষরে খোদাই করে রাখতে চায়। অপরের মঙ্গল এর কথা চিন্তা করে না। এরা কেবল নিজেদের নামের আকাঙ্ক্ষা করে বলে কবি তাদের মূঢ় বলেছেন। আর এরা মূঢ়েরা নিজেদের নামকে অক্ষুন্ন রাখতে ইট কাঠ পাথরের স্মৃতিসৌধে নাম খোদাই করে রেখেছিল।কিন্তু মহাকালের অমোঘ নিয়মে তা ভগ্নস্তূপে পরিণত হয়েছে। তাই বলা হয়েছে তাদের মনস্কাম ব্যর্থ।

৬. ‘ঠাকুমা গল্প শােনায় যে নাতনিকে’ – ঠাকুমা তার নাতনিকে কোন্ গল্প শােনান?

উত্তরঃ উদ্ধৃত কবিতাংশটি গৃহীত হয়েছে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের প্রণীত ‘চিরদিনের’ কবিতা থেকে। ১৩৫০ সালে দুর্ভিক্ষের দিন মানুষের কি অসহায় অবস্থা হয়েছিল সেই গল্পের কথা বলা হয়েছে। দুর্ভিক্ষের পর আবার নতুন করে বেঁচে থাকার প্রচেষ্টা শুরু হয়। চারিদিকে দেখা যায় প্রাণের স্পন্দন। সকাল ঘোষিত হয় পাখির ডাকে। কামার, কুমোর, তাঁতী একসঙ্গে কাজ করে। সারাটা দুপুর চাষি জমিতে পড়ে থাকে। কৃষক-বধূ জল আনতে গিয়ে থমকে দাঁড়ায় পথে। তার চোখে পড়ে  ফসলে সূবর্ণযুগ আসছে।

✔ 

৭. ‘কলকাতা শহরটা আমি মােটেই পছন্দ করিনে’ পত্রলেখক তার কলকাতা শহরকে অপছন্দের কোন্ যুক্তি দিয়েছেন?

উত্তরঃ উদ্ধৃত কবিতাংশটি গৃহীত হয়েছে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা “ভানুসিংহের পত্রাবলী” কবিতাটি থেকে। 

কবির চোখে কলকাতা শহর টা হল ইট কাঠ পাথরের কংক্রিট। আকাশটা সব সময় ধোঁয়ার মেঘে ঢাকা। কলকাতার বর্ষার মধ্যে কোনো নতুনত্ব নেই। সেখানে সবকিছু একঘেয়েমি। তাই কবি কলকাতা শহরকে পছন্দ করে না।

Comments

Popular posts from this blog

অন্তবর্তী প্রস্তুতিকালীন মূল্যায়ন জীবন বিজ্ঞান কোষ বিভাজন

শ্রীগোপীনাথ জিউ মন্দির, অগ্রদ্বীপ, পূর্ব বর্ধমান

বাংলার উৎসব , একটি পথের আত্মকথা প্রবন্ধ রচনা Class X