দশম শ্রেণী জীবন বিজ্ঞান সাজেশন – WBBSE Class 10th Life Science Suggestion – জীবনের প্রবাহমানতা
দশম শ্রেণী জীবন বিজ্ঞান সাজেশন – WBBSE Class 10th Life Science Suggestion – জীবনের প্রবাহমানতা – প্রশ্ন উত্তর দেওয়া হল নিচে। এই WBBSE Class 10th (X) Madhyamik Life Science Suggestion – মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান সাজেশন – জীবনের প্রবাহমানতা – প্রশ্ন উত্তর গুলি আগামী সালের পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার জন্য খুব ইম্পর্টেন্ট। আপনারা যারা মাধ্যমিক দশম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান পরীক্ষার সাজেশন খুঁজে চলেছেন, তারা নিচে দেওয়া প্রশ্নপত্র ভালো করে পড়তে পারেন। এই পরীক্ষা তে কোশ্চেন গুলো আসার সম্ভাবনা খুব বেশি।
Telegram Link
YouTube Link
জীবনের প্রবাহমানতা – অতিসংক্ষিপ্ত, সংক্ষিপ্ত, রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর (MCQ, SAQ, Short, Descriptive Question and Answer) | মাধ্যমিক দশম শ্রেণী জীবন বিজ্ঞান সাজেশন – WBBSE Class 10th Madhyamik Life Science Suggestion
দশম শ্রেণী জীবন বিজ্ঞান | জীবনের প্রবাহমানতা – বিকল্পভিত্তিক প্রশ্নোত্তর [MCQ] : [প্রতিটি প্রশ্নের মান-1]
1. মানুষের প্রতিটি দেহকোশে অটোজোমের সংখ্যা –
[A] 46টি [B] 44টি [C] 23টি [D] 22টি
[B] 44টি
2. নিম্নলিখিত কোন্ নাইট্রোজেন বেসটি DNA-তে থাকে কিন্তু RNA-তে থাকে না —
[A] গুয়ানিন [B] অ্যাডিনিন [C] থাইমিন [D] ইউরাসিল
[C] থাইমিন
3. নিম্নলিখিত কোন্ জীবে অ্যামাইটোসিস ঘটে?
[A] হাইড্রা [B] মানুষ [C] অ্যামিবা [D] ফার্ন
[C] অ্যামিবা
4. কচুরিপানার অঙ্গজ জননে সাহায্যকারী অঙ্গটি হল—
[A] ধারক [B] রসালাে মূল [C] খর্ব ধারক [D] পত্ৰজ মুকুল
[C] খর্ব ধারক
5. মানুষের জনন কোশে অটোজোমের ও অ্যালােজোমের সংখ্যা যথাক্রমে-
[A] 44, 1 [B] 22, 2 [C] 22, 1 [D] 44, 2
[C] 22, 1
6. কোন্ ক্রোমােজোম মানুষের দেহে পুরুষের বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটায়?
[A] XX [B] Y [C] XY [D] XXY
[B] Y
7. মাইটোসিস কোষ বিভাজনের কোন্ দশায় নিউক্লীয় পর্দার পুনরাবির্ভাব ঘটে ?
[A] টেলােফেজ [B] মেটাফেজ [C] প্রফেজ [D] অ্যানাফেজ
[A] টেলােফেজ
8. মাইটোসিস কোশ বিভাজনকে বলে—
[A] সমবিভাজন [B] হ্রাস বিভাজন [C] বিষম বিভাজন [D] সবকটি
[A] সমবিভাজন
9. কোন্ দশায় ক্রোমােজোমগুলি বেমের বিষুব অঞ্চলে অবস্থান করে ?
[A] প্রফেজ [B] মেটাফেজ [C] অ্যানাফেজ [D] টেলােফেজ
[B] মেটাফেজ
10. কোরকোগমের মাধ্যমে বংশবিস্তারকারী ছত্রাক
[A] হাইড্রা [B] ইস্ট [C] স্পঞ্জ [D] পেনিসিলিয়াম
[B] ইস্ট
11. পুংগ্যামেট ও স্ত্রী গ্যামেটের মিলনকে বলে—
[A] সংযুক্তি [B] অযৌন জনন [B] নিষেক [D] অঙ্গজ জনন
[B] নিষেক
12. অযৌন জননের একক হল—
[A] রেণু [B] গ্যামেট [C] জাইগােট [D] কোনােটিই নয়
[A] রেণু
13. দ্বি-বিভাজন দেখা যায়—
[A] তারা মাছ [B]অ্যামিবা [C] ব্যাঙ [D] সবকটিতে
[B] অ্যামিবা
14. আদর্শ ফুলের চারটি স্তবকের সজ্জাক্রম হল—
[A] দলমণ্ডল, বৃতি, পুংস্তবক, স্ত্রীস্তবক [B] পুংস্তবক, স্ত্রীস্তবক, দলমণ্ডল, বৃতি [C] বৃতি, দলমণ্ডল, পুংস্তবক, স্ত্রীস্তবক [D] বৃতি, দলমণ্ডল, স্ত্রীস্তবক, পুংস্তবক
[C] বৃতি, দলমণ্ডল, পুংস্তবক, স্ত্রীস্তবক
15. অতি দ্রুতহারে সংঘটিত বৃদ্ধির সময়কালকে বলে—
[A] হ্রাস দশা [B] লগ দশা [C] ল্যাগ দশা [D] স্থির দশা
[B] লগ দশা
16. জাইগােট বিভাজিত হয়ে ফাঁপা একস্তর কলাযুক্ত বলের মতাে যে গঠন _______________ তৈর করে তাকে বলা হয়—
[A] মরুলা [B] ব্লাস্টুলা [C] ভুণ [D] গ্যাস্ট্রলা
[B] ব্লাস্টুলা
17. অ্যাডিনিন ও থাইমিনের মধ্যে হাইড্রোজেন বন্ধনীর সংখ্যা।
[A]2টি [B] 3টি [C] 4টি [C] 5টি
[A] 2টি
18. বংশগতির ধারক ও বাহক বলা হয়—
[A] মাইটোকনড্রিয়া [B] লাইসােজোম [C] ক্রোমাটিড [C] ক্রোমােজোম
[C] ক্রোমােজোমি
19. কোন্ কোশে কোশ বিভাজন সম্পন্ন হয় না?
[A] জনন মাতৃকোশ [B] দেহকোশ [C]স্তন্যপায়ীর স্নায়ুকোশ [D] উদ্ভিদকোশ
[C] স্তন্যপায়ীর স্নায়ুকোশ
20. মানুষের জাইগােটে ক্রোমােজোম সংখ্যা—
[A]22 জোড়া [B] 22টি [C] 23টি [D] 23 জোড়া
[A]22 জোড়া
21. পুরুষ ও স্ত্রীর গৌণ যৌন লক্ষণগুলি প্রকাশ পায়—
[A] শৈশবে [B] বয়ঃসন্ধিকালে [C] পরিণত বয়সে [D] বার্ধক্যে কালে
[B] বয়ঃসন্ধিকালে
দশম শ্রেণী জীবন বিজ্ঞান | জীবনের প্রবাহমানতা – শূন্যস্থান প্রশ্নোত্তর : [প্রতিটি প্রশ্নের মান-1]
1. মানুষের দেহকোষে ক্রোমজোম সংখ্যা ___________।
46টি
2. মানুষের জননকোশে ক্রোমােজোমের সংখ্যা –
23টি
3. ___________ কোশ বিভাজনে বেমতত্ত্ব গঠিত হয় না।
অ্যামাইটোসিস
4. প্রতিটি ক্রোমােজোমে মুখ্য খাঁজের অবস্থান –
নির্দিষ্ট
5. _________হল সবচেয়ে উন্নত যৌন জনন পদ্ধতি।
উগ্যামী
6. সপুষ্পক উদ্ভিদের জনন অঙ্গ হল _________
ফুল
7. ফুল হল উদ্ভিদের __________ বিটপ।
পরিবর্তীত
8. যে সব ফুলের বায়ু মাধ্যমে পরাগযােগ ঘটে তাদের ___________ বলে।
বায়ুপরাগী
9. পুরুষদেহের ____________ হরমােনের ক্রিয়ায় দেহের যৌন লক্ষণ প্রকাশ পায়।
টেস্টোস্টেরন
10. পিটুইটারির নিসৃত হরমােনগুলির সক্রিয়তা বৃদ্ধি পায় – দশায়।
বয়ঃসন্ধিকাল
11. _______________ ডিম্বাশয়ে, উৎপন্ন হয়।
ডিম্বক
12. বৃদ্ধিতে প্রােটোপ্লাজমের ______________ বাড়ে।
শুষ্ক ওজন
13. আমফুল – পরাগী ফুল।
উত্তর :
14. কলম-এর সাহায্যে উদ্ভিদের জনন হল _____________ জনন।
কৃত্রিম অঙ্গজ
15. দেহের ক্ষতিগ্রস্ত স্থানপূরণে ____________ বিভাজন সাহায্য করে।
সাইটোসিস
দশম শ্রেণী জীবন বিজ্ঞান | জীবনের প্রবাহমানতা – সত্য-মিথ্যা প্রশ্নোত্তর : [প্রতিটি প্রশ্নের মান-1]
1. অপুংজনির মাধ্যমে কেবল স্ত্রী প্রাণী গঠিত হয়
উত্তর : মিথ্যা
2. নিউক্লিক অ্যাসিড হল নিউক্লিওটাইডের পলিমার।
উত্তর : সত্য
3. ক্রোমােজোম নিউক্লিয় জালিকা থেকে সৃষ্টি হয়।
উত্তর : সত্য
4. প্রাণীকোশের স্পিণ্ডিলকে বলা হয় অ্যাস্ট্রালম্পিন্ডিল।
উত্তর : সত্য
5. সপুষ্পক উদ্ভিদের সস্য নিউক্লিয়াস ট্ৰিপ্লায়েড প্রকৃতির।
উত্তর : সত্য
6. ইতরপরাগযােগে বাহকের দরকার হয় না।
উত্তর : মিথ্যা
7. স্যাটেলাইট যুক্ত ক্রোমােজোমকে স্যাট ক্রোমােজোম বলে।
উত্তর : সত্য
8. এককোশী জাইগােট আয়তন বৃদ্ধির মাধ্যমে ভূণ গঠন করে।
উত্তর : মিথ্যা
বাম স্তম্ভের সাথে ডান স্তম্ভের সমতা বিধান : প্রতিটি প্রশ্নের মান-1]
বাম স্তম্ভ ডান স্তম্ভ
1. দেহকোশের বিভাজন A. পুষ্পপুটের একক
2. বুলবিল B. নিয়ত
3. টেপাল c. অ্যামাইটোসিস
4. প্রত্যেক জীবের একটি মুখ্য বৈশিষ্ট্য D. চুপড়ি আলুর অঙ্গজ জনন
5. প্রাণীদেহে বৃদ্ধি E. মাইটোসিস
F. বৃদ্ধি
উত্তর : 1 .- [C] 2. – [D] 3. – [A] 4. – [F] 5. – [B]
বাম স্তম্ভ ডান স্তম্ভ
1. নিউক্লিয়াস বিভাজন A. উদ্ভিদের
2. রসালাে মূল B. উদ্ভিদের অঙ্গজ জনন সাহায্য করে
3. ফুলের তৃতীয় স্তবক c. জোড় কলম
4. স্টক ও সিয়ন D. ক্যারিওকাইনেসিস
5. আমরণ বৃদ্ধি ঘটে E. ভঙ্গুর
F. পুংস্তবক
1. – [D] 3. – [F] 4. – [C] 5. – [A]
দশম শ্রেণী জীবন বিজ্ঞান | জীবনের প্রবাহমানতা – অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর : [প্রতিটি প্রশ্নের মান-1]
1. DNA-এর সম্পূর্ণ নাম লেখাে।
উত্তর : DNA-এর সম্পূর্ণ নাম হল ডি-অক্সিরাইবাে নিউক্লিক অ্যাসিড
2. কোন্ বিজ্ঞানী ‘জিন’ নামকরণ করেন ?
উত্তর : বিজ্ঞানী জোহানসেন ‘জিন’ নামকরণ করেন
3. উদ্ভিদের সস্য নিউক্লিয়াসে কয়টি ক্রোমােজোম সেট থাকে?
উত্তর : তিনটি (ট্রিপ্লয়েড, 3n) ক্রোমােজোম সেট উদ্ভিদের সস্য নিউক্লিয়াসে থাকে।
4. মানুষের দেহে অটোজোমের সংখ্যা কটি ?
উত্তর : মানুষের দেহে অটোজোমের সংখ্যা হল 22 জোড়া (44টি)।
5. মানুষের সেক্স ক্রোমােজোমের সংখ্যা কত?
উত্তর : মানুষের সেক্স ক্রোমােজামের সংখ্যা হল 2টি।
6. কোন্ প্রকার কোশ বিভাজনে ‘বেম’ বা ‘স্পিন্ডল’ গঠিত হয় না?
উত্তর : অ্যামাইটোসিস কোশ বিভাজনেবেম’ বা ‘স্পিন্ডল’ গঠিত হয় না।
7. প্রাণীকোশের বিভাজন মাকুর মেরু সৃষ্টিতে কোন্ কোশ অঙ্গাণু অংশগ্রহণ করে?
উত্তর : প্রাণীকোশের বিভাজন মাকুর সৃষ্টিতে সেন্ট্রোজোম অংশগ্রহণ করে।
৪. মাইটোসিসের কোন্ দশায় নিউক্লিও পর্দা ও নিউক্লিওলাস অবলুপ্ত হয় ?
উত্তর : মাইটোসিসের প্রফেজ দশায় নিউক্লিও পর্দা ও নিউক্লিওলাস অবলুপ্ত হয়।
9. মিয়ােসিস কোশ বিভাজনে নন-সিস্টার ক্রোমাটিডের মধ্যে খণ্ডাংশের বিনিময়কে কী বলে?
উত্তর : মিয়ােসিস কোষ বিভাজনে নন-সিস্টার ক্রোমাটিডের মধ্যে খণ্ড্যাংশের বিনিময়কে ক্রসিং ওভার বলে।।
10. একই ক্রোমােজোমের দুটি ক্রোমাটিডকে কী বলে?
উত্তর : সিস্টার ক্রোমাটিড বলে।
11. কোশ বিভাজনের মেটাফেজ দশায় ক্রোমােজোমগুলি কোশের কোন্ অঞলে সজ্জিত থাকে?
উত্তর : কোশ বিভাজনের মেটাফেজ দশায় ক্রোমােজোমগুলি কোশের বিষুব অঞ্চলে সজ্জিত থাকে।
12. কোশ বিভাজনের কোন্ জাতীয় বিভাজনের সময় সেলপ্লেট’ বা ‘কোশপাত’ গঠিত হয়?
উত্তর : কোশ বিভাজনের সাইটোকাইনেসিসের সময় ‘সেলপ্লেট’ বা ‘কোশপাত’ গঠিত হয়।
13. বিকাশ কী ধরনের পরিবর্তন?
উত্তর : বিকাশ হল পরিমানগত ও গুণগত পরিবর্তন।
14. স্নায়ুকোশ বিভাজিত হয় না কেন?
উত্তর : স্নায়ুকোশের সেন্ট্রোজোম নিষ্ক্রিয় প্রকৃতির হওয়ায় স্নায়ুকোশ বিভাজিত হয় না।
15. একটি ট্রিপ্লয়েড কোশের উদাহরণ দাও।
উত্তর : গুপ্তবীজী উদ্ভিদের সস্য নিউক্লিয়াস (3n)।
16. কোন্ দশায় ক্রোমােজোমগুলি বেমের দুটি বিপরীত মেরুর দিকে গমন করে?
উত্তর : অ্যানাফেজ দশায় ক্রোমােজোমগুলি বেমের দুটি বিপরীত মেরুর দিকে গমন করে।
17. পুনরুৎপাদনের মাধ্যমে কোন্ কোন্ প্রাণীর জনন সম্পন্ন হয়?
উত্তর : হাইড্রা, প্ল্যানেরিয়া ইত্যাদি প্রাণীর পুনরুৎপাদনের মাধ্যমে জনন সম্পন্ন হয়।
18. অ্যামিবা কোন্ পদ্ধতিতে বংশবিস্তার সম্পন্ন করে ?
উত্তর : দ্বিবিভাজন পদ্ধতিতে অ্যামিবা বংশবিস্তার সম্পন্ন করে।
19. কোন্ কোন্ প্রাণী অযৌন জননপদ্ধতিতে বংশবিস্তার করে?
উত্তর : ফিতাকৃমি, হাইড্রা ইত্যাদি প্রাণী অযৌন জনন পদ্ধতিতে বংশবিস্তার সম্পন্ন করে।
20. কনজুগেশন পদ্ধতিতে কোন্ উদ্ভিদ যৌন জনন সম্পন্ন করে ?
উত্তর : স্পাইরােগাইরা নামক উদ্ভিদ কনজুগেশন পদ্ধতিতে যৌন জনন সম্পন্ন করে।
21. চলরেণু কোথায় দেখা যায়?
উত্তর : ইউলােথ্রিক্স-এ দেখা যায়।
22. অচলরেণু কোথায় দেখা যায় ?
উত্তর : মিউকর-এ দেখা যায়।
23. পতঙ্গপরাগী ফুল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর : পরাগরেণু বিভিন্ন পতঙ্গ দ্বারা বাহিত হয়ে পরাগযােগ ঘটায়। এই ধরনের ফুলকে পতঙ্গপরাগী ফুল বলে। যেমন—আম।
দশম শ্রেণী জীবন বিজ্ঞান | জীবনের প্রবাহমানতা – সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর : [প্রতিটি প্রশ্নের মান-2]
1. সেন্ট্রোমিয়ারের দুটি কাজ লেখাে।
উত্তর : (i) ক্রোমােজোমের দুটি সিস্টার ক্রোমাটিডকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত রাখে। (ii) কোশ বিভাজনের সময় ক্রোমােজোমগুলিকে বেম তন্তুর সাথে যুক্ত করে।
2. NOR অলটি কোথায় দেখা যায় ? এর কাজ কী?
উত্তর : NOR (Nucleolar Organizing Region) ক্রোমােজোমের গৌণ খাঁজ-| অংশে দেখা যায়। NOR অংশে কোশ বিভাজনের টেলােফেজ দশায় নিউক্লিওলাম পুনর্গঠিত হয়।
3. কাইনেটোকোর কাকে বলে? এর কাজ লেখাে।
উত্তর : ক্রোমােজোমের মুখ্য খাঁজে সেন্ট্রোমিয়ারের উভয় পাশে প্রােটিন নির্মিত যে চাকতির মতাে অংশ থাকে, তাকে কাইনেটোকোর বলে। কাজ—কোশ বিভাজনের মেটাফেজ দশায় ক্রোমােজোম কাইনেটোকোরের সাহায্যে বেমতন্তুর সঙ্গে যুক্ত হয়।
4. মিয়ােসিস কোথায় ঘটে?
উত্তর : উদ্ভিদদেহে : রেণু মাতৃকোশ এবং নিম্নশ্রেণির লিঙ্গধর উদ্ভিদের জাইগােটে। প্রাণীদেহে : জনন মাতৃকোশ (স্পার্মাটোগােনিয়াম ও উগােনিয়াম)।
5. সাইন্যাপসিস কী?
উত্তর : মিয়ােসিস-I-এর প্রথম প্রােফেজের জাইগােটিন উপদশায় সমসংস্থ ক্রোমােজোম দুটি (একটি পিতৃ ও একটি মাতৃ ক্রোমােজোম) পাশাপাশি এসে জোড় বাঁধে। পারস্পরিক আকর্ষণের প্রভাবে এই জোড় বাঁধার ঘটনাকে স্যাইন্যাপসিস বলে।
6. সপুষ্পক উদ্ভিদের কোন অংশে মিয়ােসিস ঘটে ?
উত্তর : সপুষ্পক উদ্ভিদের পরাগধানীতে পুংরেণু মাতৃকোশে এবং ডিম্বকে স্ত্রীরেণু মাতৃকোশে মিয়ােসিস ঘটে।
7. অযৌন জনন কাকে বলে?
উত্তর : যে জনন প্রক্রিয়ায় গ্যামেট উৎপাদন ছাড়াই দেহকোশের মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে বা রেণু সৃষ্টির সাহায্যে অপত্য জীব তৈরি হয়, তাকে অযৌন জনন বলে।
৪. গেমা কী? কোন্ জাতীয় জীবে দেখা যায় ?
উত্তর : নিম্নশ্রেণির অপুষ্পক উদ্ভিদে থ্যালাস দেহে উৎপন্ন বিশেষ ধরনের অঙ্গজ জনন অঙ্গকে গেমা বলে। Marchentia sp. এই ফার্নের বেশির ভাগ প্রজাতিতে গেমা দেখা যায়।
9. স্টক ও সিয়ন কী?
উত্তর : কৃত্রিম অঙ্গজ জনন পদ্ধতিতে জোড় কলমের জন্য অনুন্নত প্রকৃতির রােগ প্রতিরােধ ক্ষমতাযুক্ত, মূলসহ যে চারাগাছ নির্বাচিত করা হয়, তাকে স্টক বলা হয় এবং উন্নত বৈশিষ্ট্যযুক্ত যে উদ্ভিদের শাখা বা মুকুল নির্বাচন করা হয় তাকে সিনয় বলে।
10. “দুটি জীবের মধ্যে জোড় কলমে উন্নত গুণমানের উদ্ভিদ সৃষ্টি হয়, জোড় কলম তথাপি অঙ্গজ জনন”—ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর : জোড় কলম পদ্ধতিতে একই প্রজাতিভুক্ত দুটি উদ্ভিদ অংশের মিলনের মাধ্যমে ঘটে কিন্তু উন্নত জীবের ক্ষেত্রে যৌন জনন পদ্ধতিতে দুটি ভিন্নধর্মী গ্যামেটের মিলন ঘটে। জোড় কলম-এর ক্ষেত্রে অপত্য উদ্ভিদে প্রকাশিত বৈশিষ্ট্য প্রকৃত অর্থে মাতৃ উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য। এক্ষেত্রে নতুন কোনাে বৈশিষ্ট্য তৈরি হয় না। সুতরাং জোড় কলম একপ্রকার অঙ্গজ জনন পদ্ধতি।
11. ডিপ্লোবায়ােন্টিক জনুক্রম বলতে কী বােঝাে?
উত্তর : যে জনুক্রমে হ্যাপ্লয়েড লিঙ্গধর ও ডিপ্লয়েড রেণুধর জনু দুটিই প্রায় সমান গুরুত্বপূর্ণ তাকে ডিপ্লোবায়ােন্টিক জনুক্রম বলে। উদাহরণ—এক্টোকারপাস, ড্রায়ােপটেরিস প্রভৃতি উদ্ভিদে ডিপ্লোবায়ােন্টিক জনুক্রম দেখা যায়।
12. একলিঙ্গ ফুল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর : যে ফুলে পুংস্তবক ও স্ত্রী স্তবকের মধ্যে যে কোনাে একটি উপস্থিত থাকে, তাকে একলিঙ্গ ফুল বলে। একলিঙ্গ ফুল কেবলমাত্র পুংস্তবক যুক্ত হলে তাকে পুরুষ ফুল ও স্ত্রীস্তবকযুক্ত হলে তাকে স্ত্রী ফুল বলে। উদাহরণ—লাউ, কুমড়াে, পেঁপে ইত্যাদি।
13. উভলিঙ্গ ফুল কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
উত্তর : যে ফুলে পুংস্তবক ও স্ত্রী স্তবক উভয়েই উপস্থিত থাকে তাকে উভলিঙ্গ ফুল বলে। উদাহরণ—জবা, ধুতুরা প্রভৃতি ফুল।।
14. পুষ্পপুট বা পেরিয়ান্থ কাকে বলে?
উত্তর : কোনাে কোনাে ফুলের বৃতি ও দলমণ্ডল মিলিতভাবে যে বিশেষ স্তবক গঠন করে তাকে পুষ্পপুট বা পেরিয়ান্থ বলে। পুষ্পপুট দুই প্রকার—(i) বৃতিসদৃশ : উদাহরণ—সুপারি, নারকেল।। (ii) দলসদৃশ : উদাহরণ—কলাবতী, লিলি, রজনিগন্ধা প্রভৃতি।
15. পাখির দ্বারা পরাগসংযােগের জন্য ফুলের দুটি কৌশল উল্লেখ করাে।
উত্তর : অরনিথােফিলি পরাগসংযােগের জন্য ফুলের দুটি কৌশল(i) ফুলগুলি বৃহৎ আকৃতির, উজ্জ্বল বর্ণযুক্ত ও মকরন্দযুক্ত হয়। (ii) ফুল গন্ধহীন হয়, দলমণ্ডল সাধারণত নলাকৃতি গঠন ধারণ করে এবং পুষ্পস্তবকগুলি শক্ত চামড়ার মতাে হয়।
16. দ্বিনিষেক বলতে কী বােঝাে?
উত্তর : গুপ্তবীজী উদ্ভিদে একটি পুংগ্যামেট (n) দ্বারা ডিম্বাণুর (n) এবং অপর পুংগ্যামেট (n) দ্বারা নির্ণীত নিউক্লিয়াসের (2n) নিষিক্তকরণকে ছিনিষেক বলে।
17. স্বপরাগযােগ বলিতে কী বােঝাে? উদাহরণ দাও।
উত্তর : যখন একটি ফুলের পরাগধানীতে উৎপন্ন পরাগ রেণু সেই ফুলের গর্ভমুণ্ডে বা একই উদ্ভিদের অন্য ফুলের গর্ভমুণ্ডে পতিত হয়ে পরাগ যােগ ঘটায়, তখন তাকে স্বপরাগযােগ বলে। সাধারণত উভলিঙ্গ ফুলে স্বপরাগ যােগ হয়। যেমন—জবা।।
18. জীবদেহের বৃদ্ধির হারগুলিকে কতভাগে ভাগ করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর : জীবদেহের বৃদ্ধির হারগুলিকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা— (i) ল্যাগ পিরিয়ড—এই সময় বৃদ্ধি মন্থর গতিতে চলে। (ii) প্রস্তুতি পর্ব—এই সময় বৃদ্ধির জন্য প্রস্তুতি চলতে থাকে ও ধীরে ধীরে বৃদ্ধির হার বাড়তে থাকে। (ii) মুখ্যবৃদ্ধিকাল—এই পর্যায়ে বৃদ্ধি খুব দ্রুত লয়ে চলতে থাকে। (iv) হ্রাসকাল—এই দশায় বৃদ্ধির হার হ্রাস পেতে থাকে এবং অবশেষে বন্ধ হয়ে যায়।
19. যৌন জননের দুটি সুবিধা ও দুটি অসুবিধা উল্লেখ করাে
উত্তর : যৌন জননের দুটি সুবিধা হল– (i) যৌন জননের মাধ্যমে পিতামাতার বহু গুণাবলি সন্তান-সন্ততির মধ্যে সারিত হয়, ফলে তারা সহজেই নতুন পরিবেশে নিজেদের মানিয়ে নিতে সক্ষম হয়। (ii) যৌনজননের মাধ্যমে পিতামাতার বৈশিষ্ট্যাবলি সন্তান-সন্ততির মধ্যে সঞ্চারিত হওয়ার ফলে পুরুষানুক্রমে বংশের ধারা অক্ষুন্ন রাখে।। যৌন জননের দুটি অসুবিধা হল- (i) এটি ধীর গতির প্রক্রিয়া তাই যৌন জননের মাধ্যমে বংশবিস্তারের জন্য বেশিমাত্রায় সময় ব্যয়িত হয়। (ii) এই পদ্ধতি অত্যন্ত জটিল ও অসংখ্য গ্যামেটের অপচয় ঘটে, ফলে সাফল্য লাভের সম্ভাবনা কম থাকে।
20. সমসংস্থ ক্রোমােজোম কাকে বলে?
উত্তর : যৌনজননকারী জীবের কোশে ক্রোমােজোমগুলি জোড়ায় জোড়ায় অবস্থান করে। এদের একটি পিতৃ ক্রোমােজোম, অপরটি মাতৃক্রোমােজোম। সমপ্রকৃতিসম্পন্ন এই ক্রোমােজোম জোড়ার প্রতিটিকে অপরের সমসংস্থ ক্রোমােজোম বলে।
21. বৃদ্ধি ও বিকাশ বলিতে কী বােঝাে? ব্যাখ্যা করাে।
উত্তর : বৃদ্ধি : জীবকোশের প্রােটোপ্লাজম সংশ্লেষণের ফলে যে প্রক্রিয়ায় জীবের আকার, আয়তন ও শুষ্ক ওজনের স্থায়ী পরিবর্তন ঘটে, তাকে বৃদ্ধি বলে। বিকাশ : বৃদ্ধির যে পর্যায়ে একটি কোশ থেকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশিষ্ট বহুকোশী জীবদেহে গঠিত হয়, তখন তাকে বিকাশ বা পরিস্ফুরণ বলে।
22. বায়ুপরাগী ফুলের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি লেখাে।।
উত্তর : যে সব ফুলের শুকনাে ও হালকা পরাগরেণু বাতাসে ভেসে অন্য ফুলের দীর্ঘ ও পক্ষল গর্ভমুণ্ডে স্থানান্তরিত হয়, তাকে বায়ুপরাগী ফুল ও এই পরাগ যােগকে বায়ু পরাগী বলে। বায়ু পরাগী ফুলের প্রধান বৈশিষ্ট্য : (i) পরাগরেণুগুলি অত্যন্ত ক্ষুদ্র, হালকা, মসৃণ ও পাউডারের মতাে হয়, যাতে সহজেই বাতাসে ভাসতে পারে। (ii) বায়ুর দ্বারা বাহিত হওয়ার সময় প্রচুর সংখ্যক পরাগরেণু অপচয় হয় বলে এই প্রকার ফুলে প্রচুর পরিমাণে পরাগরেণু উৎপন্ন হয়। (iii) অনেক সময় পরাগরেণু পক্ষলযুক্ত (পাইন) হয়। ফলে বাতাসে ভেসে স্থানান্তরিত হতে পারে। উদাহরণ—পাইন, ধান, গম, ভুট্টা ইত্যাদি ফুল বায়ু পরাগী।
Telegram Link
YouTube Link
দশম শ্রেণী জীবন বিজ্ঞান | জীবনের প্রবাহমানতা – দীর্ঘ উত্তরভিত্তিক প্রশ্নোত্তর : [প্রতিটি প্রশ্নের মান-5]
1. কোশচক্র কাকে বলে? মাইটোসিস কোশ বিভাজনের যে কোন্ দুটি দশা চিত্রসহ সংক্ষেপে বর্ণনা করাে।
উত্তর : কোশচক্র : কোশ বৃদ্ধি ও বিভাজনের বিভিন্ন দশার চক্রাবর্ত আবর্তনকে কোশচক্র বলে। কোশচক্রের প্রধান দুটি পর্যায় হল—ইন্টারফেজ এবং মাইটোটিক ফেজ।
মাইটোসিস :মাইটোসিস প্রক্রিয়ায় একটি মাতৃকোশের প্রথমে নিউক্লিয়াসের বিভাজন। ঘটে এবং পরে সাইটোপ্লাজমের বিভাজন ঘটে দুটি অপত্য কোশ সৃষ্টি হয়।
নিউক্লিয়াসের বিভাজন পদ্ধতিকে ক্যারিওকাইনেসিস এবং সাইটোপ্লাজমের বিভাজন পদ্ধতিকে সাইটোকাইনেসিস বলে।
মাইটোসিসের ক্যারিওকাইনেসিসের চারটি দশা হল—প্রফেজ, মেটাফেজ, অ্যানাফেজ এবং টেলােফেজ।
প্রফেজ : এই দশার বৈশিষ্ট্যগুলি হল—
(i) এই দশায় ক্রোমাটিন সূত্রগুলি জল বিয়ােজন ঘটিয়ে ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে থাকে।
(ii) ক্রোমাটিন সূত্রগুলি কুণ্ডলীকৃত হয়ে ক্রমশ ছােটো ও মােটা হয় এবং নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্রোমােজোম সৃষ্টি করে।
(iii) প্রফেজ দশার শেষের দিকে নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয় পর্দার বিলুপ্তি ঘটে।
(iv) প্রাণীদের ক্ষেত্রে সেন্ট্রোজোমের সেন্ট্রিওল দু-ভাগে বিভক্ত হয়ে দুটি সেন্ট্রিওল গঠন করে এবং নিউক্লিয়াসের দুই বিপরীত মেরুতে অবস্থান করে।
মেটাফেজ : এই দশার বৈশিষ্ট্যগুলি হল—
(i) বেম বা স্পিন্ডল গঠিত হয়। বেমের উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ মেরু পর্যন্ত বেতন্তু বিস্তৃত থাকে।
(ii) ক্রোমােজোমগুলির বেমের বিষুব অঞলে বা নিরক্ষীয় তলে অর্থাৎ বেমের মাঝখানে ক্রোমােজমীয় তন্তুর সঙ্গে সেন্ট্রোমিয়ারের সাহায্যে সংলগ্ন থাকে।
(iii) প্রাণীকোশের ক্ষেত্রে অ্যাস্ট্রাল রশ্মি এবং উদ্ভিদ কোশের ক্ষেত্রে সাইটোপ্লাজমে অবস্থিত মাইক্রোটিবিউল তন্তু গঠন করে।
2. মিয়ােসিস কোষ বিভাজনকে হ্রাস বিভাজন বলা হয় কেন? ক্রসিংওভার কী ও কোথায় ঘটে? ক্রসিংওভারের দুটি গুরুত্ব লেখাে।
উত্তর: মিয়ােসিস কোষ বিভাজনকে হ্রাস বিভাজন বলার কারণ :
মিয়ােসিসের ফলে ডিপ্লয়েড (2n) মাতৃকোশের ক্রোমােজোম সংখ্যা হ্রাস ঘটিয়ে হ্যাপ্লয়েড (n) জনন কোশ সৃষ্টি হয়। ফলে ক্রোমােজোম সংখ্যার হ্রাস ঘটে প্রজাতির ক্রোমােজোম সংখ্যা বংশপরম্পরায় ধ্রুবক থাকে। মিয়ােসিসে মাতৃকোশের ক্রোমােজোম সংখ্যা অপত্য কোশে অর্ধেক হয়ে যায়। তাই মিয়ােসিসকে হ্রাস বিভাজন বলে। ক্রসিংওভার : মিয়ােসিস- এর প্রফেজের অন্তর্ভুক্ত প্যাকাইটিন উপদশায় যে পদ্ধতির মাধ্যমে দুটি সমসংস্থ ক্রোমােজোমের নন সিস্টার ক্রোমাটিডের মধ্যে খণ্ডাংশের বিনিময় ঘটে তাকে ক্রসিংওভার বলে।
মিয়ােসিস- এর প্রফেজের অন্তর্ভুক্ত প্যাকাইটিন উপদশায় দুটি নন-সিস্টার ক্রোমাটিডের মধ্যে।
ক্রসিংওভারের গুরুত্ব :
(i) ক্রসিংওভারের ফলে ক্রোমােজোমের জিনের পুনসংযুক্তি ঘটে। এই কারণে গ্যামেটগুলিতে নতুন বৈশিষ্ট্যের আবির্ভাব হয়। এই ধরনের রিকম্বাইড গ্যামেট নিষেকের মাধ্যমে হয়ে নতুন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন অপত্যের সৃষ্টি হয়।
(ii) নতুন বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জীব অভিব্যক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
3. একটি আদর্শ ফুলের চিহ্নিত চিত্রাঙ্কন করাে। 3+2
উত্তর : একটি আদর্শ ফুলের চিহ্নিত চিত্র পাঠ্য বই থেকে করাে।
4. অঙ্গজ জনন কাকে বলে? প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন সম্পর্কে লেখাে।
উত্তর : যে অযৌন জনন পদ্ধতিতে উদ্ভিদের যে-কোনাে অঙ্গ বা তার অংশবিশেষ জনিতৃ উদ্ভিদ দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কোশ বিভাজন ও বৃদ্ধির দ্বারা নতুন অপত্যের সৃষ্টি করে, তাকে অঙ্গজ জনন বলে।।
প্রাকৃতিক অঙ্গজ জনন পদ্ধতি : প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে অঙ্গজ জনন বিভিন্ন প্রকারের হয়। এগুলি সম্পর্কে নীচে আলােচনা করা হল।
(i) পাতার মাধ্যমে : কিছু কিছু উদ্ভিদের ক্ষেত্রে, যেমন পাথরকুচি, বিগােনিয়া প্রভৃতি উদ্ভিদের পাতার কিনারা থেকে অস্থানিক মুকুল জন্মায়। একে পত্রাশয়ী মুকুল বলে। এই পত্রাশয়ী মুকুলের নীচের দিক থেকে আবার প্রচুর অবস্থানিক মূল বের হয়। পরে প্রতিটি পাতা বিচ্ছিন্ন হয়ে অনুকূল পরিবেশে নতুন উদ্ভিদের জন্ম দেয়।
(ii) মূলের মাধ্যমে : কিছু কিছু উদ্ভিদে, যেমন পটল, রাঙাআলু প্রভৃতি উদ্ভিদের | রসালাে মূল থেকে অস্থানিক মুকুল জন্মায়। একে মূলজ মুকুল বলে। পরে এই মুকুলসহ মূল খণ্ড খণ্ড করে মাটিতে রােপণ করলে নতুন উদ্ভিদ জন্মায়।।
(iii) কাণ্ডের মাধ্যমে : পরিবর্তিত কাণ্ডের দ্বারা অঙ্গজ জনন দু-ভাবে সম্পন্ন হয়। এগুলি হল—
(1) মৃদগত কাণ্ডের সাহায্যে : আদা, পেঁয়াজ, আলু প্রভৃতি উদ্ভিদের কাণ্ড মাটির নীচে খাদ্য সঞয় বা প্রতিকূল পরিবেশের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পরিবর্তিত হয়ে বিশেষ আকার ধারণ করে। একে মৃগত কাণ্ড বলে। এই মৃগত কাণ্ডের গা থেকে মুকুল উৎপন্ন হয় এবং উৎপন্ন মুকুল অঙ্গজ জননের মাধ্যমে নতুন উদ্ভিদের জন্ম দেয়। বিভিন্ন প্রকার মৃত কাণ্ড হল—আলুর স্ফীতকন্দ, আদার গ্রন্থিকাণ্ড, পেঁয়াজের কন্দ এবং ওলের গুঁড়িকন্দ।
(2) অর্ধবায়বীয় কাণ্ডের সাহায্যে : থানকুনি, পুদিনা, শুশনি, চন্দ্রমল্লিকা, কচুরিপানা প্রভৃতি উদ্ভিদের অর্ধবায়বীয় কাণ্ড থেকে কতগুলি শাখা বের হয়, যা মাতৃদেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে নতুন উদ্ভিদ সৃষ্টি করে।
Comments
Post a Comment