Bengali Model Activity Task Class 8
Telegram Link
YouTube Link
Bengali Model Activity Task part 1 Class 8
১. "সেইটে সবার চেয়ে শ্রেয়"- কবির মতে সবার চেয়ে শ্রেয় কি?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর "বোঝাপড়া" কবিতায় এই উক্তিটি করেছেন।জীবনের চলার পথে নানান বাধা, ঝড়-ঝঞ্জা অর্থাৎ দুঃখ-কষ্ট আসবে। এই সমস্ত বাধা অতিক্রম করে আমাদের জীবনে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। যে কোনো পরিস্থিতি আসুক না কেন আমাদের এগিয়েই চলতে হবে।
২. "তদ বিষয়ে যথোপযুক্ত আনুকূল্য করিব" - বক্তা কোন বিষয়ে আনুকূল্য করার প্রতিশ্রুতি দিলেন?
বিদ্যাসাগর রচিত "অদ্ভুত আতিথেয়তা" গল্পে আরব সেনাপতি বক্তা হিসেবে এ কথা বলেছেন। মুর সেনাপতি দিকভ্রষ্ট হয়ে বিপক্ষ শিবিরে গিয়ে পৌঁছায়, মুর সেনাপতি কে আরব সেনাপতি অতিথি আপ্যায়ন করেন। তারপর তিনি মুর সেনাপতি সুরক্ষার জন্য ঘোড়া দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।৩. "এই রইল তোদের পিকনিক- আমি চললুম"- বক্তা কে?কেনো তিনি পিকনিকে থাকতে চাননি?
বক্তা হল টেনিদা।বনভোজনের খাদ্য সামগ্রী উন্নত মানের করার চেষ্টা করেও বনভোজনের খাদ্য সামগ্রী নিম্ন মানের হওয়ায় টেনিদা ক্রুদ্ধ হয়ে যান, এইজন্য টেনিদা পিকনিকে থাকতে চাননি।
৪."পরবাসী কবে নিজ বাসভূমি গড়বে?" কবির মনে এমন প্রশ্ন জেগেছে কেন?
পরবাসীর কবিতাটির প্রথমেই কবি বিষ্ণু দে প্রকৃতির বৈচিত্রের কথা বলেছেন। কবি বলেছেন প্রকৃতি ছাড়া মানুষ অসহায়, মানুষ ছাড়া প্রকৃতি প্রাণহীন। উভয়ে উভয়ের পরিপূরক। প্রকৃতি মানুষকে লালন করে সেই প্রকৃতিকে শহর বানানোর মানেই হল গ্রামের মৃত্যু।এইভাবে আমরা প্রতিনিয়ত অরন্য প্রকৃতি ধ্বংস করছি। শুধু অরন্য নই বনের জীবজন্তুরাও আমাদের হাতে শিকার হচ্ছে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। এগুলিকে লক্ষ করে কবি নিজেকে পরবাসী বলেছেন।
5. "এইভাবে আমরা দেহরাদুন এক্সপ্রেসের সেই থার্ড ক্লাস গাড়ি খানাতে যেন এক পশতু সাহিত্য গোষ্ঠী বা সম্মেলন লাগিয়ে দিলুম"- লেখকের বক্তব্য অনুসরণে সেই পরিস্থিতির বিবরণ দাও।
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের "পথচলতি" গদ্যাংশে কথক একথা বলেছেন।দেরাদুন এক্সপ্রেসে গয়া থেকে কলকাতা ফেরার কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। অনেক সময় পথচলতি বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অকৃত্রিম আন্তরিকতা ফুটে ওঠে, সাহিত্যের সাধ ও মেলে তেমনই এই গল্পে লেখক দেখিয়েছেন কথক নিজের বুদ্ধিরদারা থার্ড ক্লাসে নিজের স্থান করে নেন এবং তাদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ফার্সি ভাষায় কথা বলেন এবং তখন এ পশতু সাহিত্য গোষ্ঠী বা সম্মেলন শুরু হয় খুশ হাল খা খট্টরের গজল বিষয়ে প্রশ্নের মাধ্যমে। ঔরঙ্গ জেবের সমকালীন এই কবি পশতু ভাষার সর্বশ্রেষ্ট কবি। লেখোকের আগ্রহে যাত্রী গজল শোনালেন এরপর হলো আদম খান আর দুরি খনির মহব্বতের কিসপার কথা শুধু লেখকই নন গাড়ির সমস্ত যাত্রীরা অবধারিতভাবে মন দিয়ে সে কাহিনী শুনল। পাঠানের গলা যদিও কর্কশ তবে সে গুরু গম্ভীরভাবে কাহিনীটি কিছুটা গান করে আবার কিছুটা পাঠ করে সবাইকে মোহিত করে রাখলো। এভাবে সেই তৃতীয় শ্রেণীর গাড়িতে গানে আবৃতিতে ও পাঠে যেন পশতু এর সাহিত্য গোষ্ঠী বা সম্মেলন হল।
৬."এসব আমারই হবে; আমাকেই দেবেন বিধাতা" ভাবনাটি কার? বিধাতা তাকে কি কি দেবেন বলে সে মনে করে?
তারাপদ রায়ের লেখা "একটি চড়ুই পাখি" কবিতায় ভাবনাটি এক চড়ুই পাখির। চড়ুই পাখিটি ভাবে ঘরে থাকা মানুষটি অর্থাৎ কথক চলে গেলে এই ঘর তার হয়ে যাবে। ঘরের জানালা, দরজা, টেবিল, ফুলদানি, বই- খাতা সবই তাকে অর্থাৎ চড়ুই পাখিটিকে দিয়ে দেবেন।৭. দল বিশ্লেষণ করে মুক্ত দল ও রুদ্ধ দল চিহ্নিত করো।
সম্ভাষণ= সম(রুদ্ধ) + ভা(মুক্ত) + ষন(রুদ্ধ) । অর্থাৎ একটি রুদ্ধ দল ও একটি মুক্ত দল আছে।৮. উঠন্তি মুলো পত্তনেই চেনা যায়- প্রবাদটি ব্যবহার করে একটি বাক্য রচনা করে বুঝিয়ে দাও।
উঠন্তি মুলো পত্তনেই চেনা যায় এর অর্থ শুরু দেখে ভবিষ্যৎ অনুমান করা যায়।যেমন - ছেলেটি হরেন বাবুর পকেট কেটেছে। এ বড় হলে নিশ্চয়ই পকেটমার হবে। এ যেনো উঠন্তি মুলো পত্তনেই চেনা যায়।Telegram Link
YouTube Link
Bengali Model Activity Task part 2 Class 8
ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখ।
১. সেলুকাস ছিলেন - (গ্রীক সেনাপতি/ গ্রীক সম্রাট/ মুর সেনাপতি/আরব সেনাপতি)।উত্তর-গ্রীক সেনাপতি।
২. তোতাই এর চাই -( একটি সবুজ টিয়া/ সবুজ চারাগাছ/ সবুজ জামা/ চশমা)।উত্তর-সবুজ জামা।
৩. বাঘের বিক্রম সম মাঘের হিমানী পংক্তিটির রচয়িতা -( মাইকেল মধুসূদন দত্ত/ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর/ ভারতচন্দ্র রায়/গৌরদাস বসাক)।উত্তর-ভারতচন্দ্র রায়।
৪. মুর সেনাপতি শব্দের দল সংখ্যা - (২/ ৩/ ৫/ ৬)উত্তর-৫।
৫. আলেম শব্দের অর্থ- (প্রবর্তক/ সর্বজ্ঞ /অভিযাত্রী /সহযাত্রী)।
উত্তর-সর্বজ্ঞ।
2। নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ।
১. সেলুকাস ছিলেন - (গ্রীক সেনাপতি/ গ্রীক সম্রাট/ মুর সেনাপতি/আরব সেনাপতি)।
২. তোতাই এর চাই -( একটি সবুজ টিয়া/ সবুজ চারাগাছ/ সবুজ জামা/ চশমা)।
৩. বাঘের বিক্রম সম মাঘের হিমানী পংক্তিটির রচয়িতা -( মাইকেল মধুসূদন দত্ত/ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর/ ভারতচন্দ্র রায়/গৌরদাস বসাক)।
৪. মুর সেনাপতি শব্দের দল সংখ্যা - (২/ ৩/ ৫/ ৬)
৫. আলেম শব্দের অর্থ- (প্রবর্তক/ সর্বজ্ঞ /অভিযাত্রী /সহযাত্রী)।
উত্তর-সর্বজ্ঞ।
2। নিচের প্রশ্নগুলির উত্তর নিজের ভাষায় লেখ।
২.১। "সুখ পাওয়া যায় অনেকখানি"- কবির মতে সুখ লাভের উপাইটি কি?
উদ্ধৃতিতে নেওয়া হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "বোঝাপড়া" কবিতা থেকে।মানুষ অনেক সময় নিজ নিজ অহংবোধে মগ্ন থাকে, ফলে অপরের সাথে মন খুলে মিশতে পারে না। তখন তারা নিজের চারিদিকে অন্ধকার এর আড়াল তৈরি করে। ফলে তারা জগতের প্রকৃত সুখ থেকে বঞ্চিত হয়। কিন্তু মানুষ যদি এই অহংকার ও নিজের চারিদিকে আড়াল সরিয়ে ফেলতে পারে তবে সে বিশ্বচরাচরের অনেকখানি সুখ উপলব্ধি করতে পারবে।
২.২।"বন্ধুভাবে উভয় সেনাপতির কথোপকথন হইতে লাগিল"-এই কথোপকথন গল্পের ঘটনাকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে?
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত "অদ্ভুত আতিথেয়তা" গল্পে কথোপকথনে রত মূর সেনাপতি ও আরব সেনাপতির কথা বলা হয়েছে।
আরব সেনাপতি ও মুর সেনাপতি উভয়ের কথোপকথনের মাধ্যমে নিজেদের পূর্বপুরুষের পরাক্রম যুদ্ধ কৌশলের নানা কথা উঠে আসে। এই কথোপকথনের মাধ্যমে আরব সেনাপতি বুঝতে পারেন যে মূর সেনাপতি তার পিতৃ হন্তা। কিন্তু এখন মুর সেনাপতি তার অতিথি, তাই তিনি অতিথির কোন ক্ষতি করবেন না।
যার দ্বারা প্রমাণিত হয় আরব সেনাপতি আতিথিয়তা বোধে পৃথিবীর অন্যান্য জাতি অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। তারা মনের রুদ্ধ ভাব কখনো অতিথির কাছে প্রকাশ করেন না। তাদের শত্রুতার মধ্যেও পরম মিত্রতার ভাব ফুটে ওঠে, আর লেখক আমাদেরও এই ভাবনায় উদ্দীপ্ত হতে বলেছেন।
আরব সেনাপতি ও মুর সেনাপতি উভয়ের কথোপকথনের মাধ্যমে নিজেদের পূর্বপুরুষের পরাক্রম যুদ্ধ কৌশলের নানা কথা উঠে আসে। এই কথোপকথনের মাধ্যমে আরব সেনাপতি বুঝতে পারেন যে মূর সেনাপতি তার পিতৃ হন্তা। কিন্তু এখন মুর সেনাপতি তার অতিথি, তাই তিনি অতিথির কোন ক্ষতি করবেন না।
যার দ্বারা প্রমাণিত হয় আরব সেনাপতি আতিথিয়তা বোধে পৃথিবীর অন্যান্য জাতি অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। তারা মনের রুদ্ধ ভাব কখনো অতিথির কাছে প্রকাশ করেন না। তাদের শত্রুতার মধ্যেও পরম মিত্রতার ভাব ফুটে ওঠে, আর লেখক আমাদেরও এই ভাবনায় উদ্দীপ্ত হতে বলেছেন।
২.৩। মহাভারতের কোন চরিত্র কেন অপুর সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে?
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত "পথের পাঁচালী" উপন্যাসে মহাভারতের সমস্ত চরিত্রের মধ্যে কর্ণের চরিত্রটি অপুর সবচেয়ে ভালো লাগতো।অপুর মনে হতো কর্ন মহাবীর হয়েও চিরকাল কৃপার পাত্র। যুদ্ধক্ষেত্রে যখন কর্ণের রথের চাকা মাটিতে বসে যায় সেই অবস্থায় নিরস্ত্র অসহায় কর্ণকে অর্জুন বান নিক্ষেপ করে হত্যা করে। কর্ণের অসহায় ভাবে মৃত্যুবরণের ঘটনা শিশু মনকে বেদনায় ভারাক্রান্ত করে তুলতো।
তার মনে হয় অসহায় কর্ণ এখনো রথের চাকা তোলার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। অর্জুন বীর, সে রাজ্য পেল, মান পেল কিন্তু কর্ণ এত বড় বীর হয়েও অসহায় সে মান পাইনি। নিজের অজান্তেই অপু কর্ণকে হৃদয় বীরের সিংহাসনে বসিয়েছে। অপুর মতে কর্ণ পরাজিত নায়ক হলেও আদর্শবান তাই মহাভারতের সমস্ত চরিত্রের মধ্যে কর্ণকে অপুর সবচেয়ে বেশি ভালো লাগতো।
২.৪। টিনের বাক্সে অপু কি কি রেখেছিল? এর মধ্য দিয়ে তার চরিত্রের কোন দিক ফুটে ওঠে?
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত "পথের পাঁচালী" গল্পে অপু টিনের বাক্সে একটি রং চটা কাঠের ঘোড়া, একটি টোল খাওয়া টিনের ভেঁপু বাঁশি, গোটা কতক কড়ি, দুপয়সা দামের পিস্তল, কতগুলো শুকনো নাটা ফল, খান কতক খাপড়ার কুচি প্রভৃতি সম্পত্তি রেখেছিল।টিনের বাক্সে সংগৃহীত করে রাখা সম্পত্তি গুলি থেকে তার চরিত্র সম্পর্কে এই ধারণাই উপনীত হওয়া যায় যে, অপু ছিল খুবই কল্পনাপ্রবণ, স্বপ্নবিলাসী। তার স্বপ্নগুলো তাকে জীবনের প্রতিমুহূর্তে বেঁচে থাকার জন্য ওর জীবনকে উপভোগ করার জন্য রসদ যোগাতো ।
Telegram Link
YouTube Link
অধ্যায়: দাঁড়াও-শক্তি চট্টোপাধ্যায়
১। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নের উত্তর দাও।
১.১। "দাঁড়াও" কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে?
শক্তি চট্টোপাধ্যায় রচিত "দাঁড়াও" কবিতাটি "মানুষ বড় কাঁদছে" নামক কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
১.২। সকাল থেকে কবির কার কথা মনে পড়ছে?
সকাল থেকে কবির পরোপকারী, হৃদয়বান মানুষের কথা মনে পড়ছে।
১.৩। কবি কিভাবে মানুষকে পাশে দাঁড়াতে বলেছেন?
শক্তি চট্টোপাধ্যায় রচিত "দাঁড়াও" কবিতায় কবি সমস্ত স্বার্থপরতা, হীনতা সরিয়ে রেখে মানুষ হয়ে সমস্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন।
১.৪। কবিতাটিতে "মানুষ" শব্দটি কতবার ব্যবহৃত হয়েছে?
"দাঁড়াও" কবিতাটিতে 'মানুষ' শব্দটি সাতবার ব্যবহৃত হয়েছে।
১.৫। দল বিশ্লেষণ করো:
মানুষ; একলা; ভেসে; ভালোবেসে।
মানুষ= মা-নুষ ।(দুটি দল)।
একলা= এক-লা। (দুটি দল)।
ভেসে= ভে-সে । (দুটি দল)।
ভালোবেসে= ভা-লো-বে-সে। (চারটি দল)।
২। সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
২.১। মানুষের পাশে মানুষ কিভাবে দাঁড়াতে পারে?
কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় প্রতিটি মানুষকে মানবিক অনুভবের টানে প্রত্যেক অসহায় নিঃসঙ্গ মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন।তিনি অনুভব করেছেন আজকের সভ্যতায় মানুষের অন্তরাত্মা গুমরে কাঁদছে। সেই কাতর মানুষদের দুঃখ ভুলিয়ে কাছে টেনে নিতে হবে, মানুষকে ভালোবেসে আপন করে নিতে হবে অর্থাৎ আর্থিক, মানসিক,সামাজিক প্রভৃতি সমস্ত দিক দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
২.২।"দাঁড়াও" কবিতাটির প্রথম স্তবকে প্রকাশিত কবির অন্তর্নিহিত ভাবনাটির পরিচয় দাও।
মানুষ আজ প্রকৃতি ও সমাজের বুকে তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করলেও স্বার্থপরতা, বিশ্বাসহীনতা কবলে পড়ে খুবই অসহায়। এই অসহায় মানুষের একাকিত্ব ও যন্ত্রণা কবিকে ব্যাথিত করেছে।সেই কারণেই আজ প্রতিটি মানুষেরই উচিত তার মনুষ্যত্বকে আশ্রয় করে প্রতিটি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। কবি এই কবিতার প্রথম স্তবকে মানুষকে এই মানবিক দায়িত্ব পালনের আবেদনটুকুই প্রকাশ করেছেন।
৩। রচনাধর্মী প্রশ্ন
৩.১।"দাঁড়াও"কবিতাটির বিষয়বস্তু আলোচনা করো।
সমাজের অবক্ষয় কবি মনকে ব্যথিত করে তুলেছে। বর্তমান সমাজে মানুষ বড়ই একাকী ও অসহায়। তাই এই অসহায়, অত্যাচারিত, নিপীড়িত মানুষদের আমাদের সব সময় পাশে থাকা উচিত। কিন্তু আমাদের সমাজে একশ্রেণীর মানুষ আছে যারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মনুষ্যত্বকে বিক্রি করে। অসহায়, নিপীড়িত, দারিদ্র মানুষদের উপর অত্যাচার চালায়, মানুষকে শোষণ করে। অন্যদিকে আর একদল মানুষ আছে যারা এই সমস্ত অসহায় নিপীড়িত অত্যাচারিত মানুষদের প্রতি সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত। তারা সর্বদা সর্বক্ষণ সাহায্য বা পরোপকার করতে ভালোবাসে। দীন-দরিদ্র মানুষের পাশে এসে দাড়ায়। পরিশেষে এসে বলা যায়, সমস্ত কবিতা জুড়ে কবি একটাই আর্জি জানিয়েছেন তা হল স্বার্থপরতা, হিংসা-মারামারি, বিশ্বাসহীনতা সমস্ত ভুলে গিয়ে অসহায়, হতদরিদ্র, অত্যাচারিত মানুষের পাশে আমাদের সকলকে দাঁড়াতে হবে।
অধ্যায়: কি করে বুঝবো- আশাপূর্ণা দেবী।
১। অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
১.১। বুকুর মায়ের নাম কি?
আশাপূর্ণা দেবীর লেখা "কি করে বুঝবো" গল্পে বুকুর মায়ের নাম নির্মলা।
১.২। বুকুদের বাড়ি কলকাতার কোন অঞ্চলে?
বুকুদের বাড়ি কলকাতার ভবানীপুর অঞ্চলে।
১.৩। ছেনু মাসিরা কোথা থেকে এসেছেন?
ছেনু মাসিরা উত্তরপাড়া থেকে এসেছেন।
১.৪। বুকুর স্কুলের নাম কি?
বুকুর স্কুলের নাম আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
১.৫। অতিথিরা বিদায় নেওয়া মাত্র বুকুর মা কি করেছিলেন?
অতিথিরা বিদায় নেওয়া মাত্র বুকুর মা বুকুকে ধরে প্রহার করেছিলেন।
২। সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন
২.১। অতিথিদের আসার খবর জেনে বুকুর বাবা কি করেছিলেন?
অতিথিদের আসার খবর জেনে বুকুর বাবা চোটে মোটে রেগে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন ছেনু মাসীরা কি আসার আর দিন পাননি?তাদের সিনেমার টিকিট গুলো নষ্ট করার জন্যই হইতো বেছে বেছে এই দিনটি তে এসেছিলেন।
২.২। বুকুর মতে অতিথিরা চলে গেলে কি করতে হয়?
বুকুর মতে বেড়াতে আসা লোক চলে গেলে তাদের নিন্দা করতেই হয়, বলতে হয় তাদের ছেলেটি অসভ্য ও হ্যাংলা, মাসীরা খুব অহংকারী, তারা এসে তো মাথা কিনলেন অকারণে অনেক পয়সা খরচ হয়ে গেল ইত্যাদি।
৩। রচনাধর্মী প্রশ্ন
৩.১। বুকু কি বুঝতে পারেনি এবং এ বিষয়ে তোমার ধারণা কি?
আশাপূর্ণা দেবী রচিত "কি করে বুঝবো" গল্পে বুকু বুঝতে পারেনি যে বড়দের কথা কিভাবে পালন করলে তারা খুশি হয়। বুকুর বাবা মা বুকু কে সব সময় শিক্ষা দিয়েছেন যে কখনো মিথ্যা কথা বলতে নেই, কোনো কথা গোপন করতে নেই। বুকু সেই মোতাবেক কাজ করেছে। ছেনু মাসীরা আসাই তার বাবা বিরক্ত বোধ করলে বুকু তাদের সামনেই তা বলে দেয়। কেননা ছয় বছরের ছোট্ট শিশুটি জানে না কোন কথা গোপন করতে। বুকু নির্দোষ।কারণ তাকে যেটা শেখানো হয়েছে সে সেটাই বলেছে। কিন্তু সে স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি যে সত্য কথা বলার জন্য বাবা মা-র হাতে তাকে বেধরক মার খেতে হবে।
Telegram Link
YouTube Link
Comments
Post a Comment